জনবল সংকটে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : ৩৮টি পদ শুন্য জনবল সংকটে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : ৩৮টি পদ শুন্য – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আত্রাইয়ে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা কুড়িগ্রামে লোকসংগীত ও পথ নাটক অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে শতভূজা বাসন্তী পূজা সমাপ্ত কমলগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন কুলাউড়ায় সাংবাদিকদের সাথে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মইনুল ইসলাম সবুজের মতবিনিময় কুলাউড়ায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রদর্শনী বড়লেখায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন ও প্রদর্শনী বড়লেখায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ বড়লেখায় আমেরিকা প্রবাসী বিএনপি নেতাকে সংবর্ধনা ও ঈদ পুনর্মিলনী কুলাউড়ায় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজু’র মতবিনিময়

জনবল সংকটে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : ৩৮টি পদ শুন্য

  • সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

সালমান হোসেন, জুড়ী প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র নামে ৫০ শয্যার হলেও ৩১ শয্যার জনবল ও উপকরণ না থাকায় মারাত্বকভাবে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা প্রদান করতে কর্তৃপক্ষ হিমসিম খাচ্ছে।

জানা যায়, ২০০৪ সালের ২৬ আগস্ট মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা গঠনের পর ৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ভূমি সংক্রান্ত জটিলতায় দীর্ঘ দশ বছর পর উপজেলার বাছিরপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫০ শয্যার (দালিলিক ভাবে) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মৌলভীবাজার সিভিল সার্জনের নিকট হস্তান্তর করে নির্মাতা প্রতিষ্টান। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মো. নাসিম এমপি সেটি উদ্বোধন করেন।

কিন্তু ৫০ শয্যা নয়, ৩১ শয্যার প্রয়োজনীয় জনবল ও উপকরণ না থাকায় বছরাধিককাল ধরে জরুরী বিভাগ ও অন্ত:বিভাগ চালু হয়নি। এরপর অনেক কিছু না থাকার মধ্যে স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় জরুরী বিভাগ ও অন্ত:বিভাগ চালু করা হয়। প্রয়োজনীয় জনবল ও উপকরণ না থাকায় চতুর্থ তলার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে না। হাসপাতালে আগত রোগীর রক্ত, বমি, প্রস্রাব, পায়খানা পরিস্কার করার লোকবল না থাকায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সব মিলিয়ে রোগীদের সেবা দিতে কর্তৃপক্ষ হিমসিম খাচ্ছেন। কারিগরের অভাবে অপারেশন থিয়েটার ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা না হওয়ায় যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে। রোগীরাও চাহিদামত সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জনবল ও মালামালের অভাবে সংকট এড়াতে রোগীদের মৌলভীবাজার কিংবা সিলেট পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। এতে করে রোগীর স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে, সময় ও অর্থ নষ্ট হচ্ছে, পড়ছেন ভোগান্তিতে। নেই বিশুদ্ধ খাবার পানির কোন ব্যবস্থা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সমরজিত সিংহ জানান, হাসপাতালে ৫০ শয্যার ক্ষেত্রে কোন বরাদ্দ নেই। ৩১ শয্যারও পর্যাপ্ত জনবল ও উপকরণ নেই। হাসপাতালে সৃজনকৃত ৬৭টি পদের মধ্যে জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ১, জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারী) ১, মেডিকেল অফিসার ১, সিনিয়র স্টাফ নার্স ১৮, মিডওয়াইফ ১, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ল্যাব ও রেডিও) ২, ফার্মাসিস্ট ১, পরিসংখ্যানবিদ ১, ক্যাশিয়ার ১, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ১, জুনিয়র মেকানিক ১, অফিস সহায়ক ১, ওয়ার্ড বয় ১, আয়া ২, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ৩, বাবুর্চি ২ জনসহ মোট ৩৮টি পদ শুন্য রয়েছে। যার ফলে আমরা প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।

এ বিষয়ে জুড়ী উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, স্থানীয় সংসদ সদস্য, পরিবেশ বন, ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স হস্তান্তর পুর্ববর্তী ৯ লক্ষ ৬২ হাজার ৮ শত ৭৩ টাকার বিদ্যুৎ বিল ঠিকাদারের নিকট পাওনা ছিল। সে জটিলতা আমরা ইতিমধ্যে নিরসন করেছি। হাসপাতালে বিশুদ্ধ পানির জন্য দ্রুত একটি গভীর নলকুপ স্থাপন এবং জনবল সংকটসহ সকল সমস্যা দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews