কুলাউড়ার ৬ শিক্ষার্থী পেলো মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রাজস্ব তহবিলের অর্থ আত্মসাত- বড়লেখা উপজেলা পরিষদের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক বরখাস্ত, বিভাগীয় মামলা বড়লেখায় নবপল্লব প্রকল্পের ‘প্রকল্প অবহিতকরণ’ সভা একদল অপকর্ম করে পালিয়েছে, আরেকদল সেই অপকর্মের দায় কাঁধে তুলে নিয়েছে : শফিকুর রহমান আধ্যাত্মিক, মানবিক দর্শন ও লোক ক‌বি সাধক হাসন রাজার মৃত্যুবার্ষিকী আজ আজ বড়লেখা মুক্ত দিবস : মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আলোচনা সভা প্রয়াত ডা. পবন চন্দ্র দেবনাথের ছোট ভাই ব্রজেন্দ্র দেবনাথ আর নেই কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শনে রেলওয়ে সচিব- সম্পন্নের ডেডলাইনেও বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় বড়লেখায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নফল রোজা শেষে ইফতার ও দোয়া মাহফিল কুলাউড়ায় আদালতের নির্দেশনা ভঙ্গ করে কৃষকদের জমিতে ফসল রোপণের অভিযোগ ছাতকের ইউএনও’কে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান

কুলাউড়ার ৬ শিক্ষার্থী পেলো মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ

  • বুধবার, ৭ এপ্রিল, ২০২১

Manual7 Ad Code

এইবেলা, কুলাউড়া ::

কুলাউড়ার ৬ মেধাবী শিক্ষার্থীর পরিবারে বইছে আনন্দের বন্যা। দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে নতুন শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস (২০২০-২১) ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে জাতীয় মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন ওই শিক্ষার্থীরা। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণে একধাপ এগিয়ে গেল তারা।

অদম্য মেধাবী ৬ শিক্ষার্থীরা হলেন, হৃদি দে, ইফফাত জাহান প্রমি, অয়ন কুমার দে, জিল্লুর রহমান, নীলাঞ্জন চক্রবর্তী ও জুমারা বেগম।

মেধাবী এই পরিবারগুলোতে এখন তাই হাসির ঝিলিক। আনন্দে উদ্বেলিত ওই ছয় মেধাবীর পরিবার, আনন্দিত এলাকাবাসীও। তাদের এ অর্জনে এলাকার অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছেন। মেডিকেলে লেখাপড়ার সুযোগ পাওয়া ৬ শিক্ষার্থীরা বলছেন, মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়ে এখন তারা ভীষন খুশি। এতে তাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। তাঁরা প্রত্যেকই ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করতে চান।

হৃদি দে :

Manual4 Ad Code

হৃদি দে কুলাউড়া পৌরশহরের শিবির রোড এলাকার বাসিন্দা ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গৌরা দে ও গৃহিণী প্রতিভা রাণী দেবের দ্বিতীয় কন্যা। হৃদির বড় বোন রিয়া দে’র পর এবার সেও মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। বড় বোন রিয়া দে হবিগঞ্জে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত। আর হৃদির ছোট বোন পর্ণা দে ৮ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। হৃদি দে এবার ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পেয়েছে। এমবিবিএস পরীক্ষায় মার্কস পেয়েছে ৭৭.৭৫। তাঁর মেধা স্কোর ২৭৭.৭৫। মেরিট পজিশন ৪৭৯ অর্জন করেন।

হৃদি বলেন, জীবনযুদ্ধে বেশ কয়েকটি বিজয় এসেছে আমার। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো এ মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পাওয়া। ভর্তি পরীক্ষার তারিখ জানার পর প্রস্তুুতি হিসেবে প্রতিদিন ১৫ ঘন্টা করে পড়তাম। তিনি জানান, এসএসসিতে কুলাউড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ, এইচএসসিতে সিলেট জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ লাভ করেন। এছাড়া ১০ম ও ৮ম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি, ৫ম শ্রেণীতে সাধারন বৃত্তি লাভ করেন। আমার এ ফলাফল অর্জনের পেছনের বাবা-মা ও বড় আপার উৎসাহ সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করার। সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলছি।

ইফফাত জাহান প্রমি :

প্রমি কুলাউড়া পৌর শহরের আহমদাবাদ এলাকার বাসিন্দা ও মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী মো. মোখলেছুর রহমান ও কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী আছমা বেগমের মেয়ে। সে এবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। বড় বোন ইশরাত জাহান প্রিমা সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। ছোট ভাই ফাহিম আশরাফ মাহদী ৮ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। প্রমি এমবিবিএস পরীক্ষায় মার্কস পেয়েছে ৭৪.৫। তাঁর মেধা স্কোর ২৭৪.৫। মেরিট পজিশন ১১৭৮ অর্জন করেন।

