এইবেলা, কুলাউড়া ::
কুলাউড়া শহরের নিকটবর্তী চৌধুরীবাজার ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির মেয়াদউত্তীর্ণ হওয়ার প্রায় বছরকাল অতিক্রান্ত হলেও নতুন নির্বাচন হচ্ছেনা। আর কমিটির সভাপতি গত সাড়ে ৩ বছর থেকে প্রবাসে চলে যাওয়ায় সহ সভাপতি চালাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে সভাপতির কার্যক্রম। সভাপতি না থাকা,মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে বাজার পরিচালনা করা,বাজারের আয়-ব্যয়ের কোন হিসাব ব্যবসায়ীদের মধ্যে উপস্থাপন না করায় ক্ষোভ বিরাজ করছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
জানা যায়,বর্তমান কমিটির সভাপতি ছিলেন নাজির উদ্দিন মজুমদার। সহসভাপতি আইয়ুব আলী,সাধারন সম্পাদক লুৎফুর রহমান। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিন পরেই চলে যান প্রবাসে। পরে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন সহসভাপতি আইয়ুব আলী। কিন্তু তাদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে গত ১০ মাস পূর্বে। কিন্ত মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও তারা যথারীতি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। নতুন নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে তাদের কোন আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছেনা বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
এদিকে জাতীয় সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ ৯৬ সালে এমপি হয়ে বাজারের ব্যবসায়ীদের সুবিধার্তে শেড নির্মান করে দিয়েছিলেন। যাতে করে সাধারন ব্যবসায়ীরা শেডে বসে পণ্য বেচাকেনা করতে পারেন। কিন্তু শেড দখল করে অনেকে বসিয়েছেন চায়ের দোকান,অনেকে শুটকি ও মাছ বিক্রি করছেন স্থায়ীভাবে। অভিযোগে জানা গেছে, শেডের মধ্যে ৩৯ টি অস্থায়ী দোকান বসে প্রতিদিন। বাজারের অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দৈনিক কোন কোন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১শত টাকা,কোন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০/২০ টাকাও চাঁদা আদায় করা হচেছ।
সচেতন মহলের প্রশ্ন বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যে টাকা আদায় করা হচ্ছে তার কোন খাতে কতটাকা ব্যয় হচ্ছে তার সুস্পষ্ট কোন তথ্য কারও জানা নেই। বাজারের সচেতন ব্যবসায়ীদের দাবী, কমিটির যেহেতু মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে কাজেই অবিলম্বে নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করতে উপজেলা প্রশাসনের এগিয়ে আসা উচিত। এবং বাজারের আয়-ব্যয়েরও তথ্য ব্যবসায়ীদের কাছে অবগত করার দাবী সাধারন ব্যবসায়ীদের।
এব্যাপারে চৌধুরীবাজার ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সাধারন সম্পাদক লুৎফুর রহমান জানান, কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে সেটা সঠিক। চেয়ারম্যান সাহেব বাজার কমিটির উপদেষ্টা । তিনি নতুন নির্বাচনের উদ্যোগ নিলে আমাদের কোন আপত্তি থাকবেনা। তিনি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে শুধুমাত্র বিদ্যুৎ বিলের ও চৌকিদারের বেতনের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমান চাঁদা আদায় করা হয়ে থাকে বলে জানান। তিনি বলেন,গত এক/দেড় বছর পূূর্বে সাধারন সভা হয়েছে। এখন কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় আর সাধারন সভা ডাকা হয়নি। আগ্রহ কমে গেছে সকলের। তিনি বলেন, মাছ বিক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি টাকা ইজারাদার আদায় করলে আমাদের কাছে অভিযোগ আসত। মনে হয় ইজারাদার বেশী টাকা আদায় করছেন না।#
caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6085caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6085
Leave a Reply