কুড়িগ্রামে সহকারী শিক্ষকের ঘু্ষিতে রক্তাক্ত প্রধান শিক্ষক কুড়িগ্রামে সহকারী শিক্ষকের ঘু্ষিতে রক্তাক্ত প্রধান শিক্ষক – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ১২:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কমলগঞ্জে ৪ ছাগল চোর জনতার হাত আটক কমলগঞ্জে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষুশিবির অনুষ্ঠিত বড়লেখায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা ওসমানীনগরে ইয়াবাসহ ২মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার লাউয়াছড়ায় বন্যপ্রাণী ঠেকাতে বৈদ্যুতিক ফাঁদ : চা শ্রমিকের মৃত্যু ফুলবাড়ীতে গঙ্গাপূজা ও দশহরা মেলফুলবাড়ীতে গঙ্গাপূজা ও দশহরা মেলা ফুলবাড়ী সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের রাবার বুলেটে এক বাংলাদেশী গুরুতর আহত হয়েছেন। জুড়ীতে বিধবা বৃদ্ধার কাছে চাঁদা দাবি- এক আসামী কারাগারে ওসমানীনগরে প্রেমিকার প্রতারণা : প্রবাসী যুবকের আত্মহত্যার অভিযোগে থানায় মামলা আয়াকে দিয়ে মিথ্যা মামলা : মাদ্রাসার সভাপতি-সুপারের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল

কুড়িগ্রামে সহকারী শিক্ষকের ঘু্ষিতে রক্তাক্ত প্রধান শিক্ষক

  • মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২২

মো: বুলবুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম সদর প্রতিনিধি::

কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের নাগদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজেদা বেগমকে ঘুষি দিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে একই স্কুলের প্রাক-প্রাথমিক শাখার সহকারী শিক্ষক মাহবুবর রহমানের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার ০৪ জানুয়ারি সকালে প্রধান শিক্ষকের রুমে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নজরুল ইসলামের সামনেই এ ঘটনা ঘটে। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোছা: নার্গিস ফাতিমা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঘটনার পর আহত প্রধান শিক্ষক কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক সাজেদা বেগম জানান, স্থানীয় বাসিন্দা এবং যুবলীগ কর্মী পরিচয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক আগে থেকে উগ্র আচরণ করেন। সোমবারও তার সাথে ওই শিক্ষকের বাক বিতন্ডা হয়েছিল।

মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় প্রধান শিক্ষক স্কুলে যাওয়ার পর স্কুল কমিটির সদস্য ও সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলামকে ডেকে নেন। এর কিছুক্ষণ পর প্রাক-প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক মাহবুবর রহমান প্রধান শিক্ষকের রুমে ঢুকে হঠাৎ করে প্রধান শিক্ষকের গলা চেপে ধরেন এবং উপর্যুপরি ঘুষি দিতে থাকেন। এতে প্রধান শিক্ষকের বাম চোখের পাশে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে রক্ত ঝড়তে থাকে। আকস্মিক এ হামলায় উপস্থিত স্কুল কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম এগিয়ে এসে শিক্ষক মাহবুবকে ঝাপটে ধরে প্রধান শিক্ষককে রক্ষা করেন। পরে অন্য শিক্ষক ও স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।

আহত প্রধান শিক্ষক সাজেদা বেগম জানান, ‘আমি আতঙ্কিত, আমার নিজের এবং অন্যান্য সহকারী শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। আমি এ ঘটনার আইনগত বিচার চাই।’ এ ব্যাপারে তিনি থানায় অভিযোগ করবেন বলেও জানান।

এ ব্যাপারে জানতে সহকারী শিক্ষক মাহবুবর রহমানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহীদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তৈফিকুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। #

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫ - ২০২০
Theme Customized By BreakingNews