কুলাউড়ায় এক বৃদ্ধার সরকারি গভীর নলকূপের পানি সংযোগ বিচ্ছিন্নের অভিযোগ কুলাউড়ায় এক বৃদ্ধার সরকারি গভীর নলকূপের পানি সংযোগ বিচ্ছিন্নের অভিযোগ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫২ পূর্বাহ্ন

কুলাউড়ায় এক বৃদ্ধার সরকারি গভীর নলকূপের পানি সংযোগ বিচ্ছিন্নের অভিযোগ

  • রবিবার, ৮ মে, ২০২২

এইবেলা, কুলাউড়া :: কুলাউড়ায় সরকারি গভীর নলকূপের পানি থেকে এক বৃদ্ধার পরিবারকে বঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত দেড়মাস থেকে পানির লাইন কেটে দেয়ায় চরম পানির সংকটে পড়েছেন ষাটোর্ধ্ব আনোয়ারা বেগম ও তার ৬ সদস্যের পরিবার। গভীর নলকুপের পানি না পেয়ে পাশের ছড়ার দূষিত পানি পান করে ডায়রিয়াসহ অন্যান্য রোগের শিকার হচ্ছেন তারা। এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ২৪ এপ্রিল লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

 


লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত দেড়মাস পূর্বে বাড়ির সামনের রাস্তা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে প্রতিবেশি প্রভাবশালী বিলাল ও রুহুল আমিন পরিবারের লোকজন মিলে আনোয়ারা বেগমের পানির সংযোগ লাইনের পাইপ ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। বিষয়টি নিয়ে কুলাউড়া থানায় বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগম লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশি হস্তক্ষেপে রাস্তার বিরোধ নিষ্পত্তি হয়। সেসময় পানি সংযোগ প্রদানের কথা থাকলেও বিলাল মিয়া ও তার ভাই ভাতিজারা সংযোগ না দিয়ে উল্টো আরও বেশি পানি ও বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্থ করে। ফলে বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগম বাধ্য হয়ে পাশের ছড়া ও অন্য মানুষের পুকুরের দুষিত পানি পান করতে হচ্ছে দেড়মাস থেকে।

বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগম জানান, রমজান মাসে পানির জন্য চরম কষ্ট করেছি। ছড়ার দূষিত পানি পান করে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছে পুরো পরিবার । ফলে ২দিন রোজা রাখতে পারেননি।

তিনি আরও জানান, গভীর নলকূপ স্থাপনকালে প্রায় ২০-২৫ হাজার খরচ দিতে হয়েছে তাকে। আমিসহ ৫টি পরিবারের পানি সুবিধার জন্য সকলের সম্মতিতে প্রতিবেশী হায়দর আলীর জায়গায় গভীর নলকুপটি বসানো হয়। ৪ জনই নিজ নিজ ঘরে পানির সংযোগ নিয়ে পানি ব্যবহার করে আসছেন। কিন্তু বাকি ৩ জন ব্যবহার করতে পারলেও বিলাল মিয়া ও রুহুল আমিন আমার সংযোগ কেটে দেওয়ার কারনে আমি সরকারী গভীর নলকুপের পানি থেকে বঞ্চিত। বর্তমানে ছড়ার দূষিত পানি ফুটিয়ে খেয়ে জীবন যাপন করছি।

এদিকে সরকারী গভীর নলকুপের পাইপ লাইন কাটার দায়ে অভিযুক্ত বিলাল মিয়া ও রুহুল আমিন জানান, আমাদের জায়গার উপর দিয়ে এতদিনে বৈদ্যুতিক লাইন ও পানির লাইন ছিল। এজন্য সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছি। তবে বিকল্প উপায়ে পানি নিলে আমাদের কোন আপত্তি নেই। সংযোগ দেয়ার সময় বাঁধা না দেয়া কিংবা বিগত ২ বছর কেন বাধা দিলেন না? এ প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন আমরা আর দেবো না।।

এব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ টিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়ে সদর ইউপির চেয়ারম্যানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে আমাকে অবহিত করার জন্য বলেছি। #

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews