এইবেলা, কুলাউড়া :: মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের পূর্ব টাট্রিউলি জামে মসজিদের জমি এলাকার কতিপয় দুষ্কৃতিকারী কর্তৃক জবর দখলের চেষ্টা চালায়। মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তাকে প্রাণে হত্যার হুমকি দেয় জবরদখলকারীরা।
অসহায় গ্রামবাসী মঙ্গলবার ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আরেকটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজন বিরাজ করছে, যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান স্থানীয় লোকজন।
পূর্ব টাট্রিউলি জামে মসজিদের সেক্রেটারি মো. আলাল মিয়ার থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ ও কুলাউড়ার ইউএনও’র কাছে করা গ্রামবাসীর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, মুরইছড়া মৌজার ১৬০৫ দাগের ৩৯ শতক ভূমি বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমত উল্যাহ পূর্ব টাট্রিউলী জামে মসজিদের জন্য দান করেন। একই গ্রামের আব্দুল বাছিত ও রেজাউল জামাল নামক দু’ব্যাক্তি গত ৩০ মার্চ জায়গাটি জবর দখলের চেষ্টা চালায়। এসময় এলাকার লোকজন বাঁধা দিলে দখলকারীরা গালিগালাজ ও হুমকি দেন। ঘটনার পরদিন ৩১ মার্চ মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি মো: জালালা মিয়া কুলাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
থানায় অভিযোগ দায়েরের পর থেকে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আব্দুল বাছিত। অভিযোগকারী ও মসজিদ কমিটির সেক্রেটারিসহ পঞ্চায়েতে অন্যান্য সদস্যদের প্রাণে হত্যার জন্য প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে নিয়ে রাস্তায় ঘুরাফেরা করে। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফলে পঞ্চায়েতের ৬০ জন লোক গণস্বাক্ষর করে ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার কুলাউড়া ইউএনও বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করেন এএসআই নাজমুল। তিনি জানান, জায়গাটি ডিসি খতিয়ানের। জেলা প্রশাসক সেই জায়গাটি বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমত উল্যাহর ছেলে নামে খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে জায়গাটি মুক্তিযোদ্ধার মসজিদে দান করা বৈধ। কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান আজাদ বিষয়টি দেখে দেয়ার কথা। এছাড়া অভিযুক্ত আব্দুল বাছিতকে তার স্বপক্ষে জমির বৈধ কোন কাগজপত্র থাকলে দেখানোর জন্য বলেছি কিন্তু তিনি আজ পর্যন্ত বৈধ কোন কাগজ দেখাতে পারেননি।
অভিযুক্ত আব্দুল বাছিত জানান, জায়গাটি পৃথিমপাশার জমিদার বাড়ির। জায়গাটি মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি জালাল মিয়ার দখলে। এটি মসজিদের কোন জায়গা নয়। মসজিদ কমিটির সভাপতি সেক্রেটারির সাথে ব্যক্তিগত বিরোধ আছে। মসজিদের জায়গা বা মসজিদ নিয়ে কোন বিরোধ নেই।
এব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার জানান, অভিযোগ এখনও আমার কাছে আসেনি। যেহেতু মসজিদের বিষয়, অভিযোগ পেলেই যথাযথ ব্যবস্থা নেবো।#
Leave a Reply