বড়লেখায় ভৌতিক বিল আর ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে গ্রাহকরা অতিষ্ট বড়লেখায় ভৌতিক বিল আর ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে গ্রাহকরা অতিষ্ট – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে দূর্ঘটনায় এক নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু বড়লেখায় ৯ মাসের পাকার কাজ ১৩ মাসে ৩ ভাগ! ঠিকাদারের স্বেচ্ছাচারিতায় চরম ভোগান্তি কমলগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে এক ডাকাত নিহত : আহত ২ : আটক ৩ জন কুলাউড়ায় অজ্ঞাত বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার কুলাউড়ায় এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি শতভাগ বাস্তবায়ন করেছে ৩টি প্রতিষ্ঠান ৩ মাস থেকে ১২ চা বাগানের শ্রমিকদের রেশন-বেতন বন্ধ কুলাউড়ার নবারুন আদর্শ বিদ্যাপীটের সভাপতির প্রবাস গমন উপলক্ষে সংবর্ধনা প্রদান কমলগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো খাসিয়াদের বর্ষবিদায় উৎসব “সেং কুটস্নেম” বড়লেখায় শিক্ষা ও সেবা ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা ও পুরস্কার বিতরণ কুড়িগ্রামে শ্রমিক লীগ নেতাকে শ্রমিক দলে রাখার পায়তারা

বড়লেখায় ভৌতিক বিল আর ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে গ্রাহকরা অতিষ্ট

  • শনিবার, ২৬ জুন, ২০২১

আব্দুর রব, বড়লেখা ::

বড়লেখায় ভৌতিক বিদ্যুৎবিল আর ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অর্ধলক্ষাধিক গ্রাহক অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন। লোড শেডিং ও ঝড়-বৃষ্টি না থাকলেও ভেপসা গরমে ভোর রাতসহ দিনে অন্তত ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা।

জানা গেছে, বড়লেখা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি ভৌতিক বা অনুমান নির্ভর বিল দিয়ে প্রতি মাসে গ্রাহকদের হয়রানি করছে। এর থেকে রেহাই পাচ্ছেনা সরকারী প্রতিষ্টাগুলোও। ক্ষুদ্ধ গ্রাহকদের অভিযোগ, অফিসে বসে অনুমান নির্ভর অস্বাভাবিক অঙ্কের বিল তৈরী করে গ্রাহকদের ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পল্লীবিদ্যুৎ কার্যালয়ে দৌড়ঝাঁপ দিয়ে কেউ কেউ ভৌতিক বিল সংশোধন করে আনতে পারলেও অধিকাংশের ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয় না। অফিসের লোকজন অনেককে পরের মাসের বিলের সাথে সমন্বয় করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে বিদায় করেন। ফলে সংযোগ বিচ্ছিন্নের ভয়ে বাধ্য হয়ে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত গ্রাহকরা এটাসেটা বিক্রি করে বিল পরিশোধ করেন।

পৌরশহরের বিদ্যুৎগ্রাহক বাসিন্দা গোবিন্দ দত্তসহ কয়েক ভূক্তভোগী গ্রাহক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তারা অনুমান করে অফিসে বসে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারে বিল তৈরী করে। দরিদ্র শ্রেণীর অনেককে কষ্ট করে বিল পরিশোধ করতে হয়। তিনি বলেন, সাধারণভাবে প্রতি মাসে তিনি যে বিদ্যুৎ বিল পান গত মাসে, প্রায় দ্বিগুণ টাকার বিল পেয়েছেন জুন মাসে। গত বুধবার (২৩ জুন) উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় ভৌতিক বিদ্যুৎ বিলের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন এক সরকারী কর্মকর্তা।

এদিকে ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাজেহাল বড়লেখার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আঞ্চলিক কার্যালয়ের অধীনে ২৫ কেভির সাবস্টেশনকে ছয়টি ফিডারে ভাগ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। শহর ফিডার ছাড়া বাকী ফিডারের আওতায় থাকা গ্রাহকদের প্রতিনিয়ত বিদ্যুতের ভোগান্তির শিকর হতে হচ্ছে। গত মে মাস থেকে তা যেন চরম আকার ধারণ করেছে। এ নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। অনেক গ্রহাক বিদ্যুতের হয়রানী বন্ধে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

পৌরশহরের মধ্যে প্রায় পাঁচ শতাধিক গ্রাহক রয়েছেন যারা দু‘নম্বর ফিডারের আওতায়। হাজীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন খদিজা ভবনে বসবাসকারীর শরীফ উদ্দিন জানান, তাদের ভবনসংলগ্ন বাসা শহর ফিডারের সাথে সংযুক্ত। পাশের বাসায় ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকলেও অন্য ফিডারের হওয়ায় তাকে প্রতিদিন দু‘তিন ঘণ্টা পর পর অন্তত ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকতে হয়। উপজেলা সদরের গ্রাহক সজল চন্দ্র নাথ, মাছুম আহমদ অসীম দে, দাসেরবাজারের বিমল তীব্র ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, প্রতিদিন ভোররাতে বিদ্যুৎ বন্ধ করে সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ চালু করা হয়। এ ছাড়া ঝড়-বৃষ্টি না থাকলেও রোজ আন্তত দুই তিনবার বিদ্যুৎ চলে যায়। ভ্যাপসা গরমে বিদ্যুতের এমন ভোগান্তিতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জরুরী মোবাইল নম্বর ছাড়াও ডিজিএম, এজিএম কমসহ অনেকের ফোনে ফোন দিলে কেউই তা রিসিভ করেন না। একই রকম ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান এনাম উদ্দিন বলেন, আজ (২৫ জুন) সারা দিন থেকে আমাদের এলাকা বিদ্যুৎহীন। ডিজিএমসহ কাউকেই ফোন দিলে তারা ফোন রিসিভ করেননি। একবার একজন ফোন রিসিভ করলেও বিদ্যুৎ বন্ধের সঠিক কারণ বলতে পাবেননি। তা ছাড়া বরাবরই বিদ্যুৎ আফিসে ফোন দিলে কেউ ফোন রিসিভ করে না।

ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ সম্পর্কে সাবস্টেশনে দায়িত্বরত একাধিক লাইন টেকনিশিয়ান বা লাইনম্যান নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মাঝে মধ্যে লাইনে ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে। তা ছাড়া স্যারেরা আমাদের যেভাবে নির্দেশ দেন সে ভাবেই ফিডারগুলো বন্ধ বা চালু করেন। শহর ফিডার কখনও বন্ধ না হওয়া প্রসঙ্গে এক লাইনম্যান জানান, প্রথমত আমাদের স্যারই এসি ছাড়া থাকতে পারেন না। তাছাড়া, অনেক ভিআইপি রয়েছেন এই শহর ফিডারের আওতায়। তাই অন্য ফিডারগুলো বন্ধ রেখে এ ফিডার চালু রাখতে হয়।

পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম এমাজ উদ্দিন সরদার জানন, জনবল সংকটের কারণে প্রত্যেক গ্রাহকের মিটার দেখে বিদ্যুৎ বিল তৈরী সম্ভব হয় না। তাই অনুমান নির্ভর বিল করতে হয়। তবে অতিরিক্ত বিলের অভিযোগ নিয়ে কেউ অফিসে আসলে তাৎক্ষণিক তা সংশোধন করে দেন অথবা পরের মাসের বিলে সমন্বয় করে দেয়া হয়। ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ব্যাপারে বলেন, এক মাস পর এ সমস্যা আর থাকবে না।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews