এইবেলা, কুলাউড়া :: কুলাউড়ায় আউশ আমনের পতিত জমিতে বোরো চাষের চারা রোপণের উদ্বোধন করলেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। কুলাউড়া উপজেলার লক্ষীপুর-গুদগুদি গ্রামের ৫০ একর আউশ আমনের পতিত জমিতে প্রথমবারের মতো যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে উক্ত বোরো চাষ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে কুলাউড়া কৃষি বিভাগ। এ উপলক্ষ্যে ৬ ফেব্রুযারি বিকেলে যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ উপলক্ষ্যে এক কৃষি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। কুলাউড়ার ইউএনও মো. মাহমুদুর রহমান খন্দকারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মুমিনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ, কুলাউড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোছাদ্দেক আহমেদ নোমান প্রমুখ।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলার লক্ষীপুর-গুদগুদি গ্রামের আউশ আমনের পতিত জমিগুলো প্রথমবারের মতো পাশ^বর্তী ফানাই নদী থেকে পানি সংগ্রহ করে ৬০-৭০ জন কৃষক প্রায় ৫০ একর জমিতে সীড শোয়িং মেশিনের মাধ্যমে ট্রেতে বোরো ধানের বীজ রোপণ করা হয়। উক্ত বীজগুলো থেকে উৎপাদিত চারা রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের মাধ্যমে তৈরিকৃত জমিতে রোপণ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে কৃষি বিভাগের সহায়তায় কম্বাইন্ড হানভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে ধান কাটা হবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের পতিত জমিগুলোতে কৃষি ফলনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। সমলয় পদ্ধতিতে পতিত জমিতে বোরো ধান চাষে কৃষকরা বছরে তিনবার এক জমিতে উৎপাদন করতে পারছেন অল্প খরচে। জেলা প্রশাসন বিভিন্ন জায়গায় সেচের পরিধি বাড়াতে কৃষি বিভাগের সাথে আলোচনা করে সুইস গেইট নির্মাণ সহ অন্যান্য কৃষি উৎপাদনে পরামর্শ দিচ্ছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য সরকার কৃষকদের যাবতীয় সহযোগিতা করছে।
এর আগে দুপুর ১২টায় উপজেলা কৃষি অফিস চত্ত্বরে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে তিনব্যাপী কৃষি মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান । ##
Leave a Reply