এইবেলা, কুলাউড়া :: কুলাউড়া উপজেলার রেহানা চা বাগানের ষাটোর্ধ্বো নারী শ্রমিক রামবতি ভুমিজ, অমৃতা কর্মকার, প্রমিলা সাওতাল, সাবিত্রী রায়, জয়া রিকমনরা আগে ঘুমাতো বস্তার ভেতরে খড় ঢুকিয়ে বানানো খেতা গায়ে দিয়ে। এখন থেকে ওরা কম্বল গায়ে দিবে। শীতের কষ্টে হামদের (আমাদের) অনেক উম (উষ্ণতা) দিবে। আনন্দ প্রকাশ করতে গিয়ে যেন ওরা কান্নায় অনুভুতি প্রকাশ করেছে। দুরে হওয়ায় তাদের খোঁজ কেউ নেয় না বলেও অভিযোগ করেন।
ব্যক্তি মালিকানাধীন রেহানা চা বাগানের শতাধিক পরিবার চা শ্রমিকের বসবাস। দূরবর্তী হওয়ায় তাদের খোঁজ কেউ নেয় না। হাড়কাঁপানো এই শীতে মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন। খবর পেয়ে ০৮ জানুয়ারি রোববার সন্ধ্যায় কুলাউড়ার ৩ সাংবাদিকের উদ্যোগে সরকারি ও বেসরকারিভাবে সংগৃহিত ৬৫টি কম্বল তাদের মাঝে বিতরণ করা হয়। কম্বল পেয়ে চা শ্রমিকরা যেন অনুভুতি হারিয়ে ফেলেন।
কম্বলগুলো শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ করেন কুলাউড়ার সহকারি কমিশনার (ভুমি) মেহেদি হাসান, প্রেসক্লাব কুলাউড়া সভাপতি ও যুগান্তর প্রতিনিধি আজিজুল ইসলাম, ডেইলি স্টার প্রতিনিধি মিন্টু দেশোয়ারা ও সাপ্তাহিক সীমান্তের ডাক পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সঞ্জয় দেবনাথ, রেহানা চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি বিনতা ভুমিজ ও দিলীপ কুমার দাস প্রমুখ।#
Leave a Reply