নিউজ ডেস্ক:-শরিয়াভিত্তিতে লভ্যাংশ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কয়েকশ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এহসান গ্রুপ। এই গ্রুপের চেয়ারম্যান রাগীব আহসান মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে টাকা হাতিয়ে নেন। তিনশ কর্মচারী খাটালেও তাদের বেতন দিতে হতো না। তারাই গ্রাহক জোগাড় করে এনে দিতেন। গ্রাহকের পাশাপাশি এই কর্মচারীরাও প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানীর তোপখানা রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাগীব আহসান (৪১) ও তার সহযোগী আবুল বাশার খানকে (৩৭) গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ভাউচার বই, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া পিরোজপুরে গ্রেফতার হয়েছে তার আরও দুই ভাই।
এহসান গ্রুপের এমডি রাগীব আহসানকে গ্রেফতারের পর তাদের নানা প্রতারণার খবর বেরিয়ে আসছে। বেশি লাভের আশায় প্রতিষ্ঠানটিতে বিনিয়োগ করে নিঃস্ব হয়ে এখন পথে বসেছেন বহু গ্রাহক। এহসান গ্রুপের প্রতারণা থেকে মানুষের ডিম ও মুরগি বিক্রির জমানো টাকাও বাদ যায়নি।
পিরোজপুর শহরের পিটিআই এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর আবদুর রাজ্জাক। এহসান গ্রুপে টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি। গায়ে খেটে উপার্জন করা টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন এহসান গ্রুপে। রাজ্জাকের অভিযোগ, তার মায়ের ডিম ও মুরগি বিক্রির টাকাও বিনিয়োগ করিয়ে আত্মসাৎ করেছে এহসান গ্রুপ।
এহসান গ্রুপের কার্যক্রম সুদমুক্ত জেনে রাজ্জাক ৫০ হাজার ও তার বাবা বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করে ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন সেখানে। রাজ্জাক জানান, তার মা রহিমা বেগম বাড়িতে দেশি মুরগি পালন করতেন। মুরগি ও ডিম বিক্রি করে ৫০ হাজার টাকা জমিয়েছিলেন মা। শরিয়াভিত্তিতে লভ্যাংশ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে এহসান গ্রুপে সেই টাকাও জমা দেওয়া হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সেই টাকা ভাঙিয়ে আবার এককালীন পদ্ধতিতে জমা রাখা হয়। এখন ওই টাকা আর ফেরত দিচ্ছে না এহসান গ্রুপ।
এহসান গ্রুপের কাছে ৫ লাখ টাকা পাওনা বলে দাবি করেন রাজ্জাক। তিনি এই টাকা ফেরত পেতে প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছেন।
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply