ফুলবাড়ীতে ঐতিহ্যবাহী দেড়শো বছরের অধিক পুরোনো দশহারার মেলা  ফুলবাড়ীতে ঐতিহ্যবাহী দেড়শো বছরের অধিক পুরোনো দশহারার মেলা  – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নাগেশ্বরীতে বিএনপির আহবায়কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ নিটার ক্যাম্পাসে সমকামীতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সরব অবস্থান  দিনে ‘অচল’ ড্রেজার রাতে সচল আত্রাইয়ে চুরি ও মাদক মামলার আসামিসহ গ্রেফতার ৫ সংবাদ সম্মেলনে ওসমানীনগর বিএনপি : একটি মহলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ছাতকে ‘জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহণ’ ও আলোচনা সভা কুলাউড়ায় ফ্যাসিস্টযুক্ত বিএনপির কমিটি বাতিল কমলগঞ্জে শিক্ষিক খুনের ২ মাস : প্রধান আসামী অধরা : মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে ভিডিও বার্তায় বড়লেখায় পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির লাইনম্যানকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম : হামলাকারি গ্রেফতার জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে লাখো কন্ঠে শপথ নিলেন কুলাউড়াবাসী

ফুলবাড়ীতে ঐতিহ্যবাহী দেড়শো বছরের অধিক পুরোনো দশহারার মেলা 

  • বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০২২
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :: সূর্য বংশীয় রাজা দশরত দশমীতে পাপ মোচনের জন‍্য গঙ্গা নদীতে স্নান সেরে পূজা দিয়ে নিষ্পাপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসতেন।
এরই অনুকরণে বাংলা ১২৫০ সালে গঙ্গার শাখা নদী ধরলায় পাপ মোচনের জন‍্য গঙ্গা পূজা করে হিন্দুধর্মলম্বীরা দশমীতে নিষ্পাপ অবস্থায় বাড়ি ফিরেন।
স্নান অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এখানে এদিন গীতাপাঠ, ভগবত আলোচনা, উপবাস এবং সর্বশেষ প্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা এদিন বন্ধু বা সই পাতান। এই বন্ধু বা সই পাতানো প্রক্রিয়া দেখতে খুবই মজাদার। যারা বন্ধু বা সই পাতাতে ইচ্ছুক তারা দুজনে জলে ডুবে পান-সুপারি ও পূর্ণফল বিনিময় ও  মন্ত্রপাঠ করে পুরোহিত এর মাধ্যমে বন্ধু বা সই নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন  করেন। এসবের পাশাপাশি দশমীতে এখানে বিরাট মেলা বসে। সব ধর্মের লোকের আগমনে মুখরিত হয় মেলা প্রাঙ্গণ।
প্রায় দেড়শো বছর ধরে বিশাল কলবরে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ধনীরাম গ্রামে ধরলা নদীর তীরে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। চিলমারী, লাঙ্গলবন্দ, নুনখাওয়া মেলার মত বড়ভিটার আধরলা নদীর তীরের মেলাতেও অনেক পূর্নার্থী আসে।
মেলায় স্নান অনুষ্ঠানের পাশাপাশি  পুতুল নাচ, নাগরদোলা, সার্কাস, যাদুপ্রর্দনীসহ প্রতিবারই কিছু না কিছু ব‍্যবস্থা থাকে। বিশাল মেলায় গৃহকর্মের জন‍্য সব জিনিস পাওয়া যায়।
দা, বটি,কাঠারিসহ সব ধরনের হাতিয়ার। উড়ুন, গাইন, লাঙ্গল,জোয়াল, ঝাপি, ডালি, কুলা, ডুলি, ঝাড়ু, হাতপাখাসহ সস্তায় কৃষি কাজে ব‍্যবহৃত দ্রব‍্যাদী ও মৃৎপাত্রের বিভিন্ন বাহারি তৈষজপত্র, বর্ষার বিভিন্ন ফল, বড়মাছের শুটকিসহ বিভিন্ন জাতের বড় মাছ, বাতাসা,মুড়ি, মিষ্টি -জিলাপীসহ গৃহকাজের ব‍্যবহৃত সব ধরনের দ্রব‍্যাদি মেলায় পাওয়া যায়।
বিশেষ করে,বিভিন্ন রকমারি মিষ্টি ও জিলাপির বিশাল বিশাল দোকান বসে। একদিনের মেলায় বিক্রেতারা প্রচুর জিলাপি বিক্রি করেন। প্রতিষ্ঠা কালীন সময় থেকে এভাবেই মেলা অনুষ্টিত হয়ে আসছে। মেলার বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক পূজার পুরোহিত পল্লব চক্রবর্তী বলেন, দশমীতে এখানে স্নান সেরে পুর্নার্থীরা পাপ মুক্ত হন। স্নান করতে আসা পুর্নার্থী শ্রী কান্ত রায় বলেন স্নান করে পাপ মুক্ত হয়ে ভালো লাগচ্ছে। দেড়শো বছর আগে মেলার নামে মৃত শরৎ চন্দ্র রায় এক একর জমি দান করেন। শুরুতে নিস্বজ জমিতে  পুজা ও মেলা অনুষ্ঠিত হত।
বর্তমানে ধরলার ভাঙ্গন ও গতিপথ বারবার পরিবর্তন হওয়ায় নতুন নতুন স্থানে প্রতিবছরই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। বড়ভিটার পূর্বধনীরাম দশহারার মেলার স্নান ও পূজা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেন্দ্র নাথ রায় জানান, বর্তমানে বিভিন্ন কারণে মেলাটি তার জৌলুস হারাতে বসেছে। নীলকমল নদে একটি ব্রীজ নির্মাণ ও রাস্তা সংস্কার করলে পুর্নার্থীরা সহজে স্নান অনুষ্ঠানে এবং মেলার মুল জমিতে যেতে পারতো।
ঐতিহাসিক এই মেলাটি যাতে বিলুপ্ত হয়ে না যায় সেজন্য  হিন্দুধর্মলম্বীরা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews