এইবেলা, কুলাউড়া :: ভয়াবহ ও দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় শতভাগ ক্ষতিগ্রস্থ ইউনিয়ন কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক গরুর খামারি গো-খাদ্যের সংকটের কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে প্রদানকৃত প্রনোদনা কোন খামারি পাননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তালিকা প্রনয়ন করা হয়েছে তাতে আত্মীয়করণ ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রনোদনা বঞ্চিত খামারিদের মাঝে এ নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানা যায়, বন্যাকালে ক্ষতিগ্রস্থ খামারিদের জন্য খইল ভুষি ও ধানের কুড়াসহ গো খাদ্য বিতরণ করা হয়। প্রকৃত খামাদিরে মাঝে বিতরণের জন্য ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বারদের মাধ্যমে তা বিতরণ করা হয়।
এব্যাপারে ভুকশিমইল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড কাইরচক গ্রামের বাসিন্দা আমিন উদ্দিন জানান, তার খামারে ছিল ২৪ টি গরু। বন্যার সময় ঘাস ও গো-খাদ্যের অভাবে তিনি লোকসানে ১০ টি গরু বিক্রি করেন। ওয়ার্ড মেম্বার খছরু মিয়া ও চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির একমুঠো গরুর ফিড দেননি তাকে। তার বন্যায় ২ লাখ টাকার লোকসান হয়েছে বলে তিনি জানান। এছাড়াও একই ইউনিয়নের তার খামারে মোটা তাজা প্রকল্পের ২৪ টি গরু ছিল। বন্যার কারনে খাদ্যের অভাবে সবকটি গরু ২-৩ লাখ টাকা লোকসানে বিক্রি করে ফেলেন। মেম্বার ও চেয়ারম্য্যান মিলে তাদের আত্মীয় স্বজন ও দলীয় লোকজনের মাঝে এই প্রনোদনার গো খাদ্য বিতরণ করেন।
এভাবে সাইস্তা ডেইরী ফার্ম, নিশাত ডেইরী ফার্ম, খান ডেইরী ফার্মসহ ৮-৯ টি খামারে সরেজমিনে গেলে তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বন্যা পরবর্তী যে খামারীদের মধ্যে যে বরাদ্ধ এসেছে তা ইউপি চেয়ারম্যান তার পছন্দমতো লোকদের মধ্যে বিতরণ করেছেন। প্রকৃত খামারীরা কিছুই পায়নি। অনেকে জানেই না। তাদের অভিযোগ, চেয়ারম্যান মেম্বাররা খামারিদের মাঝে বিতরণ না করে নিজেদের খামারের জন্য সেগুলো রেখে দেন।
এব্যাপারে ভুকশিমইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির জানান, খামারিদের মধ্যে বন্টনের জন্য শুধুমাত্র ধানের গুড়া কয়েকবস্তা বরাদ্ধ দেওয়া হয় পিআইও অফিস থেকে। সেগুলি যে খামারের মালিক নিতে আগ্রহী হয়েছেন তাদের মধ্যে বিতরণ করেছি। বরাদ্ধ কম থাকায় সবাইকে দেয়া যায়নি।#
Leave a Reply