এইবেলা, কুলাউড়া :: কুলাউড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নে এক চোরাকারবারির বাড়িতে অভিযানে গিয়ে বুধবার (১২ এপ্রিল) ৩ বিজিবি সদস্যকে অবরুদ্ধ করে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার খবর পাওয়া গেছে। পরে থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বিজিবির ৩ সদস্যকে উদ্ধার করে।
বিজিবির সদস্যরা হলেন মুড়ইছড়া ক্যাম্পের হাবিলদার কাজী জালাল উদ্দিন, নায়েক আমিরুল হাসান ও সিপাহি সাব্বির আহমদ।
স্থানীয় লোকজন জানান, গাজীপুর এলাকার চোরাকারবারি মোজাম্মিলের বাড়িতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চোরাচালান উদ্ধারে অভিযানে যায় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) মুড়ইছড়া ক্যাম্পের একটি দল। দুপুর ১২টার দিকে বিজিবির সদস্যরা মোজাম্মিলের বাড়িতে গেলে মোজাম্মিল বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় পালাতে গিয়ে তিনি একটি খালে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। এ ছাড়া বিজিবির সদস্যরা তার কাছে চাঁদা দাবি করলে স্থানীয় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে বিজিবির ওই ৩ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার নাদিম মাহমুদ রাজু জানান, স্থানীয় জনতা খবর দেয়ার পর ঘটনাস্থলে যাই। পরে পরিস্থিতি থমথমে থাকায় পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
খবর পেয়ে কুলাউড়া থানার এসআই বিদ্যুৎ পুরকায়স্থ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। অবরুদ্ধ বিজিবি সদস্যদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
চাঁদার বিষয়টি অস্বীকার করে বিজিবির মুড়ইছড়া ক্যাম্পের হাবিলদার কাজী জালাল উদ্দিন জানান, মোজাম্মিলের বাড়িতে ভারতীয় অবৈধ বিড়ি রয়েছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করতে যাই। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মোজাম্মিল তার ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে পালাতে গিয়ে একটি খালে পড়ে পায়ে ব্যথা পান। এ সময় কোনোকিছু বুঝে উঠার আগেই স্থানীয় জনতা একত্রিত হয়ে আমাদের অবরুদ্ধ করে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
এব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুছ ছালেক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ বিজিবির সদস্যদের উদ্ধার করে। এঘটনায় বিজিবি কোন অভিযোগ দায়ের করেনি।#
Leave a Reply