এইবেলা, কুলাউড়া :: ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে চা শ্রমিকদের আন্দোলনে কুলাউড়াসহ পুরো জেলা কার্যত অচল হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার সকাল থেকে কুলাউড়া লুহাউনি চা বাগানের শ্রমিকরা ব্রাম্মনবাজারে ,গাজিপুরসহ ৬ টি চা বাগানের শ্রমিকরা কুলাউড়া স্কুল চৌমুহনীতে অবরোধের ফলে পুরো জেলার সাথে কুলাউড়া অচল হয়ে পড়ে। এদিকে সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করার একপর্যায়ে কুলাউড়া স্কুল চৌমুহনী রেলক্রসিং এর অদূরে আন্ত:নগর পাহাড়ীকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিকাল ৪ টায় অবরোধ করে রাখে চা শ্রমিকরা। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিকাল সাড়ে ৫ টায় ট্রেন ও সড়ক অবরোধ তুলে শ্রমিকরা। তবে শ্রমিকদের আন্দোলনে কার্যত পুরো জেলা অচল ছিল।
জানা যায়, উপজেলার কালিটি ও রাঙিছড়া চা বাগানের শতাধিক নারী ও পূরুষ চা শ্রমিক বেলা আড়াইটায় স্কুল চৌমুহনী এলাকায় প্রথমে সড়ক আবরোধ করে। অবরোধ চলাকালে আনুমানিক ৪ টায় চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী আন্ত:নগর পাহাড়ীকা এক্সপ্রেস ট্রেন আটকা পড়ে। প্রায় দেড়ঘন্টা আটকে রাখার পর আন্ত:নগর পাহাড়িকা ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। কুলাউড়া সহকারি কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাসান ও আতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাওসার দস্তগীর ও কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুছ ছালেকের হস্তক্ষেপে সাড়ে ৫টায় চা শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।
সকাল থেকে কুলাউড়ার স্কুল চৌমুহনী এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রাখলে মৌলভীবাজার-বড়লেখা আঞ্চলিক সড়কে হাজার যানবাহন আটকা পড়ে। আঞ্চলিক মহাসড় ছাড়াও সিলেট কুলাউড়া, ভাটেরা কুলাউড়া, শমসের নগর কুলাউড়া, কুলাউড়া রবিরবাজার, কুলাউড়া গাজীপুর রোডে যানবাহন আটকা পড়ে। এতে হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগের শিকার হয়।
কুলাউড়া সহকারি কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাসান জানান, রাতে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর টেলিকনফারেন্সে কথা হবে। এতে একটা সুষ্ঠু সমাধান হবে।
এই আশ্বাসের ভিত্তিতে চা শ্রমিকরা ট্রেন অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করলে প্রায় দেড় ঘন্টা পরে আন্ত:নগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মুহিবুর রহমান জানান, প্রায় দেড় ঘন্টা আন্ত:নগর পাহাড়িকা ট্রেনটি আটকা ছিলো।
উল্লেখ্য ৩০০ টাকা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চা শ্রমিকরা গত ১৪ দিন থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। ##
Leave a Reply