Manual7 Ad Code

প্রমি বলেন, মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পাওয়াটা আমার জীবনের বড় একটা অর্জন। ভর্তি পরীক্ষার তারিখ জানার পর প্রস্তুুতি হিসেবে প্রতিদিন ১০-১২ ঘন্টা করে পড়তাম। এসএসসিতে কুলাউড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ ফাইভ ও এইচএসসিতে সিলেট এমসি কলেজ থেকে গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ লাভ করেন। এছাড়া ৮ম ও ৫ম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করেন।
তিনি জানান, ছোটবেলা থেকে মানুষের জন্য কিছু করার প্রবল ইচ্ছা ছিল। কখনো ইঞ্জিনিয়ার, কখনো শিক্ষক, কখনো ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। বড় হওয়ার সাথে সাথে ডাক্তার হয়ে মানুর্ষে সেবা করার প্রবল আগ্রহ জন্মালো। ভবিষ্যতে ভালো ডাক্তার হয়ে মানুষের পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ। আমার এ ফলাফল অর্জনের পেছনের বাবা-মা ও বড় আপার উৎসাহ সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে।

জুমারা বেগম :

জুমারা বেগম কুলাউড়ার ভাটেরা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর এলাকার বাসিন্দা মাওলানা আইয়ুব আলী ও গৃহিণী শাহানারা বেগমের মেয়ে। সে এবার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। এমবিবিএসের রেজাল্টে মার্কস পেয়েছে ৭০.২৫। মেধা স্কোর ২৭০.২৫। ২৮৬০ মেরিট পজিশন অর্জন করে।

জুমারা জানায়, সে কুলাউড়ার ভাটেরা স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস ও সিলেট সরকারী মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসিতে এ প্লাস লাভ করেন। পরিবারের ৪ বোন ও ১ ভাইয়ের মধ্যে জুমারা তৃতীয়।

Manual6 Ad Code

জিল্লুর রহমান :

মো. জিল্লুর রহমান কুলাউড়ার হাজিপুর ইউনিয়নের চান্দগাঁও গ্রামের বাসিন্দা, দলিল লেখক ও সাবেক ইউপি সদস্য এখলাছুর রহমানের দুই ছেলের মধ্যে ছোট ছেলে। তাঁর বড় ভাই মোঃ লুৎফুর রহমান কুলাউড়া কবিরাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। জিল্লুর এবার রংপুর সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় পড়ার সুযোগ পেয়েছে। এমবিবিএসের রেজাল্টে মার্কস পেয়েছে ৭১.৫। তাঁর মেধা স্কোর ২৭১.৫। ২২৫২ মেরিট পজিশন অর্জন করেন।

জিল্লুর রহমান জানান, সে শমসেরনগর বিএএফ শাহীন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ পেয়ে এসএসসি ও গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। বিএএফ শাহীন স্কুল এন্ড কলেজের ৫ম শ্রেণির প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিল সে। ৫ম শ্রেণি এবং ৮ম শ্রেণিতে জিল্লুর ট্যালেন্টপুল বৃত্তি লাভ করে।

নীলাঞ্জন চক্রবর্তী :

নীলাঞ্জন কুলাউড়ার বরমচাল ইউনিয়নের বাসিন্দা নিবাস চক্রবর্তী ও অজন্তা রানী দেবীর ছেলে। তাঁর বাবা নিবাস চক্রবর্তী ডলার এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ী। সে এবার ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। এমবিবিএসের রেজাল্টে মার্কস পেয়েছে ৮০.২৫। মেধা স্কোর ২৮০.২৫। ২২৭ মেরিট পজিশন অর্জন করে।

Manual6 Ad Code

নীলাঞ্জন জানায়, সে বরমচাল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসিতে এ প্লাস লাভ করে। ৫ম শ্রেণীতে সাধারণ বৃত্তি লাভ করে। তাঁর এ ফলাফলের পেছনে বাবা- মায়ের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন তাঁর চাচা বরমচাল স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ (অব:) মৃত নিলয় চক্রবর্তী।

অয়ন কুমার দে :

অয়ন কুলাউড়ার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত নিধু রঞ্জন দে ও গৃহিণী অনিমা রানী দে’র ছেলে। অয়নের বাবা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ছিলেন। প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি হওয়ার সময় ২০০৫ সালে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে অয়নের বাবা মারা যান। বড়ভাই নয়ন কুমার দে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। অয়ন এবার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। এমবিবিএসের রেজাল্টে মার্কস পেয়েছে ৭০। তাঁর মেধা স্কোর ২৭০। ২৯৩১ মেরিট পজিশন অর্জন করেন।

অয়ন কুমার দে জানান, সে লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ ফাইভ ও আলী আমজদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে এসএসসিতে জিপিএ ফাইভ পান। এছাড়া ৫ম ও ৮ম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি ও ১০ম শ্রেণীতে সাধারণ বৃত্তি লাভ করেন। ভর্তি পরীক্ষার তারিখ জানার পর প্রস্তুতি হিসেবে প্রতিদিন ১০ ঘন্টা করে পড়তাম। ছোটবেলা থেকে ডাক্তার হওয়ার লক্ষ্যেই পড়াশোনা করেছি মায়ের অনুপ্রেরণা নিয়ে। বাবার পেনশনের টাকায় লেখাপড়ার খরচ চালাই।#

নোট– ছবি -(স্বদেশ মেইল)

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!