নিউজ ডেস্ক:গর্ভধারিণী মাকে গৃহবন্দি রেখে মায়ের নামে থাকা ২ একর ১৬ শতাংশ জমি নিজের নামে লিখে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ছেলের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ছেলে মকবুল হোসেন খান ১ মাস ধরে মা খোদেজা বেগমকে ঘর থেকে বের হওয়া বা কাউকে ঘরে ঢুকতে দিচ্ছেন না।
“এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, পুলিশ প্রশাসন এসেও কোনো সুরাহা করতে পারেনি। ফলে খোদেজা বেগমের বাকি ২ ছেলে, ১ মেয়ে ও তার নাতি-নাতনিরা গত ৩০ আগস্টের পর থেকে তাকে দেখতে পাননি।
এ বিষয়ে তারা বরিশাল পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করলে কাজিরহাট থানার একজন এসআই ও কনস্টবেল ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু ওই দিনের পর আর মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি দুই ছেলে ও ১ মেয়ের পরিবার।
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট থানার হিজলা উপজেলার পার্শ্ববর্তী আন্দারমানিক ইউনিয়নের আন্দারমানিক গ্রামে মৃত ইয়াছিন খানের স্ত্রী খোদেজা বেগম (৯৩)। তার তিন ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে আলী আহম্মেদ খান, ছোট ছেলে সেলিম খান এবং একমাত্র মেয়ে ছকিনা বেগমের অভিযোগ পরিবারের মেজো ছেলে মকবুল হোসেন তাদের মা খোদেজা বেগমকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন। কোনোভাবেই তারা মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। তাদের মাকে গৃহবন্দি করে রাখা অবস্থায় ২ একর ১৬ শতাংশ জমি লিখে নেওয়া হয়েছে।
আন্দারমানিক ইউপি সদস্য জামাল খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খোদেজা বেগমকে অবরুদ্ধ করার কারণ জানতে গেলে তারা ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখেন। অনেক ডাকাডাকি ও চিৎকারের পরও তারা দরজা খোলেননি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মকবুল হোসেন খানের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে কল দিলেও তিনি কথা বলেননি। তবে মোবাইল ফোনে মকবুল হোসেনের ছেলে তারিকুল ইসলাম খান বলেন, সমস্যা থাকার কারণে দাদির সাথে কাউকে দেখা করানো যায়নি। পরে পুলিশ আসলে আমার দুই চাচা-চাচি, ফুফুসহ অন্য ভাইবোনেরা দাদির সঙ্গে দেখা করেছেন। দাদি অসুস্থ।
জমি লিখে নেওয়া প্রসঙ্গে তরিকুল ইসলাম বলেন, দাদি আমার নামে সম্পত্তি লিখে দিয়েছেন। এখানে কারও কিছু বলার নেই। তাছাড়া আমার শ্বশুর একজন আমিন। তার মাধ্যমেই জমি লিখে দিয়েছেন আমার দাদি।”
Leave a Reply