কুলাউড়ার গাজিপুর চা-বাগান- শ্রমিক গৃহ নির্মাণের নামে টিলা কাটার অভিযোগ কুলাউড়ার গাজিপুর চা-বাগান- শ্রমিক গৃহ নির্মাণের নামে টিলা কাটার অভিযোগ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়ায় সরকারি জলমহাল জবরদখল করে মাছ লুটের অভিযোগ বড়লেখায় নিসচা’র উপদেষ্ঠা ও দায়িত্বশীলদের সংবর্ধনা ওসমানীনগরে ঈদে মীলাদুন্নবী (সা:)’র মোবারক র‍্যালী উৎসবমূখর পরিবেশে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে.. কমলগঞ্জে জেলা প্রশাসক কুলাউড়ায় শতবর্ষী মসজিদ সম্প্রসারণে বাঁধা জমি দখল ও টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদে মানববন্ধন কুলাউড়ার ভাটেরা স্টেশন এলাকায় রেললাইন থেকে ছিন্নভিন্ন লাশ উদ্ধার কুলাউড়ার আমতৈলে প্রবাসীদের সংবর্ধনা আত্রাইয়ে ব্রিজের নির্মাণ কাজে ধীরগতি : দুর্ভোগে এলাকাবাসী শ্রীমঙ্গলে এসএমই ফাউন্ডেশনের ঋণ ম্যাচমেকিং কর্মসূচি ও ব্যাংকার-উদ্যোক্তা মত বিনিময় সভা ৪শ’ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক নিদর্শণ আত্রাইয়ের তিন গুম্বুজ মসজিদ-মঠ

কুলাউড়ার গাজিপুর চা-বাগান- শ্রমিক গৃহ নির্মাণের নামে টিলা কাটার অভিযোগ

  • মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩

এইবেলা, কুলাউড়া :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার গাজিপুর চা-বাগানে শ্রমিক গৃহ নির্মাণের নামে টিলাকাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত এক সপ্তাহ থেকে এমন কাজটি করছে বাগান কর্তৃপক্ষ। পরিবেশ অধিদপ্তর বা স্থানীয় প্রশাসন এব্যাপাওে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, বাগান কর্তৃপক্ষের অগোচরেই এমন দুঃসাহসিক কাজটি করেছেন বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি অশোক কুমার গোয়ালা বাবলু এবং বাগান হাসপাতালের ড্রেসার দ্বীপ নারায়ণ গোয়ালা।

পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর ৬ (খ) ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সরকারি বা আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন, মোচন বা স্থর পরিবর্তন করতে পারবে না। তবে অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থের প্রয়োজনে (যেখানে পরিবেশের অধিকতর ক্ষতি হবে না) অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে পাহাড় বা টিলা কাটা যেতে পারে।

গাজিপুর চা-বাগান মেইন ফটকের উত্তর পাশে স্টাফ কোয়ার্টারের পূর্বে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১০-১২ জন বাগান শ্রমিক টিলা কাটার কাজ করছেন। আলাপকালে মাটি কাটায় নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, এখানে শ্রমিক গৃহ নির্মাণ করা হবে। যার কারণে বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি অশোক কুমার গোয়ালা বাবলু এবং বাগান হাসপাতালের ড্রেসার দ্বীপ নারায়ণ গোয়ালা তাদেরকে দিয়ে কাজটি করাচ্ছেন।

স্থানীয় লোকজন জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে ১০-১২ জন শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটা হলেও কেউ বাঁধা দেয়নি। স্থানীয় কিছু লোক মৌখিকভাবে বাঁধা দিলেও কোনো কাজ হয়নি। সমতল ভূমিতে পরিণত করা হচ্ছে টিলাটিকে। বাগানের কয়েকজন শ্রমিক (নাম প্রকাশ না করার শর্তে) জানান, যাঁরা মাটি কাটাচ্ছেন, তাঁরা বাগানের প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কোন প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না।

এ বিষয়ে গাজিপুর চা-বাগান হাসপাতালের ড্রেসার দ্বীপ নারায়ণ গোয়ালা মুঠোফোনে জানান, আমার ছোট ভাই জায়গাটি বাগান সভাপতি বাবলু গোয়ালার কাছ থেকে নিয়েছে। তাই সভাপতির অনুমতি নিয়েই টিলাটি একটু ড্রেসিং করে নিচ্ছি। যাতে ঘর বানিয়ে বসবাস করা যায়। এখন বাগান ম্যানেজমেন্ট আপত্তি করায় কাজ বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয়ে গাজিপুর চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি অশোক কুমার গোয়ালা বাবলু মুঠোফোনে জানান, শ্রমিকের ঘর তৈরি করার জন্য টিলা ড্রেসিং করা হচ্ছে। অনুমতির বিষয়ে তিনি বলেন, এরকমতো অহরহ ঘর হচ্ছে, কেউতো কোনদিন অনুমতি নেয়নি।

এবিষয়ে গাজিপুর চা-বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক জাবের আলী জানান, টিলা কাটা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ, সেটা আমরাও জানি। বাগান কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে তারা দু:সাহসিক কাজটি করে। আমার খবর পেয়ে সাথে সাথে কাজটি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি এবং তাদেরকে শোকজ করেছি।##

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews