কুড়িগ্রামে মৃত নারীকে জীবিত দেখিয়ে দলিল রেজিস্ট্রির অভিযোগ : সাব-রেজিস্ট্রার কারাগারে কুড়িগ্রামে মৃত নারীকে জীবিত দেখিয়ে দলিল রেজিস্ট্রির অভিযোগ : সাব-রেজিস্ট্রার কারাগারে – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১২:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখা সীমান্তে বিএসএফের পুশইন অব্যাহত : আটক ৪৪ ফেসবুকে অশ্লীল পোষ্ট- বড়লেখায় স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা কুড়িগ্রামে আ’লীগের নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্রদের বিক্ষোভ সমাবেশ সড়ক অবরোধ  আত্রাইয়ে কলেজের শ্রেণীকক্ষের টিনের ছাউনিতে পলিথিন দিয়ে চলছে পাঠদান হলোখানায় বাড়ির পাশেই মিললো ৯ম শ্রেণির স্কুলছাত্রীর লাশ কমলগঞ্জে বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্য জনতার হাতে আটক ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হবে ১ জুন থেকে বড়লেখা ভূমি অফিসে খতিয়ান জালিয়াতি : প্রধান সহকারিসহ ৪ জন গেলেন জেলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানুষের মননে ও ভাবনায় প্রাসঙ্গিক থাকবেন চিরকাল কুলাউড়ায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহতদের অর্থ বিতরণের তালিকা নিয়ে তোলপাড়!

কুড়িগ্রামে মৃত নারীকে জীবিত দেখিয়ে দলিল রেজিস্ট্রির অভিযোগ : সাব-রেজিস্ট্রার কারাগারে

  • সোমবার, ১১ অক্টোবর, ২০২১
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ::
কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে মৃত নারীকে জীবিত দেখিয়ে অন্যের নামে দলিল করে জমি রেজিস্ট্রির অভিযোগে সাব-রেজিস্ট্রারসহ দু’জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
রোববার  ১০ অক্টোবর দুপুরে মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে কুড়িগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ এ আদেশ দেন। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) প্রদীপ রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন- নজরুল ইসলাম (৫৭) ও জহুরা খাতুন (৬০)। নজরুল রাজীবপুর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার এবং জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের গছিডাঙা গ্রামের মৃত আবদুস সালামের ছেলে। জহুরা রাজীবপুর উপজেলার বদরপুর গ্রামের মজিবর রহমান খাজার স্ত্রী।
এর আগে আদালতে রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ১৫ মার্চ রাজীবপুর থানায় আবদুল করিম নামে ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের নহর শেখের স্ত্রী ও মামলার বাদী আবদুল করিমের দাদি দৌলতন নেছা ৩৫ বছর আগে মারা যান।
এরপর তার নামে থাকা ৫৪ শতাংশ জমি তার ওয়ারিশরা ভোগদখল করে আসছিলেন। কিন্তু উপজেলার গোল্ডেন লাইফ একাডেমি নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ইসমাঈল হোসেন তার মা জহুরা খাতুনকে দৌলতন নেছা সাজিয়ে দলিল লেখক নুরুন্নবী সরকারসহ কয়েকজনের সহযোগিতায় ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি জমিটির ৫০ শতাংশ গোল্ডেন লাইফ একাডেমির নামে দানপত্র দলিল রেজিস্ট্রি করেন।
সাব-রেজিস্ট্রার নজরুল ইসলাম সঠিকভাবে যাচাই না করেই জহুরা খাতুনকে দৌলতন নেছা হিসেবে জীবিত দেখিয়ে দলিল সম্পাদন করেন। এরপর একই বছর ৭ ফেব্রুয়ারি গোল্ডেন লাইফ একাডেমির পরিচালক ইসমাঈল হোসেন জমিটি দখল নিতে গেলে বাদী আবদুল করিম বাধা দেন। তখন  ইসমাঈল হোসেন জাল দলিলটি প্রদর্শন করলে আবদুল করিম বিষয়টি জানতে পেরে আদালতের শরণাপন্ন হন।
আদালত বাদীর আবেদন আমলে নিয়ে রাজীবপুর থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ হেড কোয়ার্টারের নির্দেশে সিআইডিকে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়। সিআইডি মামলাটি তদন্ত করে সাব-রেজিস্ট্রার নজরুল ইসলাম, দলিল লেখক নুরুন্নবী সরকার, মৃত দৌলতন নেছা হিসেবে পরিচয় দানকারী জহুরা খাতুন ও  গোল্ডেন লাইফ একাডেমির পরিচালক ইসমাঈল হোসেনসহ সাত জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
জিআরও প্রদীপ রায় জানান, আসামিরা এতদিন অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। রোববার  তারা আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অপর আসামিরা এখনও জামিনে রয়েছেন বলে জানান জিআরও।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews