মিশ্র ফলের বাগান ও সবজি চাষে সফল কুলাউড়ার কামরুল মিশ্র ফলের বাগান ও সবজি চাষে সফল কুলাউড়ার কামরুল – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৭:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখা সমাজসেবা অফিসের ‘সমাজকর্মী’ সুব্রত বিশ্বাসের পরলোকগমন : শোক প্রকাশ কুলাউড়ায় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের উপশাখার উদ্বোধন জুড়ী ট্র্যাজেডি : সোনিয়ার মৃত্যুতে বেঁচে রইলো না আর কেউ কুলাউড়ায় এনার ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে গেছে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা আত্রাইয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত বড়লেখায় স্বাধীনতা দিবসে ২শ’ দুস্থ পরিবারে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী দিল বিজিবি জুড়ীতে চালঘেষা বিদ্যুৎ লাইন শেষ করে দিল একটি পরিবার, অগ্নিদগ্ধ শিশু হাসপাতালে কাতরাচ্ছে বিজিবি শ্রীমঙ্গলের পক্ষ থেকে ৩শ পরিবারের মাঝে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কমলগঞ্জে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত ওসমানীনগরে এক প্রবাসী ও তার পিতাকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

মিশ্র ফলের বাগান ও সবজি চাষে সফল কুলাউড়ার কামরুল

  • শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২২

এইবেলা, কুলাউড়া :: কৃষিক্ষেত্রে তার হাতের ছোঁয়ায় যেন সোনা ফলে। মাছ চাষ, মিশ্র ফল, সবজি এবং ডেইরি ফার্মে সকল ক্ষেত্রে পেয়েছেন সফলতা। কৃষি মাঠে নয় রাজনীতির মাঠেও সফলতায় বিচরণ। আর তিনি হলেন কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম। এর পাশাপাশি উগজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

পারিবারিক কারণেই ছাত্র জীবন থেকে কৃষির প্রতি কামরুলের আগ্রহ ও আকর্ষন। পিতা প্রয়াত এমপি আব্দুল জব্বার ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সভাপতি ও একজন সফল কৃষক । আওয়ামী লীগের আজীবন সাধারণ সম্পাদক (১৯৬৪-১৯৯২) আব্দুল জব্বার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতার বিশাল ক্ষেত কৃষি খামার তিনি নিজে দেখাশোনা ও তদারকি করতেন। এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান আরও অনেক পদবির অধিকারী হয়ে ও সময় সুযোগ পেলেই কৃষি কাজে নেমে পড়তেন।

আসম কামরুল ইসলাম ২০০৬ সাল থেকে বাড়ীর পাশে পৈত্রিক সম্পদ প্রায় ১৬ বিগা জমি নিয়ে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন “আয়েশা এগ্রো এন্ড ডেইরি” নামে একটি সমন্মিত খামার বাড়ি। আর ও ১৫ বিঘা জমিতে আধুনিক কৃষি পদ্ধতিতে রয়েছে বিভিন্ন দুর্লভ ও উন্নত জাতের ধান চাষ। তার কৃষি খামারে রয়েছে একটি গরুর খামার গাভী ও গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্প।

ছোট বড় প্রায় সাতটি পুকুর দিয়ে গড়ে তুলেছেন মৎস খামার। পুকুরের চার পাশে দেশী ও ভিয়েতনামী নারিকেল, সব জাতের কলা, লেবু, থাই পেয়েরা, বাউকুল আপেল কুল বড়ই, থাই পেঁপে, হাড়ি ভাঙ্গা আমরোপ আলী বারি ২,৩,৪ আম, দার্জিলিং কমলা ও মালটা, মালটাসহ নানান যাতের ফল ফলাদি।

গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন সব ধরণের শাক- সবজির বাগান। যেখানে শিম, আলু, লাউ, শসা, পুইশাকের বাম্পার ফলন হয় তার হাতের ছোঁয়ায়। বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। উন্নত টমেটো, বেগুন, ব্রুকলি, লেটুস, কেপসিকাম, মিষ্টি কুমড়া, সরিষা, মরিচ, করোলা, বরবটি, ভেনন্টিসহ সকল প্রকার তরিতরকারী বাম্পার ফলন হয়ে থাকে প্রতিবছর।

