আত্রাইয়ে দুর্যোগ আতঙ্কে ও শ্রমিক সংকটে দিশেহারা কৃষক আত্রাইয়ে দুর্যোগ আতঙ্কে ও শ্রমিক সংকটে দিশেহারা কৃষক – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৮:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাবর গ্রেফতার কমলগঞ্জে ভূমি মেলা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন কুড়িগ্রামে নদীর নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধারে আলোচনা জুড়ীর জায়ফরনগর ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন : সভাপতি ইসহাক আলী, সম্পাদক নুরুল কুলাউড়ায় একটি সরকারি পত্র জালিয়াতির অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ- জুড়ীতে ৮০০ চা শ্রমিককে রেনকোট দিলেন পর্তুগাল প্রবাসী সাচ্চু কুলাউড়ায় অশ্রুসিক্ত নয়নে প্রধান শিক্ষককের বিদায় সংবর্ধনা মৌলভীবাজারে জাল টাকা ও ভারতীয় রুপি জব্দ, আটক ১ কমলগঞ্জে ১৪৯ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও ল্যাপটপ বিতরণ কমলগঞ্জ থেকে উদ্ধার গন্ধগোকুলের শাবক লাউয়ছড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত

আত্রাইয়ে দুর্যোগ আতঙ্কে ও শ্রমিক সংকটে দিশেহারা কৃষক

  • মঙ্গলবার, ১০ মে, ২০২২

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: উত্তর জনপদের শষ্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ের বোরো চাষীরা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, আকাশে গাড় ঘনকালো মেঘের ঘনঘাটার মাঝে ধান কাটা মাড়াই নিয়ে শ্রমিক সংকটে চরম বিপাকে পড়েছে । মাঠভরা পাকা ধান পড়ে রয়েছে। শ্রমিক সংকটের কারণে এ ধান ঘরে তুলতে পারছে না হাজার হাজার কৃষক। ফলে দুর্যোগ আতঙ্কে চরম উৎকন্ঠতার মধ্যে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে তাদেরকে।

বৈরী আবহাওয়ার কারণে পাকা ও আধাপাকা ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। অনেক এলাকায় পাকা ধান রয়েছে পানির নিচে। কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারণে সময়মত ধান কেটে ঘরে তোলা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।

শেষ পর্যন্ত মাঠের ধান সুষ্ঠভাবে ঘরে তুলতে পারবে কিনা তা নিয়েও তাদের মনে এক অজানা শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও উপজেলার ৮ ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে ব্যাপক হারে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। কৃষি অফিসের তথ্যমতে এবারে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার মনিয়ারী, ভোঁপাড়া, শাহাগোলা ও পাঁচুপুর ইউনিয়নে আগাম জাতের জিরাসাইল ও ব্রি-৮১ ধানের চাষ অধিক পরিমাণ জমিতে করা হয়েছে। এসব ধান এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকেই পাকতে শুরু করেছে। বর্তমানে এ ইউনিয়নগুলোর প্রতিটি মাঠ পাকা ধানের সোনালী রঙে রঙ্গিন হয়ে রয়েছে। এদিকে অন্যান্য বছরে রাজশাহীর আড়ানী, নাটোরের আব্দুলপুর, নীলফামারি, ডোমার ও ঠাকুরগাঁওসহ বিভিন্ন অঞ্চলের ধানকাটা শ্রমিক এসে এ ধান কাটতো। ফলে যথাসময়েই কৃষকরা তাদের পাকা ধান গোলায় তুলতে পারতো। এবারে ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে বাইরের শ্রমিক সংখ্যা খুবই কম। এছাড়াও যারা এসেছিল তারা ঈদ করতে বাড়ি গিয়ে আর আসছে না। ফলে এলাকায় তীব্রতর হয়ে উঠেছে শ্রমিক সংকট। আর এ সুযোগে স্থানীয় শ্রমিকরা তাদের মজুরিও বেড়ে দিয়েছে অনেক।

উপজেলার ছোটডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আব্দুস ছামাদ প্রামানিক বলেন, ঈদুল ফিতরের দিন ভোররাতে হঠাৎ করেই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে ছিল হালকা বাতাস। ঘন্টাব্যাপী বৃষ্টিতে পাকা ধানের জমিতে পানি জমে যায়। পানিতে নুয়ে পড়ে পাকা ধান। এখন পুরোদমে কাটা-মাড়াই শুরু হলেও পর্যাপ্ত শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, খাবার দিয়ে একবেলা কাজের জন্য একজন শ্রমিক মজুরী দাবি করছেন ৬০০ টাকা। এতে প্রতিবিঘা জমির ধান কাটা-মাড়াই করে ঘরে তুলতে খরচ হবে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। ফসল কেটে সময়মত ঘরে তোলা না গেলে ফলন বিপর্যয়েরও আশঙ্কা রয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কেএম কাউছার হোসেন বলেন, এবারে উপজেলার প্রতিটি মাঠে বোরো ধানের ফলন ভাল হয়েছে। কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্য পেলে তারা লাভবান হবে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews