এইবেলা, কুলাউড়া ::: শতবর্ষ আর উদযাপন করা হচ্ছে না, সেহেতু যারা চাঁদা দিয়েছেন তারা রশিদ দেখিয়ে তাদের টাকা ফেরত নিতে পারবেন। তিনি ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষার্থে এ বিষয়ে কেউ অপপ্রচার না করে তার সাথে যোগাযোগের আহবান জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আমির হোসেন।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে বিদ্যালয়ের হলরুমে কুলাউড়ায় নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন নিয়ে ফেসবুকে আলোচিত বিষয় নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমির হোসেন এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব বিষয়ে কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. মোবারক হোসেন, উদযাপন কমিটির সদস্য মাহবুব করিম মিন্টুসহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে মো. আমির হোসেন বলেন, ১৯০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনের জন্য ২০১০ সালে সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. আমান উল্লাহকে আহবায়ক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুল জব্বারকে সদস্য সচিব করে স্কুলের শতবর্ষ উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়।
পরবর্তীতে স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রদের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করা হয়। পরে উক্ত কমিটির কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়লে ২০১৭ সালে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলামকে আহবায়ক ও প্রধান শিক্ষক মো. আমির হোসেনকে সদস্য সচিব করে পুনরায় শতবর্ষ পালনের উদ্যোগ নিয়ে চাঁদা সংগ্রহ করা হয়। একইভাবে বিভিন্ন কারণে এই কার্যক্রমও স্থগিত হয়ে যায়।
তিনি বলেন, শতবর্ষ পালন না করে চাঁদা সংগ্রহের বিষয় নিয়ে বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে আলোচনা হলে পূর্বের কমিটির আদায়কৃত চাঁদার ব্যাপারে তিনি যোগাযোগ করেও কোনো টাকার হিসাব পাননি। পরবর্তী সময়ে কমিটির কাছে সংগৃহীত চাঁদার পরিমাণ ২ লক্ষ ৭১ হাজার ২৮২ টাকা থেকে খরচ হয়েছে ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৯৮৭ টাকা। বর্তমানে ব্যাংকে রক্ষিত আছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ২৯৪ টাকা।#
Leave a Reply