এইবেলা, কুলাউড়া :: কুলাউড়ার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের গণিপুর ফুটবল খেলার মাঠে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ছগির-বশির স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্টের শুভ উদ্বোধন হয়েছে। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, গণিপুরের আয়োজনে প্রথমবারের মতো এই টুর্ণামেন্টে ১৬টি দল অংশ নিচ্ছে।
১৫ ডিসেম্বর বিকেলে টুর্ণামেন্টির উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইলিায়াছ আলী চৌধুরী। এ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় আয়োজক কমিটির সভাপতি আবু সাইদ চৌধুরী রাজিবের সভাপতিত্বে ও কামরুল হাসান মারুফের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লংলা আধুনিক ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আতাউর রহমান, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুশীল দে, মুক্তিযোদ্ধা মুফিজ আলী, নজির খাঁ, জাসদ নেতা আশিকুর রহমান ফটিক, আব্দুল গফফার কায়ছুর, প্রভাষক মাজহারুল ইসলাম, ইউপি সদস্য মো. আব্দুর মতিন, দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি সৈয়দ আশফাক তানভীর প্রমুখ।
উদ্বোধনী খেলায় পুরসাই হাসনু/জাহিদ ফুটবল একাদশ জয়ী হয় মুক্তাদিপুর তরুণ সংঘের সাথে। অনুষ্টানে বক্তারা শহীদ ছগির-বশির স্মৃতি স্মরণে বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা এদেশের বীর সন্তান ছিলেন। এ অঞ্চলের স্বাধীনতা সংগ্রামে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দুষরদের কাছে যারা প্রাণ দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে শহীদ ছগির ও বশির ছিলেন। ১৯৭১ সালে শহীদ ছগির ও বশিরকে হত্যা করা হয়। এ সময় শহীদ ছগিরের লাশ রাজাকারদের বাধায় কবরস্থানে দাফন না করে শুকনা ছড়া নদীর তীরে মাটি চাপা দেয়া হয়। এছাড়া শহীদ লাশের সন্ধান আজও পায়নি তার পরিবার। অনুষ্টানের বক্তারা শহীদ ছগির ও বশিরের হত্যাকারী ও দুষরদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান সরকারের কাছে। উল্লেখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ছগির আলীর গ্রামের বাড়ি পৃথিমপাশা ইউনিয়নের ভাটগাঁও এবং বশির আলীর বাড়ি রাউৎগাঁও ইউনিয়নের মনরাজ গ্রামে।#
Leave a Reply