বড়লেখা প্রতিনিধি ::
বড়লেখার অর্ধশতাধিক বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রের আশ্রিত দুর্গতরা যখন মশার উপদ্রপে অতিষ্ট, ঠিক তখনই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন পৌরমেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী। পৌরসভার পক্ষ থেকে তিনি উপজেলার ৫২টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রের মশক নিধনে উন্নতমানের ওষুধ প্রয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সোমবার সকালে সুজানগর ইউনিয়নের ছিদ্দেক আলী উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে মশক নিধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ইউএনও খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী ও পৌর মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী।
এসময় উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর হুমায়ুন কবীর, পৌর কাউন্সিলর আব্দুল হাফিজ ললন, সুজানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমরুল ইসলাম লাল, ছিদ্দেক আলী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাহেদুল মজিদ নিকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ দিন বিকেল পর্যন্ত উপজেলার ছিদ্দেক আলী উচ্চ বিদ্যালয়, আজিমগঞ্জ সরকারি প্রাইমারি স্কুল, টেকাহালি উচ্চ বিদ্যায়, কানসাই উচ্চ বিদ্যালয়, হাকালুকি উচ্চ বিদ্যালয়সহ ১২ আশ্রয়কেন্দ্রে মশার ওষুধ প্রয়োগ সম্পন্ন হয়েছে।
জানা গেছে, ভারিবর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার হাকালুকি হাওড়পারের বর্নি, সুজানগর, তালিমপুর, দাসেরবাজার ও নিজ বাহাদুরপুর ইউনিয়নের প্রায় শতভাগ এলাকা এবং বড়লেখা সদর, দক্ষিণভাগ দক্ষিণ, দক্ষিণভাগ উত্তর, উত্তর শাহবাজপুর ও দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের আংশিক এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। এতে দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন। বন্যাদুর্গদের জন্য খুলা হয় ৫২টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র। হাজার হাজার দুর্গত মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ১০দিন ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছে। নানা দুর্ভোগের মধ্যে মশার উপদ্রপে অসহায় মানুষগুলো অতিষ্ট হয়ে উঠে।
পৌরমেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী জানান, মশার ওষুধ পৌর এলাকার বাহিরে প্রয়োগের নিয়ম না থাকলেও আশ্রয়কেন্দ্রের বানভাসি মানুষকে মশা বাহিত রোগ জীবানুর কবল থেকে রক্ষা করতে তিনি উন্নতমানের মশার ওষুধ ছিটানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। যাতে একবার ছিটালো অন্তত ৮-১০দিন মশার উপদ্রপ না থাকে। সোমবার এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন। এদিন ১২টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে ওষুধ প্রয়োগ সম্পন্ন করেছেন। বাকিগুলোতেও প্রয়োগ করবেন।
ইউএনও খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী জানান, দুর্গত এলাকায় বন্যা পরবর্তী নানা রোগ বালাই ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। বিশেষ করে আশ্রয়কেন্দ্রে মশার উপদ্রপ বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পৌরসভার মেয়রের এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
Leave a Reply