নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই ::
নওগাঁর আত্রাইয়ে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রাণালয়ের অধীনে দূর্যোগ সহনীয় ১৮টি গৃহহীন পরিবার পেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া পাকাঘর।
জানা গেছে, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষন (টি.আর) ও গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচির বিশেষ বরাদ্ধে ২০১৯-২০ অর্থবছরে আত্রাই উপজেলায় ১৮টি হতদরিদ্র অস্বচ্ছল, গৃহহীন, ভিক্ষুক, দিনমজুর পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দূর্যোগ সহনীয় পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
‘গৃহহীনদের গৃহদান’ কর্মসূচির অগ্রাধিকার প্রদান, দূর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস এবং বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ অনুযায়ী গ্রামীণ এলাকায় যে সকল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সামান্য জমি বা ভিটা আছে কিন্তু টেকসই ঘর নেই তাদের জন্য ৮০০ বর্গফুটের জায়গায় রান্নাঘর, টয়লেটসহ একটি সেমিপাঁকা টিনশেডের দুই কক্ষ বিশিষ্ট নতুন বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রানালয় ১ কোটি ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ৪০০ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
উপজেলা পিআইও অফিস সত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাড়িগুলো নির্মিত হয়েছে ইটের গাঁথুনি, প্লেনশীটের দু’টি করে দরজা-জানালা, অত্যাধুনিক রঙিন টিনের চারচালা ছাউনি বিশিষ্ট ১০ ফিট লম্বা ও ১০ ফিট আয়তনের দুই কক্ষের বাড়ি। একটি রান্নাঘর ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি শৌচাগার,বাড়ীর সামনে এবং রান্নাঘরের সাথে টিনের ছাউনির বারান্দা রয়েছে সেখানে। এতে খরচ হয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা। ইউএনও এবং জনপ্রতিনিধিদের তত্ত্বাবধানে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের মাধ্যমে বাড়িগুলো নির্মাণ করেছে সরকার।
এ ব্যাপারে সুবিধাভোগী লতা বানু জানান, আমি কোনো দিন পাকা ঘরে থাকার স্বপ্নও দেখিনি। আমাদের সামান্য জমিতে সরকার ঘর করে দেওয়ায় স্থায়ী আশ্রয় পেলাম। খেয়ে-না খেয়ে থাকলেও আজ আমি শান্তিতে পাকা বাড়ীতে ঘুমাতে পারছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নভেন্দু নারায়ন চৌধুরী বলেন, ‘দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে হস্তান্তরিত দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি গুলোতে বন্যা, ঘূর্ণিঝড় এবং বজ্রপাত প্রতিরোধ সক্ষমতা রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ছানাউল ইসলাম বলেন, হতদরিদ্রদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় বাড়ী নির্মাণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিনব ও চমকপ্রদ একটি কর্মসূচি। সরকারের এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য দারিদ্র্য থেকে উত্তরণে গ্রামের পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন এবং কোনো মানুষ যেন বাসগৃহহীন না থাকে । #
Leave a Reply