ফুলবাড়ীতে সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ   ফুলবাড়ীতে সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ   – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৯:০৫ অপরাহ্ন

ফুলবাড়ীতে সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ  

  • বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২২
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়লই বাজারগামী সড়কের সংস্কার কাজে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী।
বড়লই এলাকার কয়েক হাজার মানুষের জীবন জীবিকায় গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি কয়েক দফা বন্যার কবলে পড়ে ধ্বসে যায় দু’পাশের মাটি, উঠে যায় কার্পেটিং । বেশির ভাগ অংশে তৈরি হয় খানাখন্দ।
আর দীর্ঘদিন  সড়কের সংস্কার কাজ না হওয়ার কারণে ভেঙ্গে সরু হওয়া সড়কে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় যাতায়াতকারীদের।
অবশেষে সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তর। ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ও তিন মিটার প্রস্থ সড়কের সংস্কার কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় রংপুরের  ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমএন ট্রেডার্স।
চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি সড়কের সংস্কার কাজ শেষ করার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়া ও সড়কের সংস্কার কাজ নিম্নমানের হওয়ায় হতাশ এলাকাবাসী।
জানাগেছে, সড়কটির সংস্কার কাজ বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭০ লক্ষ ৭০ হাজার ৬০৪ টাকা। সড়কের সংস্কার কাজে কি কি অনিয়ম হচ্ছে যানতে
চাইলেএলাকাবাসীরা জানান, সড়কে পরিমান মত ইটের খোয়া ফেলা হয়নি। যা খোয়া ফেলা হয়েছে তাও আবার একেবারে নিম্নমানের।
রাস্তায় ইটের খোয়া ফেলার আগে বালু ভরাট করে রোলিং করা হয়নি। গোটা সড়কের কোথাও ২ থেকে ৩ ইঞ্চির বেশি খোয়া ফেলা হয়নি। অনেক জায়গায় সড়ক মাপের চাইতে সরু করা হয়েছে।
সর্বোচ্চ ২ ইঞ্চি সাইজের খোয়া ফেলার নিয়ম থাকলেও ৩/৪ ইঞ্চির খোয়াও ফেলা হয়েছে। এর উপরে কার্পেটিং করা হলে সড়কটি দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীর।
স্থানীয়রা জানান, বেশ কয়েকবার কাজের অনিয়মের অভিযোগ তুলে কাজ বন্ধ করতে বলেছি। কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন আমাদের কথা কানেই তোলেনি। এই কাজ এমন দায়সাড়া ভাবে হোক তা আমরা চাই না।
যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি,  নিয়মমাফিক সড়কটির সংস্কার কাজ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
সড়কের সংস্কার কাজে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ ইকবাল রাজীব বলেন, সড়কটির সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন শুরুর পর নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের সত্যতা পাওয়া গেছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে গত ৩ আগস্ট প্রথম দফায় এবং ৮ আগস্ট জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী, কুড়িগ্রাম ও কনসালটেন্ট দিলীপ কুমারসহ সরেজমিনে গিয়ে দ্বিতীয় দফায় সড়ক হতে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী সরিয়ে নিতে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন দাস বলেন, সড়কের সংস্কার কাজ যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews