কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা রাকেশ শব্দকর ও তার ছেলের বউয়ের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার (২৮ জানুয়ারি) রাত রাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডে আলিক মিয়ার দোকানের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। হামলাকারী সুমন শব্দকর একই এলাকার বারিন্দ্র শব্দকরের ছেলে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা রাকেশ শব্দকর ও তার ছেলের বউ বাড়ির পাশে একটা মুদি দোকানে সদায় করতে আসেন। এসময় রিক্সা চালক প্রতিবেশি সুমন শব্দকর তাদের উদ্দেশ্যে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে। কারণ জানতে চাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা রাকেশ শব্দকর ও তার ছেলের বৌউকে অটোরিক্সার সিটের নিচে থাকা চেইন দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে মারতে শুরু করে সুমন শব্দকর।
এসময় স্থানীয়রা সুমনের হাত থেকে রক্ষা করে মুক্তিযোদ্ধা রাকেশ শব্দকর ও তার ছেলের বৌকে। পরে তারা সেখান থেকে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে। স্থানীয় বাসিন্দা শিমলা, সবিতা ও ব্যবসায়ী আলিক মিয়া জানান, ‘সুমন ও সবুজ দুইটি ভাই খুব খারাপ। তারা যেকোনো মানুষের সাথে খুব খারাপ আচারণ করে। এভাবে সুমন বীর মুক্তিযোদ্ধা রাকেশ শব্দকর ও তার ছেলের বৌর উপর হামলা করা ঠিক হয়নি। তারা আরও বলেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে যে কারো সাথে ঝগড়া হতে পারে। কিন্তু এভাবে হাত তুলা মোটেও ঠিক হয়নি। সুমন এর বড় ভাই সবুজ কিছু দিন আগেও বীর মুক্তিযোদ্ধা রাকেশ শব্দকর এ উপর হামলা করেছে। এটার ভাল একটা বিচার হওয়া দরকার’।
হামলাকারী সুমন শব্দকর এর বড় ভাই সবুজ শব্দকর বলেন,‘ আমার ভাই ছোট মানুষ বুঝেনি, তাদের উপর হাত তুলেছে। বিচারের মাধ্যমে বিষয়টা শেষ হবে।’ বীর মুক্তিযোদ্ধা রাকেশ শব্দকর বলেন, আমি অসহায় মানুষ। বয়স হয়ে গেছে।
কিছু করতে পারিনা। মুক্তিযোদ্ধার ভাতা দিয়ে কোনো রকম ছেলের বউসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে চলি। কিন্তু সুমন রিক্সার চেইন খুলে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে আমার উপর ও আমার ছেলের বউয়ের উপড়। তার কিছু দিন আগেও তার বড় ভাই সবুজও আমাকে মেরেছে।
তিনি আরও বলেন, হামলার পর আমি থানায় মৌখিক অভিযোগ করেছি। পুলিশ সাথে সাথে একজনকে আটক করেছে। পরে রাতে আবার ছেড়ে দিয়েছে। বিষয়টি বুঝলাম না।’
কমলগঞ্জ পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনসার শোকরানা মান্না বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে সামাজিক বৈঠকে রাতেই সমাধান করা হবে।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল আলম জানান, ‘ঘটনাটি শোনার পর আমরা হামলাকরী সুমন শব্দকরকে আটক করেছি। পরে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিষয়টি বিচারের মাধ্যমে দেখে দিবেন বলেছেন। তাই আটককৃতকে ছেড়ে দিয়েছি।#
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply