কুলাউড়ায় বাণিজ্যিক উৎপাদনে আখ চাষে বাম্পার ফলন কুলাউড়ায় বাণিজ্যিক উৎপাদনে আখ চাষে বাম্পার ফলন – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩, ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পর্তুগাল থেকে কফিনবন্দি হয়ে ফিরলেন বড়লেখার রুহান বড়লেখায় শিয়ালের ফাঁদে মেছোবাঘ : মাধবকুণ্ড ইকোপার্কে অবমুক্ত প্লাস্টিক পোড়ানোর ফলে বায়ুদূষণের পরিবেশগত ও আইনগত প্রেক্ষাপট বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক কাল কমলগঞ্জ নার্সারি ব্যবসায়ীদের চারা বিক্রি কমে গেছে কমলগঞ্জে দরিদ্র ৫০ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ ফুলবাড়ীতে নেশা জাতীয় টাপেন্টাডল ট্যাবলেট মাদকসহ এক নারী আটক কুলাউড়ার শরিফপুরে এমএম শাহীনের গণসংযোগ ও পথসভা ডেইরি আইকন’ পুরস্কার পেলো কমলগঞ্জের আরএম ডেইরি ফার্ম! সিলেটে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর প্রচারণায় হামলার অভিযোগ! সিসিক নির্বাচন: প্রতীক বরাদ্দ, প্রচারণায় প্রার্থীরা!

কুলাউড়ায় বাণিজ্যিক উৎপাদনে আখ চাষে বাম্পার ফলন

  • সোমবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২২

সালাউদ্দিন:মনু নদীর চরে আখ চাষ করেছেন আব্দুর রহিম।১২০ শতক জমিতে বাণিজ্যিক উৎপাদন করেছেন তিনি ।এখন প্রতিদিন ক্ষেত থেকে আখ কেটে রস বের করছেন।সনাতন পদ্ধতিতে আখ প্রক্রিয়াজাত করে গুড় তৈরি করছেন।এখন পর্যন্ত ৩০ শতক জমি থেকে প্রায় ২ হাজার ৯ শত ১২ লিটার রস বিক্রি করেছেন।প্রতি লিটার ২০ টাকা দরে যার বাজারমূল্য ৫৮ হাজার ২ শত ৪০ টাকা।এখনও বাকি রয়েছে ৯০ শতক জমির আখ উত্তোলন।সব মিলিয়ে এবার বেশ বাম্পার ফলন হয়েছে।

হাজীপুর ইউনিয়নের শুকনবী গ্রামে প্রায় ৩০ কৃষক এবার আখ ক্ষেত করেছেন। কিন্তু আগের চাইতে এখন দিন দিন আখ চাষির সংখ্যা কমে আসছে ।

তবে আখের রস,লালি,গুড়ের চাহিদা কমেনি। সরেজমিনে দেখা যায় অনেক ক্রেতারা আখের  রস, লালী,গুড় কিনতে এসেছেন। কিন্তু আগের মতো ফেরি করে আখের রস বিক্রি করতে দেখা যায় না। উৎপাদিত আখ থেকে সনাতন পদ্ধতিতে রস প্রক্রিয়াজাত করে লালি ও গুড় তৈরি করা হয়।গুড় প্রতি কেজি বিক্রি করা হয় ১ শত ২০ টাকা দরে,লালি প্রতি লিটার ১০০ টাকা দরে।প্রতি বছর আখের চারা বিক্রি করা হয় প্রতি পিস ৩ টাকা দরে। আখের রস বের করে উচ্ছিষ্ট অংশ প্রক্রিয়াজাত করতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।আখ চাষি তোয়াহিদ আলি বলেন,’এবার আখ চাষ করে ভালোই ফলন হয়েছে।এখন পর্যন্ত বেশ আয় করেছি।আখ আরও কাটার বাকি রয়েছে। সবমিলিয়ে আখ চাষ বেশ লাভজনক।আখ চাষে সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন।’আখের রস কিনতে আসা ক্রেতা ইরফান আলী জানান,এখানে একদম খাঁটি আখের রস পাওয়া যায়। শীতের মৌসুমে আখের রস দিয়ে পিঠা তৈরি করে খেতে বেশ আনন্দদায়ক।প্রতি বছর আমরা আখের রস কিনতে আসি।

 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় সারা দিন আখ কেটে বিকেলে মাড়াই করে বড় পাত্রে জ্বাল দেওয়া হচ্ছে।কেউ কেউ আখ মাড়াই করে রস সংগ্রহ করছেন, কেউ আবার রস কড়াইয়ে এনে ঢালছেন। রস ঘন হয়ে নামিয়ে রাখা হচ্ছে। গুড় তৈরি হয়ে গেলে সেটি আলাদা রাখা হচ্ছে।আখের গুড় তৈরি করতে সবাই বেশ কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন।কুলাউড়ার আখ চাষিরা আরও সফল হতে কৃষি বিভাগের প্রযুক্তিগত সহায়তা চেয়েচেন ।গ্রামীণ জনপদের জনপ্রিয় কৃষি আখ চাষ কালের বিবর্তনে যেন হারিয়ে না যায় সেজন্য এটাকে ধরে রাখতে প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫ - ২০২০
Theme Customized By BreakingNews