সুনামগঞ্জের বাদাঘাটে জমে উঠেছে বৃহৎ কোরবানীর পশুর হাট সুনামগঞ্জের বাদাঘাটে জমে উঠেছে বৃহৎ কোরবানীর পশুর হাট – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন

সুনামগঞ্জের বাদাঘাটে জমে উঠেছে বৃহৎ কোরবানীর পশুর হাট

  • রবিবার, ১৮ জুলাই, ২০২১

হাবিব সরোয়ার আজাদ ::

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে এবারের কোরবানীতে সুনামগঞ্জের হাওর গ্রামীণ সীমান্ত জনপদে থাকা প্রান্তিক কৃষকদের লালন করা দেশীয় জাতের গরুর চাহিদা বেড়েছে ক্রেতাদের কাছে ।

কোভিড-১৯ এ চলমান লকডাউন কিছুটা শিথিল হওয়ায় সুনামগঞ্জ সদর সহ জেলার ১১টি উপজেলা, ৪টি পৌর শহরে এ বছর কোরবানীর স্থায়ী ও অস্থায়ী একাধিক কোরবানীর পশুর হাট থাকলেও জেলার উওর পশ্চিম জনপদে থাকা তিনটি বড় হাট তাহিরপুরের বাদাঘাট, বিশ^ম্ভরপুরের চিনাকন্দি, ধর্মপাশার মধ্যনগরের মহেষখোলা কোরবানীর পশুর হাট বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে।

শুরুতে পশুর ন্যায্য মুল্য প্রাপ্তি নিয়ে কৃষক ও খামারীরা কিছুটা হতাশ থাকলেও গত বৃহস্পতিবার হতে ওই তিনটি পশুর হাট ধীরে ধীরে জঠায় হতাশা কেটে গেছে।

এ তিনটি উপজেলার প্রত্যন্ত হাওর, গ্রাম, সীমান্ত জনপদ হতে ব্যাক্তি,প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে,পাইকারগণ কয়েক হাজার পশু কেনার পর পশুর চালান ট্রলার,পিকআপ ট্রাক যোগে সুনামগঞ্জ সদর,ছাতকের জ্উায়া, সিলেটের কাজিরবাজার, রাজধানী ঢাকার গাবতলীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বসা স্থায়ী অস্থায়ী পশুর হাটে বিক্রয়ের জন্য ইতিমধ্যে নিয়ে গেছেন কোরবানীর পশু ত্রেতাদের চাহিদা মেটাতে।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল (বিই্উপি) মিরপুর সেনানিবাসে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের উওর বারহাল,উওর গুটিলা,দক্ষিণ গুটিলা, জালালপুর,বড়দল গ্রামের প্রান্তিক কৃষকদের সাথে সরাসরি অনলাইনে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগ করে শনিবার ২২টি কোরবানীর পশু ক্রয় করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আইনশৃস্খলা বাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র কঠোর নজরধারী থাকায় সীমান্তের ওপারের ভারত হতে কোরবানীর পশু চোরাই পথে না আসায় এবার কৃষক,স্থানীয় খামারীরা কোরবানীর জন্য তাদের লালন করা গরু ছাগল মহিষের ন্যায্য মুল্য পাচ্ছেন।

প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলায় ৪৮ হাজার ৮৫৫টি কোরবানীর যোগ্য পশু রয়েছে। তবে এর বাহিরে হাওর গ্রামীণ সীমান্ত জনপদে প্রান্তিক কৃষকদের ঘরে ২টি ৪টি লালন করা আরো প্রায় ২০ হতে ২৫ হাজার কোরবানী যোগ্য অতিরিক্ত পশু রয়েছে ।

তাহিরপুরের বাদাঘাট পশুর হাটে নিয়ে আসা প্রান্তিক কৃষক আব্দুর নূর ১২ হতে ১৩ মণ ওজনের ‘রাজা মিয়া’ নামে ফ্রিজিয়ান গরু রবিবার হাটে তোলারপর ৪ লাখ টাকা দাম চেয়েছেন।

একই হাটে উপজেলার কামড়াবন্দ গ্রামের উজ্জল মিয়া নামে আরেক কৃষক ২২ মণ ওজনের ‘লাল চাঁন বাদশা, নামে অপর একটি ফ্রিজিয়ান গরু তুলে দাম চেয়েছেন ৭ লাখ।

রবিবার উপজেলার বাদাঘাট বাজারে কোরবানীর পশু ক্রয়ে আসা বিভিন্ন ক্রেতারা জানান, কোরবানীর জন্য এবার ফ্রিজিয়ান গরুর তেমন একটা চাহিদা নেই, ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকায় ৫০ হতে ৭০, ৮০ হতে ১ লাখ ১০ হাজার টাকায় কেনা যায় এমন দেশীয় জাতের গরুর চাহিদা রয়েছে বেশী।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রায়হান কবির জানান, প্রতিটি হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রশাসন ছাড়াও হাটের ইজারাদারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।,
মধ্যস্বত্ব ভোগীদের বাহিরে প্রান্তিক কৃষকরা যাতে তাদের লালনকরা কোরবানীর পশুর ন্যায্য মুল্য পান সেজন্য তাহিরপুরের হাওর গ্রামীণ জনপদ হতে ২২টি গরু কোরবানীর জন্য কেনা হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মিরপুর বিইউপি চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল মো. মাকসুদুল আলম।।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫ - ২০২০
Theme Customized By BreakingNews