কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য মতে, মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সপ্তাহের শেষে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকা ঘরে দেখা যায়, মধ্যরাত থেকে পড়ছে ঘন কুয়াশা, বাড়ছে ঠান্ডার মাত্রা। কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে চারদিক।
ফলে দিনের বেলায়ও হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ।
এছাড়া শিশু ও বয়স্কদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষরা। উষ্ণ কাপড়ের অভাবে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষদের কষ্ট দিন দিন বেড়েই চলছে।
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের শতীপুরির নজরুল ইসলামসহ কয়েকজনে বাসিন্দা বলেন, আমরা সোনাহাট স্থলবন্দরে কাজ করি। সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে বন্দরে পৌঁছাতে হয়। ঘন কুয়াশা ও শীতের কারণে কাজে যোগ দিতে কষ্ট হয়।
দিনমজুর জসিমউদ্দিন বলেন, ঘন কুয়াশা পড়ায় ক্ষেত খামারের কাজে যোগ দিতে তাদের দেরি হচ্ছে। এছাড়া শীত বাড়ায় কাজ করতেও সমস্যা হচ্ছে।
অটোরিকশাচালক সাইদুল ইসলাম বলেন, কুয়াশার কারণে সড়কে অটো চালাতে সমস্যা হচ্ছে। সকাল বেলা হেড লাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। তাছাড়া যাত্রীও কমে গেছে। কুয়াশা বাড়লে আয় কমে যাবে। খুবই সমস্যায় পড়বো।
কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো: আব্দুল হাই সরকার বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় এক লাখ ৩৮ হাজার শীতবস্ত্র বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে । যা বিতরণের কার্যক্রম অব্যাহত। এছাড়াও দুঃস্থ ও অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াচ্ছে বেসরকারিভাবে বিভিন্ন সংগঠন।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া বলেন, কুড়িগ্রামে আজকে ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দিন দিন এ জেলার তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে। এতে করে বাড়বে শীতের তীব্রতা।#
Leave a Reply