চা-শ্রমিক সংঘের ৬৭০ টাকা মজুরিসহ ১২ দফা সুপারিশ পেশ চা-শ্রমিক সংঘের ৬৭০ টাকা মজুরিসহ ১২ দফা সুপারিশ পেশ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ১৮ নভেম্বর ক্যানভাসে ভিন্ন ভিন্ন গল্পে দলীয় প্রদর্শনী সম্পন্ন সিলেটে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি দৈনিক শ্যামল সিলেটের বার্তা সম্পাদকের মৃত্যুতে ছাতকে কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের শোক কুলাউড়ায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা ভূরুঙ্গামারীতে ইয়াবাসহ নারী মাদক কারবারি আটক উলিপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক সভা বড়লেখা সীমান্তে পরিত্যক্ত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার কমলগঞ্জে চা-শ্রমিক সংঘের সভা :  দুর্গাপূজায় ন্যায্য বোনাস প্রদানসহ মজুরির দাবি সিলেটে ‘নগরবাসীর ভোগান্তি কমানো, যানজট নিরসনে অ্যাকশনে পুলিশ

চা-শ্রমিক সংঘের ৬৭০ টাকা মজুরিসহ ১২ দফা সুপারিশ পেশ

  • বুধবার, ২৩ জুন, ২০২১

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::

সরকারের নিম্নতম মজুরি বোর্ড ১১ বছরের বেশি সময় পর গত ১৩ জুন চা-বাগান শিল্প সেক্টরে শ্রমিকদের জন্য ‘এ’ ক্লাস বাগানে দৈনিক ১২০ টাকা, ‘বি’ ও ‘সি’ ক্লাস বাগানে যথাক্রমে ১১৮ টাকা ও ১১৭ টাকা মজুরির প্রস্তাব করে বিভিন্ন সুপারিশ গেজেট আকারে প্রকাশ করেন। মজুরি বোর্ডের সুপারিশ প্রত্যাখান করে চা-শ্রমিক সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটি ও সিলেট জেলা কমিটির পক্ষে বিভিন্ন বাগানের শ্রমিকদের স্বাক্ষরে ২৩ জুন মজুরি বোর্ডের সুপারিশের প্রেক্ষিতে আপত্তি ও ১২ টি বিষয়ে সুনির্দ্দিষ্ট প্রস্তবণা পেশ করেছে।

চা-শ্রমিক সংঘের মৌলভীবাজার জেলা কমিটির আহবায়ক রাজদেও কৈরী ও যুগ্ম-আহবায়ক হরিনারায়ন হাজরা জানান, প্রতি ৫ বছর অন্তর মজুরি বোর্ড গঠন করার আইন থাকলেও ২০০৯ সালের প্রায় ১১ পর ২০১৯ সালে চা-বাগান শিল্প সেক্টরের জন্য নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়। বাংলাদেশ শ্রমআইন-২০০৬ এর ১৩৯(২) ধারা মোতাবেক ৬ মাসের মধ্যে সরকারের কাছে সুপারিশ পাঠানোর আইন থাকলেও বোর্ড গঠনের দেড় বছরের বেশি সময় পর নিম্নতম মজুরির খসড়া সুপারিশ গত ১৩ জুন ২০২১ তারিখে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন চা-শিল্পের ১৬৭ বছরের ইতিহাসেও চা-শ্রমিকদের মজুরি ১৬৭ টাকাও হয়নি। অথচ শ্রমিকদের হাড়ভাঙ্গার পরিশ্রমের ফলশ্রুতিতে চা-উৎপাদনে বাংলাদেশ ৯ম স্থানে উঠে এসেছে। এমনকি করোনাকালে বিভিন্ন শিল্পের শ্রমিকরা ছুটি এবং নানা রকম প্রণোদনা পেলেও চা-শ্রমিক উৎপাদনে সক্রিয় থাকায় ২০২০ সালেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার কেজি চা উৎপাদন বেশি হয়। অথচ এর বিনিময়ে মালিকদের মুনাফা এবং বাবু-সাহেবদের সুযোগ-সুবিধা বাড়লেও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতির এই সময়ে শ্রমিকদেরকে দেওয়া হয় মাত্র দৈনিক ১২০ টাকা। নিম্নতম মজুরি বোর্ড কর্তৃক ঘোষিত ৪৩ টি সেক্টরে এবং মজুরি কমিশন ঘোষিত রাষ্ট্রায়াত্ব শিল্প সেক্টরের মজুরির সাথে তুলনা করলে চা-শ্রমিকদের মজুরি অত্যন্ত কম। উপরন্তু মজুরি বোর্ড তাদের সুপারিশে চা-শিল্পের প্রচলিত প্রথা দ্বি-বার্ষিক চুক্তিকে আগামীতে ত্রি-বার্ষিক করার সুপারিশ করেছে। বিস্ময়কর বিষয় যে ঠিকা শ্রমিকরা যেখানে বর্তমানে ১২০ টাকা মজুরি পাচ্ছেন সেখানে মজুরি বোর্ড প্রস্তাব করেছে ১১০ টাকা। বাংলাদেশ শ্রমআইন-২০০৬ এর ৫৮ ধারায় বিশুদ্ধ পানীয় জলের কথা বলা হলেও মজুরি বোর্ড শ্রমিকদের পানীয় জলের জন্য কূয়ার ব্যবস্থা, শ্রমআইনের সাথে সাংঘর্ষিকভাবে গ্র্যাচুইটি ও কোম্পানীর লভ্যাংশ হতে শ্রমিকদের বঞ্চিত করার মতো সুপারিশও করেছে।

