জুড়ীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছপালা বিক্রির অভিযোগ জুড়ীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছপালা বিক্রির অভিযোগ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ১০:৪৬ অপরাহ্ন

জুড়ীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছপালা বিক্রির অভিযোগ

  • সোমবার, ৯ মে, ২০২২

জুড়ী প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের জুড়ীতে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছপালা কোন আইনী প্রক্রিয়া ছাড়াই বিক্রি করে দিলেন প্রধান শিক্ষক। ঘটনাটি উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের নয়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটেছে। রোববার বিকেলে স্থানীয় এলাকাবাসী গাছের ৪০-৫০টি খন্ড আটকালেও সমপরিমাণ গাছের খন্ড ক্রেতা নিয়ে গেছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

রোববার বিকেলে সরেজমিন পরিদর্শন কালে স্থানীয় বাসিন্দা মখলিছুর রহমান, রুকন মিয়া, আসুক মিয়া, ফিরুজ মিয়া, মঙ্গল মিয়া, মো: মুন্না প্রমুখ অভিযোগ করেন- স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান, মজিদ মিয়া, মুজিব মিয়া, তমছির মিয়া পৃথক ভাবে বিদ্যালয়ের ১০/১২টি গাছের সম্পূর্ন ডালপালা কেটে বেশ কিছু মাল বাড়িতে নিয়ে যান। মুজিব মিয়া বড় একটি আকাশী গাছ কেটে নেন। আমরা আপত্তি দিয়ে ৪০/৫০টি খন্ড আটকিয়ে রাখি। প্রধান শিক্ষক সবিতা রানী দে অতি গোপনে অবৈধ ভাবে গাছ গুলো ৪/৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। সব গুলো প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি করলে সরকারি কোষাগারে ২০/৩০ হাজার টাকা জমা হতো।

প্রধান শিক্ষকের সামনে গাছের ক্রেতা মিজানুর রহমান ও তমছির মিয়া বলেন- প্রধান শিক্ষক আমাদের কাছে পনেরশত টাকা করে গাছপালা বিক্রি করেছেন। বিক্রি কালে বিদ্যালয় কমিটির সদস্য বাদশা মিয়া, জহিরুল ইসলাম, জহুরা বেগম (সুন্দরী) ও প্রধান শিক্ষিকার স্বামী উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান শিক্ষক সবিতা রানী দে গাছপালা বিক্রির কথা অস্বীকার করে বলেন- ঝূকিপূর্ন ডালপালা গুলো কাটা হয় এবং পারিশ্রমিক হিসেবে কিছু ডাল তাদের দেয়া হয়। তবে এ বিষয়ে বিদ্যালয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত বা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোন সম্মতিপত্র তিনি দেখাতে পারেন নি। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি নিরবতা পালন করেন।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন- ঝূকিপূর্ন গাছ কর্তন করে নিলাম করতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে আবেদন করার জন্য ২০.৩.২১ তারিখের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এর পরে আর কিছু আমার জানা নেই। প্রধান শিক্ষক ভালো জানেন।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুদর্শন দাস বলেন- গাছপালা কাটা বা বিক্রির বিষয়ে আমি অবগত নই। আজ (সোমবার) উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিদ্যালয়ে আসার খবর পেয়ে প্রায় দুই মাস পর বিদ্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি দেখলাম, জানলাম। তবে প্রধান শিক্ষক গাছপালা বিক্রি করতে পারেন না।

জুড়ী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো: মহিউদ্দিন বলেন- রোববার সাংবাদিকদের মাধ্যমে খবর পেয়ে আজ (সোমবার) বিদ্যালয় পরিদর্শনে যাই। এ সময় স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষক কর্তৃক গাছপালা কেটে বিক্রির অভিযোগ করলে, তার সত্যতা পাওয়া যায়। যারা গাছপালা নিয়ে গেছে সেগুলো ফেরৎ আনার জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছে। কাটা গাছগুলো নিলামের ব্যবস্থা করা হবে। তাছাড়া আইন বহির্ভূত ভাবে গাছপালা বিক্রি করায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানতে চাইলে মৌলভীবাজার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: সামছুল ইসলাম বলেন- আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ঝূকিপূর্ন গাছপালা কাটা বা বিক্রি করতে হয়। এর বাইরে গাছপালা বিক্রি করার ক্ষমতা প্রধান শিক্ষকের নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫ - ২০২০
Theme Customized By BreakingNews