নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: নওগাঁর আত্রাইয়ে পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে হাজার হাজার গ্রাহক। গ্রাহকের অভিযোগ বিগত দিনে যে পরিমাণ বিল করা হয় হঠাৎ করে এ মাসে তার কয়েকগুণ বেশি বিল করে গ্রাহকদের দেয়া হয়েছে। গ্রাহকরা এ বিল নিয়ে চরম হয়রানীর শিকার হচ্ছেন।
উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের গ্রাহক ওয়াজেদ আলী জানান, তার বাড়িতে বিদ্যুৎ ব্যবহার বাবদ প্রতিমাসে সাধারণত ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা বিল হয়। কিন্ত বর্তমানে এখন প্রায় দিগুণ পরিমাণ।
বিহারীপুর গ্রামের গৃহবধূ লাকি বানু বলেন, আমার বাসার এক ইউনিটিরে মিটার গত কয়েক দিন আগে পরিবর্তন করা হয়েছে। চলতি মাসে এ মিটারের অনুকূলে যে বিল দেয়া হয়েছে তাতে ব্যবহৃত ইউনিট উল্লেখ নেই। প্রাক্কলিত বিল বলে ভুতুড়ে বিল করা হয়েছে। এটি সংশোধনের জন্য গত রোববার স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গেলে তারা আমাকে না দেখিয়েই পূর্ববর্তী মটিারের ১৩৪ ইউনিটসহ বর্তমান মিটারের ইউনিট সংযোগ করে আকাশচুম্বি বিল কষে দেন। যা এ বাসা নির্মাণের পর থকে অদ্যাবধি কোন দিনই এ পরিমাণ বিল আসেনি।
মহাদিঘী গ্রামের খোরশেদ আলম বলেন, অন্যান্য মাসে আমার বিল আসে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। অথচ এ মাসে বিল এসেছে ১ হাজার ৫৫ টাকা। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গেলে তারা আমাকে মিটার পরিবর্তনের পরামর্শ দেন। মিটার পবির্তন করতে গেলেও বিদ্যুৎ অফিসকে আমার বাড়তি টাকা দিতে হবে।
শাহাগোলা গ্রামের সোহেল হোসেন বলেন, গত মাসের তুলনায় এ মাসে আমার পাঁচগুণ বেশি বিল এসেছে। পরে দেখা গেল আমার ব্যবহৃত রিডিং থেকে অনেক বেশি রিডিংয়ে তারা বিল করেছেন। এভাবে শত শত গ্রাহক প্রতিনিয়ত ভুতুড়ে বিল নিয়ে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আত্রাই জোনাল অফিসের ডিজিএম আব্দুল আলিম বলেন, গ্রাহক হয়ারনী ঠিক না। তবে বিভিন্ন সময় বিলিং শাখার কিছু সমস্যা আসে আমরা যতদূর সম্ভব সেগুলো সমাধান করে দিই। লাকি বানুর মিটারে প্রাক্কলিত বিল করা ঠিক হয়নি। যেহেতু তার মিটার পরিবর্তন করা হয়েছে। সেহেতু পূর্ববর্তী ও পরবর্তী মিটারের রিডিং অনুযায়ী বিল করা উচিত ছিল। #
Leave a Reply