বড়লেখায়  কলেজছাত্র প্রান্ত হত্যা মামলা : ২ আসামীর বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগপত্র বড়লেখায়  কলেজছাত্র প্রান্ত হত্যা মামলা : ২ আসামীর বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগপত্র – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আত্রাইয়ে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা কুড়িগ্রামে লোকসংগীত ও পথ নাটক অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে শতভূজা বাসন্তী পূজা সমাপ্ত কমলগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন কুলাউড়ায় সাংবাদিকদের সাথে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মইনুল ইসলাম সবুজের মতবিনিময় কুলাউড়ায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রদর্শনী বড়লেখায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন ও প্রদর্শনী বড়লেখায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ বড়লেখায় আমেরিকা প্রবাসী বিএনপি নেতাকে সংবর্ধনা ও ঈদ পুনর্মিলনী কুলাউড়ায় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজু’র মতবিনিময়

বড়লেখায়  কলেজছাত্র প্রান্ত হত্যা মামলা : ২ আসামীর বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগপত্র

  • রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০

আব্দুর রব, বড়লেখা :

বড়লেখায় চাঞ্চল্যকর কলেজছাত্র প্রান্ত চন্দ্র দাস (১৮) হত্যাকান্ডের প্রায় ২ বছর পর ২ আসামীকে অভিযুক্ত করে পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্র অবশেষে গ্রহণ করেছেন বড়লেখা সিনিয়ির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। অভিযুক্তরা হলো নিহত কলেজছাত্র প্রান্ত দাসের পিসাতো ভাই সুমন দাস ও তার স্ত্রী নিভা রানী দাস। সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাউসার দস্তগীর অভিযোগপত্র জমা দেন। শনিবার আদালতের এপিপি গোপাল দত্ত তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, মামলার প্রধান আসামি সুমন দাসের স্ত্রী নিভা রানী দাস শিলার সঙ্গে অসামাজিক কর্মকা-ে লিপ্ত হওয়ায় তিনি প্রান্তকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে ঘটনাটি আড়াল করতে আসামি সুমন দাস ও তার স্ত্রী নিভা রানী দাসের সহায়তায় তাদের বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরের জানালার গ্রিলে মুখ বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে প্রান্তকে দাঁড় করিয়ে রাখেন। এতে আরও বলা হয়, মামলার এজাহারনামীয় আসামি নিরেশ দাস, নিকেশ দাস, সুকুমার দাস, সুভন দাস, চন্দন দাস, ববিতা রানী দাস মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

এদিকে অভিযোগপত্রের বিষয়ে কোনো আপত্তি আছে কি-না জানতে চাইলে মামলার বাদি নিহত প্রান্ত দাসের বড়ভাই শুভ দাস শনিবার সকালে বলেন, অভিযোগপত্রের বিষয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই। কারণ এর আগে পিবিআইয়ের জমা দেয়া অভিযোগপত্রে মূল আসামিদের বাদ দেওয়ায় আমরা নারাজি আবেদন করেছিলাম। এর প্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের এএসপি (কুলাউড়া) সার্কেলকে নির্দেশ দেন। কিন্তু এখন দেখছি আদালতে পিবিআই ও পুলিশের (এএসপির) জমা দেয়া অভিযোগপত্রে অনেকটা মিল রয়েছে। অর্থাৎ পুলিশ (এএসপির) এখন যে দুজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দাখিল করেছে, পিবিআইয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা এই দুইজনকেই অভিযুক্ত করে চার্জশীট দাখিল করেছিলেন। আমাদের কোনো আপত্তি না থাকায় আদালতও অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন। এখন আমাদের চাওয়া এই মামলার বিচার কাজ যেন দ্রুত শেষ হয়।

বড়লেখা সিনিয়ির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এপিপি গোপল দত্ত বলেন, প্রান্ত হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। বাদি ও তার মায়ের কোনো আপত্তি না থাকায় আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন। মামলাটি বিচার কাজের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়েছে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, গত ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর উপজেলার বর্ণি ইউপির মিহারী নয়াগ্রামের পিসির (ফুফুর) বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরের জানালার গ্রিলে মুখ বাঁধা ও দাঁড় করানো অবস্থায় কলেজছাত্র প্রান্ত দাসের লাশ পাওয়া যায়। প্রান্ত উপজেলার সুজানগর ইউপির বাঘমারা গ্রামের সনত দাসের ছেলে। তিনি পিসির বাড়িতে থেকে কলেজে লেখাপড়া করতেন। এই ঘটনায় থানায় প্রথমে অপমৃত্যু মামলা রুজু হলেও পরবর্তীতে ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে হত্যার প্রমাণ পাওয়ায় নিহত প্রান্ত দাসের বড়ভাই শুভ দাস ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ প্রধান আসামী সুমন চন্দ্র দাসসহ ৫ আসামীকে গ্রেফতার করে। পরে প্রান্তের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য আদালতে অনুমতিক্রমে তাদের ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে প্রধান আসামী সুমন চন্দ্র দাস বড়লেখা সিনিয়ির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট হরিদাস কুমারের খাস কামরায় প্রান্ত হত্যার দায় স্বীকার করে। পরে এ হত্যা মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তরিত হয়। গত বছরের ১৮ জুন পিবিআই (পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশন) পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শিব্বিরুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। দাখিলকৃত চার্জশীটে মূল আসামিদের বাদ দেয়ায় বাদিপক্ষের আইনজীবি গত ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে নারাজি দেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর এ নারাজি পিটিশনের শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাউসার দস্তগীরকে নির্দেশ দেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে সম্প্রতি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাউসার দস্তগীর প্রান্তের পিসাতো দাদা সুমন দাস ও বৌদি নিভা রানী দাসের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews