শ্রীমঙ্গলে দুই দিন যাবত দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড শ্রীমঙ্গলে দুই দিন যাবত দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
টানা খরার পর স্বস্তির বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরেছে চা বাগানগুলো কমলগঞ্জে গাছ কাটতে গিয়ে দিনমজুরের মৃত্যু কমলগঞ্জে ট্রাক্টর উল্টে ইট চাপায় নিহত-১ আহত-২ অবৈধ পথে অর্জিত সম্পদ বিক্রি করছেন নাদেল বড়লেখায় নিসচার উদ্যোগে ফিলিস্তিনে ইসরাইলী গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ বড়লেখায় সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় শিশু ভাতিজা হত্যার দায়ে চাচির যাবজ্জীবন কারাদন্ড ৫ আগস্টের পর সেনাবাহিনীর সার্বিক সহযোগিতায়  বদলে গেছে কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারের চিত্র কমলগঞ্জে দুর্বৃত্তদের আগুনে কৃষকের সবজি বাগান পুড়ে ছাঁই : ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি কমলগঞ্জে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে ষাড় গরু বিতরণ

শ্রীমঙ্গলে দুই দিন যাবত দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড

  • বুধবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৩

সৈয়দ ছায়েদ আহমেদ, শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গত দুই দিন যাবত দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার সকালে এখানের তাপমাত্রা ছিলো ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্র। আগের দিন মঙ্গলবারও সকাল ৯টায় এখানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে জেলায় দিনের বেলায় রোদ উঠার কারণে ঠান্ডা কিছুটা কম অনুভূত হয়।

এদিকে জেলাজুড়ে বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। গ্রাম ও শহরে শীতার্ত মানুষদের সকাল ও রাতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের দৃশ্য চোখে পড়ছে। প্রতিদিনই বিকাল হলে শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়। পরদিন দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকছে। শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি ছিন্নমূল ও দিনমজুররা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। প্রচন্ড শীতে কাবু চা বাগান ও হাওর তীরের মানুষসহ নিম্ন আয়ের মানুষ।

গেল ক’দিন থেকে প্রচন্ড ঠান্ডা উপেক্ষা করে জেলার চা শ্রমিক ও হাওরের বোরো চাষিরা মাঠে কাজ করছেন। প্রচ- ঠান্ডা চলমান থাকায় ভরা মৌসুমে বোরো চাষের শ্রমিক সংকট চলমান রয়েছে।

জেলাজুড়ে মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশুগুলোও প্রচন্ড ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে। ঠান্ডা বেড়ে চলায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হাওর তীরের বোরো চাষিরা। তীব্র শীতের মধ্যেও তারা ধানের চারা রোপণ ও পরিচর্যায় ব্যস্ত থাকছেন। জেলাজুড়ে দেখা দিচ্ছে ঠান্ডাজনিত রোগবালাই। জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা কেবল বাড়ছেই। ঠান্ডাজনিত রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। প্রতিটি হাটবাজারে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় বাড়ছে ক্রেতাদের।

সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্বাবধায়ক বিনেন্দ্র ভৌমিক জানান, মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালসহ শীতজনিত রোগে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে শিশু ও বয়স্কদের নিয়মিত ভর্তি অব্যাহত রয়েছে।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান জানান, বুধবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার ছিল ৮ দশমিক ৫ ও সোমবার তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলার ওপর দিয়ে এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। তিনি জানান, আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা এ ধরনের থাকতে পারে।

উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews