জুড়ীতে বন্যা পরিস্থিতির অবণতি পানিবন্দী লক্ষাধিক মানুষ জুড়ীতে বন্যা পরিস্থিতির অবণতি পানিবন্দী লক্ষাধিক মানুষ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখায় পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির লাইনম্যানকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম : হামলাকারি গ্রেফতার জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে লাখো কন্ঠে শপথ নিলেন কুলাউড়াবাসী মৌলভীবাজারে ইকোপার্ক এলাকায় অবৈধ টিলা কর্তনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা মব কালচার মানুষের মধ্যে ভয় আতংক তৈরি করে রেখেছে– রুহুল কবির রিজভী দলীয় প্রতীক থাকছে না স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আন্দোলন করলে বাধ্যতামূলক অবসর সরকারি চাকরীজীবিদের কমলগঞ্জে রাস্তার পাশে সরকারী জায়গায় স্থাপনকৃত অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ কমলগঞ্জে ঘরের ফ্যানের  সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে যুবতীর আত্মহত্যা বড়লেখার হাজী সামছুল হক হাইস্কুলের এসএসসি উত্তীর্ণ কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা কমলগঞ্জে টমেটো গ্রাম বনগাঁও এলাকায় কাঁচা রাস্তায় সীমাহীন ভোগান্তি

জুড়ীতে বন্যা পরিস্থিতির অবণতি পানিবন্দী লক্ষাধিক মানুষ

  • মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০২২

আল আমিন আহমদ, জুড়ী প্রতিনিধি ::

অকাল বন্যায় প্লাবিত মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার অনেকগুলো গ্রাম।আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন ২৯৮০ পরিবারের প্রায় ৩৭ হাজার মানুষ।উপজেলার বেলাগাও, দিঘলবাক, শাহপুর, প্রহল্লাদপুর, হেকিমপুর সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকার মানুষের ঘরে কোমর পর্যন্ত পানি, বাড়ির বেশির ভাগ লোকজন আশ্রয় নিয়েছেন আশ্রয় কেন্দ্রে। ইতোমধ্যে বেশির ভাগ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যার্তদের পাশে দাড়িয়েছে প্রশাসন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ। তবে অতীতে যেভাবে অসহায় মানুষের পাশে যেভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন কিংবা ব্যক্তি সহযোগিতা ছিল বর্তমানে তা কম দেখা যাচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা জানান,প্রথমে ৮ টি আশ্রয় কেন্দ্র ছিল,বন্যা পরিস্থিতি বাড়ার কারনে বর্তমানে ২২ টি আশ্রয় কেন্দ্র ছিল, আজ মঙ্গলবার আরও ২ টি আশ্রয় কেন্দ্র যোগ করে মোট ২৪ টি আশ্রয় কেন্দ্র চালু আছে। আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে ২৯৮০ টি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের ৩৬৪০০ জনের মত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। প্রতিনিয়ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে খাদ্য সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি খোজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে বন্যার্তদের পাশে দাড়িয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। তিনি স্থানীয় যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরকে সাথে নিয়ে নৌকা যোগে প্রত্যন্ত অঞ্চলে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে বিতরন করছেন। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারে ত্রান সামগ্রী বিতরনের পাশাপাশি আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে খাদ্য ও দিতে দেখা যায় তাকে।

পাশাপাশি জাতীয় পার্টির নেতা এমএ মালিক সাচ্চুর পক্ষ থেকে গত দুইদিন কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রে খাদ্য প্রদান করা হয়। পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের সদস্য জাহেদ হোসেন তাজিনের পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্রের প্রায় ৫০০ মানুষের জন্য এক সপ্তাহের খাদ্য সহায়তার অংশ হিসেবে ২ দিন থেকে বিতরন অব্যাহত রেখেছেন। পিডিবির পাওয়ার সাব স্টেশনে পানি থাকার কারনে চারদিন থেকে বিদ্যুৎহীন উপজেলার বেশিরভাগ মানুষ। প্রায় ৭২ ঘন্টা বিদ্যুৎহীন থাকার পর কুলাউড়া পাওয়ার সাব স্টেশন থেকে জুড়ী বাজারে বিদ্যুৎ সরবরাহ দিয়েছে পিডিবি। তবে এখন ও অন্ধকারে উপজেলার বেশির ভাগ মানুষ। চিরা, মোমবাতি,আলু, মুড়ির সংকট দেখা দিয়েছে জুড়ীর দোকানগুলোতে। বিদ্যুৎ না থাকার কারনে মোমবাতি বাড়তি দাম দিয়ে বিক্রি করছেন দোকানদাররা। উপজেলার বেশির ভাগ রাস্তায় সিএনজি, মোটর সাইকেলে চলাচল করতে না পারায় ট্রাকে করে চলাচল করছেন মানুষ।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews