বড়লেখা প্রতিনিধি :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের সকল প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। যাদের জমি বা গৃহ কিছুই নাই, কোন উপজেলায় খাসজমি না থাকলেও প্রয়োজনে জমি অধিগ্রহণ করে তাদের পুনর্বাসন করা হবে। সরকারের এ প্রকল্প পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে দেশে আর কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না। সরকার দেশকে ভুমিহীন মুক্ত করার লক্ষে কাজ করছে।
মুজিববর্ষে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ‘ক’ শ্রেণীর পরিবারকে শতভাগ পুনর্বাসন যাচাইকরণ বিষয়ে গত মঙ্গলবার বড়লেখা উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ষ্টেকহোল্ডারদের সাথে উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির যৌথ সভায় ঢাকাস্থ সরকারি বাসভবন হতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বন ও পরিবেশমন্ত্রী আরো বলেন, পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পরিবারের মতামতকে বিবেচনায় নিতে হবে। কোন পরিবারের স্থায়ী ঠিকানা হতে দূরে কোথাও পুনর্বাসিত হতে না চাইলে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পুনর্বাসন করা যাবে না। শুধুমাত্র উপজেলায় সরকার নির্ধারিত যেকোনো স্থানে স্বেচ্ছায় পুনর্বাসিত হতে ইচ্ছুকদের পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। মন্ত্রী এসময় যাদের একেবারেই ভূমি বা গৃহ কিছুই নাই তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া তিনি অযোগ্য কেউ যেন মুজিববর্ষের ঘর না পায় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি কড়া নির্দেশনা প্রদান করেন।
ইউএনও খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলীর সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মেহেদী হাসান। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, সহকারী কমিশনার (ভুমি) জাহাঙ্গীর হোসাইন, পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি প্রণয় কুমার দে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. উবায়েদ উল্লাহ খান, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান আজির উদ্দিন, এনাম উদ্দিন, বদরুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় ইউএনও খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী জানান, মুজিববর্ষে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় বড়লেখা উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীন ‘ক’ শ্রেণীর ৪৩৫টি পরিবারকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে ২৪৬ টি পরিবারকে ইতোমধ্যে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। অবশিষ্ট ১৮৯ টি পরিবারকে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। চলমান প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বড়লেখাকে ভুমিহীন মুক্ত উপজেলা ঘোষণা করা যাবে।
Leave a Reply