একজন শ্রমিকের দৈনিক পরিশ্রমের পর পরবর্তি দিন কাজে যোগদানের জন্য শক্তি সঞ্চয়ের প্রয়োজনে দৈনিক তিন বেলা অতি সাধারণভাবে আহারের জন্য ১০০(২০+৪০+৪০) টাকা দিলেও পেট ভরে না। তাই স্ত্রী পুত্র কন্যাসহ মা-বাবাকে নিয়ে ৬ সদস্যের এক পরিবারের জন্য দৈনিক ন্যূনতম ৬০০ টাকা দরকার। এর সাথে অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচযুক্ত করলে মাসিক ২০,০০০ টাকা ছাড়া কোনভাবেই বর্তমান অগ্নিমূল্যের বাজারে কোন ভাবেই চলা সম্ভব নয়। তদোপুরি প্রতিবেশি দেশসমূহের চা-শ্রমিকদের মজুরির সাথে তুলনা করলে আমাদের দেশের চা-শ্রমিকদের মজুরি অত্যন্ত্য কম। ২০২০ সালে জাতীয় সংসদে উপাধক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ এমপি চা-শ্রমিকদের মজুরি কমপক্ষে ৫০০ টাকা করার জন্য বক্তব্য দেন। প্রতিবেশি ভারত, শ্রীলঙ্কায়, নেপালসহ শীর্ষ চা উৎপাদনকারী দেশ চীন ও কেনিয়ার চেয়ে আমাদের দেশের চা-শ্রমিকদের মজুরি অনেক কম। অথচ আমাদের দেশের সরকার কথায় কথায় উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়ে বলে থাকেন বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচকে প্রতিবেশিদের থেকে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে। সরকারি তথ্য মতে দেশে রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, মাথাপিছু আয় ২,০৬৪ ডলার(১,৭৫,৫২৪ টাকা); সেখানে চা-শ্রমিকদের সর্বোচ্চ আয় মাসিক ৩,৬০০ টাকা হিসেবে বার্ষিক মাত্র ৪৩,২০০ টাকা।

এমতবস্থায় সরকার গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ডের মাধ্যমে বর্তমান বাজারদরের সাথে সংগতিপূর্ণভাবে ৬/৭ জনের পরিবারের ভরণপোষণের জন্য দৈনিক ৬৭০ টাকা মজুরিসহ চা-শিল্পে নৈমিত্তিক ছুটি (বছরে ১০ দিন) কার্যকর ও অর্জিত ছুটি প্রদানে বৈষম্যসহ শ্রম আইনের বৈষম্য নিরসন করে গণতান্ত্রিক শ্রমআইন প্রণয়ন এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মজুরি ও উৎসব বোনাস প্রদানে সকল অনিয়ম বন্ধ করে শ্রমআইন মোতাবেক নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিস বুক প্রদান এবং ৯০ দিন কাজ করলেই সকল শ্রমিককে স্থায়ী করার বিষয় যুক্ত করে চুড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করার দাবি জানান।#

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6085

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!