কুলাউড়ার জয়চন্ডীতে জবরদখলে থাকা খাস জমিতে হোক ভূমিহীনদের ঠিকানা কুলাউড়ার জয়চন্ডীতে জবরদখলে থাকা খাস জমিতে হোক ভূমিহীনদের ঠিকানা – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ১২:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কাল বুধবার ভোটগ্রহণ-বড়লেখায় ৬৯ ভোট কেন্দ্রের ২৯ টিই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কমলগঞ্জের মিরতিংগা চা বাগানে বেতনসহ যাবতীয় বকেয়া আদায়ের দাবীতে অবস্থান কর্মসুচি  স্ত্রীকে হত্যার পর দা নিয়ে থানায় ঘাতক স্বামীর আত্মসমর্পন বড়লেখার খলাগাও বাজারে বিট পুলিশিং কমিটির সভা মায়ের সংবাদ সম্মেলন- কুলাউড়ায় প্রবাসীকে একের পর এক মিথ্যা মামলায় জড়ানোর অভিযোগ শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তীব্র জনবল সংকট ও তহবিলের ঘাটতির কারণে স্বাস্থ্য সেবা ও এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ব্যাহত হচ্ছে আত্রাইয়ে মহাসড়কে ঝরল এক এনজিও কর্মীর প্রাণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আত্রাইয়ে তিন পদে ১৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল কুলাউড়ায় দুই নেত্রীর লড়াইয়ে কে হাসবেন শেষ হাসি? প্রকপ্ল পরিদর্শণে কুলাউড়ায় ইউনিসেফ ওয়াশ ন্যাশনাল কনসালটেন্ট

কুলাউড়ার জয়চন্ডীতে জবরদখলে থাকা খাস জমিতে হোক ভূমিহীনদের ঠিকানা

  • রবিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২১

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি, এইবেলা ::

কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের রংগীরকুল এলাকায় প্রায় ১৪ একর খাস জমি উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ লক্ষে গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর নেতৃত্বে সেখানে একটি অভিযান চালানো হয়। এদিকে খাস জমি উদ্ধারের খবর পেয়ে শতাধিক স্থানীয় লোকজন সেখানে উপস্থিত হন। জবরদখলে থাকা এসব খাস জমিতে যেন ভূমিহীনদের স্থায়ী ঠিকানা হয় এমনটি দাবী তুলেন উপস্থিত লোকজন।

জানা যায়, জয়চন্ডী ইউনিয়নের রংগীরকুল মৌজার জেএলনং-৫৭, খতিয়ান নং-০১, দাগ নং-১৬৩১ এর ২২.৩০ একর ভূমির মধ্যে প্রায় ১৪ একর সমতল ও টিলা রকমের জমি স্থানীয় বাসিন্দা সাতির মিয়া, আব্দুস শহীদ, ছরবর মিয়া, কদ্দুস মিয়া, মানিক মিয়া গংরা অবৈধভাবে দখল করে ভোগ করছিলেন। তারা এসব খাস জমির অইেশ অংশে পাকা দালানকোঠা তৈরী করে বসবাস করে আসছেন। এমনকি খাস জমি থেকে বিভিন্ন লোকজনের কাছে বিক্রিও করেছেন। কিন্তু তাদের সঠিক কোন দলিলপত্র না থাকায় যাদের কাছে বিক্রি করেছিলেন তাদেরকে রেজিস্ট্রি করে দিতে পারছেন না। এনিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডতাসহ মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। আর এখন এগুলো খাস জমি প্রকাশিত হওয়ায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে জমি ক্রেতাদের মাথায়। আর বিষয়টি নিয়ে এলাকাজুড়েও চলছে নানা ধরনের কানাঘোষা। অথচ যে পরিবারগুলো এই খাস জমি দখল করে রেখেছেন তারা প্রত্যেকেই অবস্থাশালী। এসব পরিবারে একাধিক সদস্য চাকুরিজীবী এবং প্রবাসী।

এদিকে সাতির মিয়া ও শহীদ মিয়া দাবী করছেন, তাদের কাছে দলিলসহ বর্তমান মাঠ রেকর্ড রয়েছে। তবে একাধিক নির্ভরযোগ্য সুত্র জানিয়েছে, ২০১৭-১৮ সালে জয়চন্ডী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কয়ছর রশীদ বড় অংকের টাকা নিয়ে সাতির ও শহীদ মিয়া গংদের একটি রেকর্ডপত্র তৈরী করে দিয়েছেন। যা নিয়ে ওই সময় কানাঘোষা শুরু কয়ছর রশীদকে দ্রুতই বদলি করা হয়।

নির্ভরযোগ্য সুত্র আরও জানিয়েছে, দখলদাররা যে ক্রয়দলিলের কথা উল্লেখ করেছে তা সম্পূর্ণরুপে ভূয়া। কারণ ওই দলিলে বহু পূর্ব থেকেই উক্ত ভূমি খাস খতিয়ানে রেকর্ডভুক্ত। যা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে।

স্থানীয় লোকজন জানান, যাতায়াত ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থাসহ এক ব্লকে এত খাস জমি উপজেলার অন্য কোথাও আছে কি-না সন্দেহ। এখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প ‘জমিসহ ঘর’ বাস্তবায়নের এক বিশাল সুয়োগ রয়েছে। দখলদারদের বসতভিটা ছাড়াও যে পরিমান খালি জমি পড়ে আছে তাতে অনায়াসে ৩ থেকে ৪ শত ভূমিহীন পরিবারকে আশ্রয় দেয়া সম্ভব হবে। পাশাপাশি সর্বদিক দিয়ে সুবিধাজনক স্থানে প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পও বাস্তবায়ন হবে এবং অসহায় ভূমি ও গৃহহীন পরিবারগুলোও উপকৃত হবে। তাই সুশীল সমাজসহ স্থানীয়দের দাবী, উক্ত খাস জমিতেই হোক ভূমিহীনদের ঠিকানা।

গত ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্বজল মোল্লা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শিমুল আলী, সার্ভেয়ার আবদুল সায়েম মামুন, জয়চন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কমর উদ্দিন আহমদ কমরু, জয়চন্ডী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সত্যজিৎ সিং, স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য আজমল আলী, বিমল দাস প্রমুখ।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, ভূমিটুকু সরেজমিন তদন্ত করে এসেছি। সবকিছু যাচাইবাচাই করে আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews