এইবেলা, বড়লেখা ::
বড়লেখায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের সেমিপাকা ঘরে উঠেছে হতদরিদ্র একটি দলিত পরিবার। বুধবার বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে নবনির্মিত বসতঘর হস্তান্তর করেন মৌলভীবাজারের নবাগত জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টীর জীবন মান উন্নয়নে গৃহীত ‘বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা’ শীর্ষক কর্মসুচির আওতায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য সেমিপাকা বসতঘর নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় বড়লেখা উপজেলা প্রশাসন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ১০টি দরিদ্র পরিবারকে সেমিপাকা বসতঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে। এ প্রকল্পের উপজেলার কাঠালতলী মাধবগুল গ্রামের প্রথম উপকারভোগী দলিত পরিবার সোনাই লাল রবিদাসকে নবনির্মিত বসতঘর বুঝিয়ে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। দুই রুমের প্রতিটি বসতঘর নির্মাণে সরকারের ব্যয় হচ্ছে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা।
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের সেমিপাকা বসতঘর হস্তান্তরকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান, থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক, সাংবাদিক আব্দুর রব, তপন কুমার দাস, উপজেলা দলিত কল্যাণ সমিতির সভাপতি মিলন রবি দাস, সাধারণ সম্পাদক সূর্যমনি রবি দাস, কোষাধ্যক্ষ সুদর্শন রবি দাস, সদস্য বাবুল রবিদাস প্রমুখ।
ঘর পেয়ে সোনাই লাল রবিদাস জানান, ‘জুতার কাজ করে দেড় থেকে দুই’শ টাকা রোজগার করি। কোনোদিন একটু বেশিও হয়। খুব কষ্টে পরিবার চালাতে হয়। মাটির একটা ভাঙা ঘর। এই ঘরে মেঘ পড়ে-পানি পড়ে। বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে আছি। কোনেদিনও ভাবতে পারছি না; কল্পনাও করতে পারছি না, ঘর হবে। পাকা ঘর পাইমু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘর দিয়েছেন। খুব আনন্দিত। এলাকার লোকজনও ঘরটি দেখতেছে। আমার মতো অসহায় মানুষ ঘর পাওয়ায় সবাই খুশি। ঘরটিতে পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকতে পারমু।’
বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম আল ইমরান জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প থেকে উপজেলায় দশটি পাকা ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। এরা সকলে অতি দরিদ্র। মাটির ঘরে ঝড়-বৃষ্টিতে সোনাই লাল অনেক কষ্ট করেছেন। নতুন ঘর পাওয়ায় তাদের আর কষ্ট করতে হবে না। ঘর পেয়ে তারা খুবই খুশি।’#
Leave a Reply