কমলগঞ্জে শ্মশানঘাট দখলের চেষ্টার অভিযোগ কমলগঞ্জে শ্মশানঘাট দখলের চেষ্টার অভিযোগ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখায় সালিশে কথিত চোরের নেতৃত্বে ব্যবসায়ির ওপর সন্ত্রাসী হামলা দু’চাচার পিটুনিতে ভাতিজার মৃত্যু : নেপথ্যে পরকিয়া শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের ত্রৈমাসিক সাহিত্য প্রকাশনা ‘লেখন’-এর মোড়ক উন্মোচন  ইসলামী ব্যাংক কুলাউড়া শাখায় আলোচনা ও ইফতার মাহফিল আত্রাইয়ে বিনামূল্যে প্রণোদনার সার-বীজ বিতরণ ফুলবাড়ীতে এক সন্তানের জননীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার  সিলেটে আড়াই হাজার পরিবার পেল ২কোটি ২১ লাখ টাকা সিলেটে সাবেক ঢাবিয়ানদের মিলনমেলা ও ইফতার মাহফিল রেহানা বাগানের কন্ট্রোল রাস্তাটি খাসিয়াদের রাস্তা উল্লেখ করে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ কমলগঞ্জে অসুস্থ অসহায় শিক্ষকের পাশে ইউএনও

কমলগঞ্জে শ্মশানঘাট দখলের চেষ্টার অভিযোগ

  • মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই, ২০২০

এইবেলা, কমলগঞ্জ ::

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের পালজোয়ান মৌজার পালগাঁও গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশানঘাট দখলের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। তবে পুরো জায়গা শ্মশানঘাট নয় বলে দাবি করছেন প্রতিপক্ষের লোকজন।

পালগাঁও গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন জানান, পালজোয়ান মৌজার পালগাঁও গ্রামের এক নম্বর খাস খতিয়ানভ‚ক্ত ৮৪ শতক ভ‚মিতে প্রাচীন শ্মশানঘাট বিদ্যমান। প্রায় দুইশ’ বছর ধরে পূর্বপুরুষদের ব্যবহৃত শ্মশানঘাটটি বর্তমানে স্থানীয় একটি মহল দখলের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তবে সম্প্রতি সময়ে শ্মশানঘাটের পুরো জমি বেড়া দিয়ে সংরÿণ করা হলেও প্রতিপক্ষের লোকেরা কিছু অংশ তাদের নিজেদের দখলে নেয়ার নানা পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন।

পালগাঁও গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হরিপদ দেবনাথ, চিত্তরঞ্জন দেবনাথ, শিক্ষক তপন কুমার দাস, সমাজকর্মী হরিপদ দাস, রঞ্জিত বিশ্বাস, দিলীপ শীল, বিনয় মালাকার, বলাই দেব কানুনঙ্গ, নিধু ভূষন দাস, নিত্যানন্দ দেবনাথসহ অর্ধশতাধিক গ্রামবাসী বলেন, পালগাঁও গ্রামের শ্মশানটি অত্র এলাকার শতাধিক হিন্দু পরিবারের শেষকৃত্য, সমাধি করা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে এই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন শ্মশানঘাটটি ব্যবহার করে আসছেন। এক পর্যায়ে জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে ১৯৮৬ সনে মৌলভীবাজার মুন্সেফী ২য় আদালতে মামলায় ৮৪ শতক ভূমি শ্মশানঘাটের জন্য আদালত রায় প্রদান করেন।

তারা আরও বলেন, সম্প্রতি গ্রামের ইছাাক মিয়া, মজিদ মিয়া, বশির মিয়া, জামাল মিয়া, কদ্দুস মিয়া গং ব্যক্তিরা শ্মশানঘাটের কিছু জমি কবরস্থানের জন্য দিতে হবে বলে নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যতায় দাঙ্গাহাঙ্গারও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন বলে তারা অভিযোগ করেন। ফলে এ বিষয় নিয়ে স্থানীয়ভাবে দু’দফা শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও কোন সুরাহা হয়নি। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা তাদের রেকর্ডকৃত শ্মশানের ভূমি থেকে কবরস্থানের জন্য জমি দিতে রাজি হননি। তারা বলেন, কাগজপত্রে ৮৪ শতক ভূমি থাকলেও বাস্তবে খিরনী নদীর ভাঙ্গনে বেশ কিছু ভূমি নদীর পেটে বিলীন হয়ে গেছে।

তবে অভিযোগ বিষয়ে পালগাঁও গ্রামের জামাল মিয়া বলেন, মূলত: এই ভূমি জমিদারী। তাছাড়া এস.এ খতিয়ানে মালিকানা একজনের আবার আলাউদ্দীন, মস্তফা উদ্দীনের বিনিময়কৃত ভূমি। এখানে দীর্ঘদিন ধরে গোচারন ভূমি ছিল। সম্প্রতি সময়ে কিছু স্থানে হিন্দু লোকজন সমাধি বা শেষকৃত্য করে আসছেন। কাগজপত্র বা রেকর্ডে এই ভূমি লায়েক পতিত। তাই আমরা এই ভূমিতে কবরস্থানের জন্য ব্যবহারের চেষ্টা করছি। তবে সামাজিকভাবে বিষয়টি সমাধা হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি দাবি করেন। #

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫ - ২০২০
Theme Customized By BreakingNews