কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলায় গরু চুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক ও সাধারণ খামারীরা। প্রতি সপ্তাহেই কোন না এলাকা থেকে দুই, চারটি করে গরু চুরি ঘটনা ঘটছে। মঙ্গলবার রাতে পতনঊষার ইউনিয়নের মনসুরপুর গ্রামের দুই কৃষকের চারটি গরু চুরি হয়েছে। প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এসব কৃষকরা। গত দেড় মাসে দুই উপজেলায় প্রায় অর্ধকোটি টাকার গরু চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় কৃষক ও জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগে জানা যায়, দুই উপজেলায় গত দেড় মাসে অসংখ্য গরু চুরি হয়েছে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষকরা। পতনঊষার ইউনিয়নের মনসুরপুর গ্রামের কৃষক মতিন মিয়ার ২টি ও মোস্তফা মিয়া গোয়াল ঘর থেকে ২টি গরু চুরি হয়েছে। রবিবার দিবাগত রাতে শমশেরনগরের দেওছড়া চা বাগানের চুনু রবিদাসের ২টি গরু চুরি হয়েছে। পনের দিন আগে কুলাউড়া উপজেলা হাজীপুর ইউনিয়ন থেকে তিনটি গরু চুরি হয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর নারায়নক্ষেত্র গ্রামের সালেহ আহমদ চৌধুরীর তিনটি গরু চুরি হয়। এভাবে মুন্সীবাজার, শমশেরনগর, রহিমপুর, আদমপুর সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে প্রতি সপ্তাহে গরু চুরি হচ্ছে।
কৃষক মোস্তফা মিয়া, ব্যবসায়ী শাহজাহান মিয়া, ইউপি সদস্য তোয়াবুর রহমান সহ স্থানীয় কৃষকরা গত দু’মাস ধরে গরু চুরির উপদ্রব বেড়ে গেছে। প্রতি সপ্তাহেই কোন না কোন এলাকা থেকে গরু চুরি, গাড়ি চুরি ও দোকান চুরির খবর পাওয়া যাচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন।
এ ব্যাপারে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুর রহিম গাজী গরু চুরির সতত্য নিশ্চিত করে বলেন, মনসুর গ্রামের গিয়ে দুই কৃষকের বাড়ি ঘুরে দেখেছি। কৃষকরা উন্মুক্ত স্থানে গরু না রেখে গোয়াল ঘর বন্ধ রেখে ও নিজেরা একটু সতর্ক থাকলে চুরি রোধ করা যেতো। তবে এসব বিষয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, নতুন যোগদান করেছি তবে গরু চুরি সহ অপরাধ প্রবণতা রোধে সবার সহযোগিতা নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া রাতে পুলিশি টহলও বৃদ্ধি করা হয়েছে।#
Leave a Reply