কুলাউড়ায় সম্বল হারানো হতদরিদ্র সুলেহার কান্না থামছে না কুলাউড়ায় সম্বল হারানো হতদরিদ্র সুলেহার কান্না থামছে না – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আত্রাইয়ে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা কুড়িগ্রামে লোকসংগীত ও পথ নাটক অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে শতভূজা বাসন্তী পূজা সমাপ্ত কমলগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন কুলাউড়ায় সাংবাদিকদের সাথে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মইনুল ইসলাম সবুজের মতবিনিময় কুলাউড়ায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রদর্শনী বড়লেখায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন ও প্রদর্শনী বড়লেখায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ বড়লেখায় আমেরিকা প্রবাসী বিএনপি নেতাকে সংবর্ধনা ও ঈদ পুনর্মিলনী কুলাউড়ায় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজু’র মতবিনিময়

কুলাউড়ায় সম্বল হারানো হতদরিদ্র সুলেহার কান্না থামছে না

  • রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২২

এইবেলা, কুলাউড়া :: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ঘরবাড়ি, কিছু হাঁস ছিলো বানের জলে তারাও হারিয়ে গেছে। বন্যার পর ঋণ নিয়ে কিনেছিলাম গরু। এটাই ছিলো আমার একমাত্র সম্বল। সেই সম্বল ৪টি গরু চুরে নিয়েছে। এখন আমার আর কিছুই রইলো না। আমি নি:স্ব হয়ে গেলাম। এখন আমার কী হবে, কী করবো?’

নিজ বাড়িতে গত ৪দিন থেকে এভাবেই বিলাপ করছিলেন হাকালুকি হাওড় পাড়ের বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সী সুলেহা আক্তার। তিনি কুলাউড়া উপজেলার মদনগৌরি গ্রামের কৃষক ইউনুস মিয়ার স্ত্রী।

সহায়-সম্বল হারিয়ে কুলাউড়া থানার সামনে পাগলপ্রায় হয়ে ছুটোছুটি করছিলেন তিনি। এমনভাবে বিলাপ করছিলেন যেন বিলাপ থামছেই না। যেন তার নিকটত্মীয় কেউ মারা গেছে।

সুলেহা বলেন, আমার পালিত ৪টি গরু প্রতিদিনের ন্যায় গত ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যা অনুমান ৬টার দিকে সময় আমার বসত ঘরের উত্তর পাশে গোয়াল ঘরে বেঁধে রাখি এবং রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে রাত সাড়ে ১১টায় আমিসহ পরিবারের লোকজন বসত ঘরে ঘুমিয়ে পড়ি। ভোর ৫টায় সময় আমি ঘুম থেকে উঠে গোয়াল ঘরে দেখি গোয়াল ঘরে থাকা আমার একমাত্র সম্বল ৪টি গরু নেই, কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে। সাথে সাথে আমি শোর চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে দেখে আমার গোয়াল ঘর থেকে গরু চুরি হওয়ার বিষয়টি জানতে পারে।

সুলেহা আক্তার বলেন, কষ্টের পালন করা গরুগুলো হারিয়ে আমি নি:স্ব হয়ে গেছি। এখন সারা বছর সংসার কিভাবে চালাবো? এই গরুগুলো থেকে যেন দু’টাকা পাই সেজন্য দিনরাত পরিশ্রম করেছি। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। এখন শুধু ভাঙ্গা ঘরটি বাকি রইলো।

তিনি জানান, ৫০ হাজার টাকা ঋণ করে গরু কিনে পালন করেছিলাম। গরুগুলো খুব ভালো মোটাতাজা ছিল। মনে করেছিলাম এই মাসে বিক্রি করে কিছু টাকা পাবো। তা দিয়ে সংসার চালাবো ও সাথে ঋণ দিবো। এখন আমি ঋণ দেবো কিভাবে আর সংসার চালাবো কী করে?

কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস ছালেক জানান, ঘটনার পরদিন ৩০ নভেম্বর ভিকটিম একটি অভিযোগ দিয়েছেন। গরুগুলো উদ্ধারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews