কমলগঞ্জে কুল চাষে আজাদুর রহমানের অভাবনীয় সাফল্য কমলগঞ্জে কুল চাষে আজাদুর রহমানের অভাবনীয় সাফল্য – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩১ অপরাহ্ন

কমলগঞ্জে কুল চাষে আজাদুর রহমানের অভাবনীয় সাফল্য

  • বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ, ২০২৩

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরে কূল চাষে এলাকার মডেল হলেন আজাদুর রহমান। তার বাগানে আছে আপেল কুল, বাউকুল, জাম্বুকুল এবং ঢাকা-৯০ কুল। এলাকার চাহিদা পূরণের পর ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিকভাবে সরবরাহ হচ্ছে এ বরই। এ বাগানের চারদিকে তাকালে শুধু বরই আর বরই। ছোট গাছগুলো বরইয়ের ভারে নুইয়ে পড়েছে।
আজাদুর রহমান জানান, কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় বরই চাষে আগ্রহ বাড়ছে এখানকার চাষিদের। এরই মধ্যে এ ফল চাষে সফলতাও পেয়েছেন অনেকে। অল্প পুঁজি ও ঝুঁকি কম থাকায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় বরই চাষ করে অনেকেই সফালতা পেয়েছেন। বরইয়ের বাম্পার ফলনে খরচের চেয়ে লাভের পরিমাণ দুই থেকে তিন গুণ। এতে খুশি চাষিরা। দিন দিন এ ফল চাষে আগ্রহ বাড়ছে অন্য চাষিদেরও।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, আবহাওয়া ও মাটির বৈশিষ্ট্য অনূকূলে থাকায় কমলগঞ্জে চলতি মৌসুমে মিষ্টি বরই আবাদ হয়েছে। আজাদের বাগানে ভালো বরই চাষ হওয়ায় এলাকার যেমন চাহিদা মিটছে, তেমনি বরই চাষ করে তিনি এলাকার অনেকের কাছে মডেল হয়েছেন। তার দেখাদেখি অনেকেই এখন বরই চাষের দিকে ঝুঁকছেন।

সরেজমিন জানা যায়, ১০ একর জমিতে লাগানো বাগানের প্রতিটি গাছে ঢাকা-৯০ কুলে ছেয়ে আছে। ফলের ভারে গাছসহ ডালগুলো নিচের দিকে নুয়ে পড়েছে। বাঁশের খুঁটি দিয়ে আগলে রাখা হয়েছে প্রতিটি গাছ। পাখির হাত থেকে বরই রক্ষায় পুরো বাগান জাল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। ৫ থেকে ৭ জন শ্রমিক বরই বাগানে কাজ করছেন। আজাদুর রহমান প্রতিবছর ২ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে তিন লক্ষাধিক টাকা আয় করেন। তার সফলতা দেখে এলাকার লোকজন অবাক হয়ে যান। চলতি মৌসুমে আজাদুর রহমান ঢাকা-৯০ জাতের বরই চাষ করে বেশি লাভবান হচ্ছেন।

বাগান মালিক আজাদুর রহমান বলেন, ‘প্রতিবছর বাগান থেকে আড়াই থেতে তিন লাখ টাকা আয় হয়। অল্প দিনে বরই চাষ করে লাভবান হওয়া যায়। বিক্রির পাশাপাশি কলম চারা তৈরি করছি। বিভিন্ন ফল-ফুলের চারাও বিক্রি করি। আপেল কুল, বাউকুল, জাম্বুকুল বিক্রি প্রায় শেষ। এ মৌসুমে টক-মিষ্টি সমৃদ্ধ রসালো ঢাকা-৯০ জাতের বরই প্রতি কেজি ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বাউকুল ৪০-৫০টাকা। প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ কেজি বরই বাগান থেকে সংগ্রহ করা হয়।’

আজাদুর রহমানের বরই বাগান দেখতে আসা কমলগঞ্জ পৌরসভা থেকে আসা শিক্ষক ঝুলন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমার মতো আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন লোকজন বরই বাগানটি দেখতে আসছেন। আজাদুর এ বাগান করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।’ বরই কিনতে মৌলভীবাজার থেকে আসা ব্যবসায়ী আলমাছ মিয়া বলেন, ‘শমশেরনগর বিমান ঘাঁটি এলাকার বরই খুব মজাদার। তাই অনেক দূর থেকে বরই কিনতে এলাম।’

মৌলভীবাজার কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামসুদ্দিন আহমদ বলেন, ‘জেলায় ১৯৮ হেক্টর জমিতে বরই আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া ও মাটির গুণাবলি ভালো থাকায় বরইর ফলন ভালো হয়েছে। কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরে আজাদুর রহমানের বাগানের বরইগুলো খুবই সুস্বাদু ও মিষ্টি। তার বাগান দেখে অনেক বেকার যুবক বরই বাগান করতে উৎসাহী হয়ে উঠছেন। ভালো ফলনের জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বাগান মালিকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।’ #

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews