এইবেলা নিউজ :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নে গত ৩০ মার্চ রোববার প্রেমঘটিত ঘটনার জের ধরে রাজু আহমদ (২০) নামক এক কলেজ ছাত্রের উপর অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত রাজু আহমদের পরিবারের লোকজন ৯৯৯ নাম্বারে কল করলে কুলাউড়া থানার এসআই আব্দুল মোহিত তাকে উদ্ধার করেন। বর্তমানে আহত রাজু আহমেদ সিলেট ওসানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
জানা যায়, হাজিপুর ইউনিয়নের বিলের পার গ্রামের সুলতান আহমদ পাখির মেয়ের সাথে একই গ্রামের প্রবাসী মনসুর মিয়ার ছেলে রাজু আহমদের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। রাজু আহমদের পরিবার ছেলের প্রেমের বিষয় জানতে পেরে পারিবারিকভাবে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে সুলতান আহমদ পাখির নিকট যান। কিন্তু মেয়ের বাবা সেই প্রস্তাবে রাজি হননি। এনিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে চলছে দ্বন্দ্ব। স্থানীয় পর্যায়ে এনিয়ে শালিস বৈঠকও হয়। মেয়েরপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
রাজু আহমদের পরিবারের অভিযোগ, মেয়ের বাবা অন্যত্র বিয়ে ঠিকঠাক করলে সোস্যাল মিডিয়ায় উভয়ের অন্তরঙ্গ কিছু ছবি প্রকাশিত হয়। এ ঘটনার জের ধরে মেয়ের চাচা সুফিয়ান মিয়া ও মেয়ের ফূফা হারুন মিয়া গত ৩০ মার্চ বিকেলে পীরের বাজার শমসেরনগর রোডের চেয়ারম্যানের বাগানের চৌমোহনা থেকে একটি প্রাইভেট কারে রাজু আহমদকে জোরপূর্বক তুলে তাদের বসত বাড়িতে নিয়ে নিয়ে যান। খবর পেয়ে ছেলের মা ফরিদা বেগম তাদের বাড়িতে গেলে সুফিয়ান মিয়া, সুলতান আহমদ পাখি, সুরমান মিয়া, হারুন মিয়া মিলে মা ও ছেলেকে নির্যাতন করেন। নির্যাতনকালে মা ছেলের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন সুফিয়ান মিয়ার বাড়িতে যেতে চাইলে বাড়িতে কাউকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। ছেলের চাচাতো ভাই আক্তার মিয়া ফোনে অফিসার ইনচার্জ, কুলাউড়া থানা এবং পুলিশ সুপার মৌলভীবাজারকে উদ্ধারের সহযোগিতা কামনা করেন। এমনকি ৯৯৯ কল করেও সহযোগিতা চান।
খবর পেয়ে কুলাউড়া থানার এসআই আব্দুল মোহিত আহত অবস্থায় রাজু আহমদ ও তার মা ফরিদা বেগমকে উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উভয়কে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
কুলাউড়া থানার এসআই আব্দুল মোহিত জানান, আমি তাদের উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেছি। বর্তমানে তারা সিলেট ওসমানী হাসপাতলে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: নুরুল আবছার জানান, প্রেমঘটিত ব্যাপার। স্থানীয়ভাবে বিষয়টা মিমাংসাও হয়েছিলো। ঘটনার দিন নাকি ছেলে মোটরসাইকেল নিয়ে মেয়ের বাড়িতে গেছে। স্থানীয় লোকজন তাকে মারধর করেছে। মেয়ের পক্ষ পর্নগ্রাফির একটা মামলাও দিয়েছেন।#
Leave a Reply