এইবেলা, মৌলভীবাজার ::
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মৌলভীবাজারের শেরপুর-সাদিপুর সম্মুখ সমর উল্লেখযোগ্য একটি ঘটনা। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চায় পিছিয়ে নেই শেরপুর এলাকার সৃজনশীল চেতনার অধিকারি মানুষ। এ এলাকার ইতিহাস ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখার প্রত্যয়ে গঠন করা হয় শেরপুর শ্রীহট্ট সাহিত্য সংসদ। এ সংগঠনের প্রথম প্রকাশনা সাহিত্যের ছোট কাগজ ”অনার্য”র মোড়ক উন্মোচন গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় আজাদ বখত উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মোড়ক উন্মোচনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি, সাংবাদিক নূরুল ইসলাম। সাধারণ সম্পাদক ইয়াসীন সেলিমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ফজলুল আলী। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন কথা সাহিত্যিক আকমল হোসেন নিপু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ইউপি চেয়ারম্যান কবির উদ্দিন আহমদ, ইউপি চেয়ারম্যান অরবিন্দ পোদ্দার বাচ্চু, প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আব্দুল বাছিত। বক্তব্য দেন গবেষক শিকদার মুহাম্মদ কিব্রিয়াহ, অঙ্কন প্রকাশনার কর্ণধার কবি মহিদুর রহমান, সাংবাদিক আহমদ আফরোজ, সাংস্কৃতিক কর্মী অলিউর রহমান, থিয়েটার পাঠশালার সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, শ্রীহট্ট সাহিত্য সংসদের সহসভাপতি ইমরান হোসেন, কবি জাভেদ ভূঁইয়া, কবি বিলাল হোসেন প্রমুখ।
অনার্য সাহিত্য পত্রিকার মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে শ্রীহট্ট সাহিত্য সংসদের সদস্যরা ওইদিন বিকেলে শেরপুরবাজারে র্যালি করে। এরপর সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের শেরপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বর এলাকায় সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি নূরুল ইসলাম, সহসভাপতি ইমরান হোসেন, আব্দুস সামাদ আজাদ, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসীন সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবি বিলাল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ যাদব সূত্রধর প্রমুখ।
এর আগে টি বাংলা ক্রিয়েশেন চ্যানেলের উদ্যোগে ”প্রকৃতির পালা বদলে শেরপুর” প্রামাণ্য চালচ্চিত্রের মহরত অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক কর্মী নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও যাদব সূত্রধরের সভাপতিত্বে কেক কেটে প্রধান অতিথি বিশেষ অতিথিবৃন্দের উপস্থিতিতে ডকুমেন্টারির শুভ মহরত ঘোষণা করেন। ওইদিন মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানস্থলে সংগঠনের সদস্যরা অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে। এর শুভ উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির উদ্দিন আহমদ। বক্তব্য পর্বের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা স্মরণে উপস্থিত সকলে দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সংগীত পরিবেশন করেন সিলেটের শিল্পী অরুণ পাল, স্থানীয় শিল্পী বিধান রায়, ঋতু রায়, তমা আচার্য ও অঙ্কন আচার্য। শিল্পীবৃন্দের গানের তালে তালে নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পীদের অনুপ্রেরণা দেন ইমরান, যাদব, সামাদ, আবুল, দেবাশীষ, হাফিজ, আবদাল, জুয়েলসহ নাম না জানা অনেকে। এ সময় অনুষ্ঠানস্থলে বিজয় উৎসব আবহ বিরাজ করে।
একই মঞ্চে দুই অনুষ্ঠান আয়োজন ও সফলতা অর্জনে যারা অক্লান্ত শ্রম দিয়েছেন তারা হলেন সাংস্কৃতিক কর্মী রাজন আহমদ, এমরান আলী, মিজানূর রহমান, ওবায়দুর রহমান মানিক, শ্রীহট্ট সাহিত্য সংসদের সদস্য ব্যাংকার জাকারিয়া, কবি মো. আব্দুল হাফিজ, লিটন দেব জয়, সৈয়দ আবদাল, হেলাল আহমদ, আবুল হোসেন, জুয়েল আহমদ, বিধান রায়, দেবাশীষ চৌধুরী, ফাহাদ আহমদ শিপন, শাহাব উদ্দিন, রিপন আহমদ, অঙ্কন আচার্য প্রমুখ।
Leave a Reply