তাছাড়া ও উন্নত জাতের ধানের মধ্যে আছে যেমন চিনিগুড়া, কালিজিরা, ডায়বেটিক ধান, কালোধান, কালোচাল, চিকনসাইল, গাজী ২৮, গাজী ২৯ সহ বিভিন্ন জাতের ধান চাষ।

আসম কামরুল ইসলাম জানান, আব্বা বলতেন নিজের কাজে কোন লজ্জা নেই। কোন কাজকেই ছোট করে দেখা ঠিক নয়। কাজ জানতে হবে, না হলে অন্যকে দিয়ে সঠিকভাবে কাজ করাতে পারবে না। আমার বাবা প্রায় বলতেন এক সময় তেল কেরাসিন আর নুন ছাড়া কৃষেকের বাড়ীতেই সবকিছুই উৎপাদিতো হতো। পিতার নীতি ও আদর্শকে লালন করে পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে ও রাজনীতর পাশাপাশি কৃষি কাজে মনোনিবেশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর ১০ টি বিশেষ উদ্যোগের অন্যতম আগ্রধিকার প্রকল্প “আমার বাড়ী আমার খামার” প্রকল্প নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আমি উৎসাহিত হই।

আসম কামরুল ইসলাম সাবেক সফল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান এবং বর্তমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ২০১৬-১৭-১৮ তিন বারের জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান ও ২০১৮ সালে সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পেশায় কৃষক কামরুল ছাত্রজীবন থেকে পিতার মতো কৃষি কাজের সাথে সম্পৃত্ত এবং খুবই সাধারণ জীবন যাপনে অভ্যস্ত।

আসম কামরুল উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে প্রতি বছর বৃক্ষা রোপন কর্মসূচি মাধ্যমে প্রচুর ফলজ বনজ ও ঔষধি গাছ বিতরণ ও রোপন করেছি। এছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতি বছর সবধরণের গাছ রোপন করি। উপজেলা চেয়ারম্যানের পরিত্যক্ত বাসভবনে মাঠি ভরাট করে সীমানা প্রাচীর তৈরি করে বিভিন্ন ফলজ ও ঔষধি গাছের বাগান করেন সবজি ও ফুলের বাগান করেন।

তার খামারে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয় এবং তিনি নিজে ও প্রতিদিন ২-৩ ঘন্টা কাজ করেন। এতে করে তিনি আনন্দবোধ ও গৌরববোধ করেন। আগামিতে আর ও বড় পরিসরে ব্যাপক আকারে বাণিজ্যিকভাবে তার অরগানিক সবজি মাছ ফল বাজারজাত কারণের পরিকল্পনা রয়েছে।

এছাড়া তিনি যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ইন্দোনোশিয়া, মালয়েশিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ সফর করেন এবং সেখানে গ্রীণহাউস ও বিভিন্ন আধুনিক কৃষিখামার পরিদর্শন করেন। ভবিষ্যতে তার খামার বাড়িতে গ্রীণহাউস প্রকল্প মাধ্যমে উন্নত ও আধুনিক কৃষির পরিকল্পনা রয়েছে যার মাধ্যমে সারা বছরব্যাপী শাক সবজি উৎপাদন করা সম্ভব।

উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল মোমেন জানান, উনি একজন সফল চাষী। কৃষি বিভাগ সার্বিকভাবে উনার কৃষি কাজে সহায়তা করে থাকে। উনার উৎপাদিত সবজি ও ফল বিষমুক্ত। এভাবে সকল মানুষকে কৃষিকাজে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

উপজেলা মৎস অফিসার মো: আবু মাসুদ জানান, আমি এই উপজেলায় যোগদানের পর উনার মাছের খামার সম্পর্কে জেনেছি। শিগ্রই উনার খামার পরিদর্শণ করবো। প্রয়োজনীয় সহযোগিতাও থাকবে মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews