হাবিবুর রহমান ফজলু, আরব আমিরাত থেকে :: সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক নগরী দুবাইয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এই প্রথম তিন দিনব্যাপী প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রাণের বইমেলা ও বঙ্গ সংস্কৃতি উৎসব।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) থেকে রোববার (৬ নভেম্বর) পর্যন্ত অনুষ্ঠিত আয়োজনের উদ্যোক্তা ছিলেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাই ও উত্তর আমিরাত। শেষ দিনে ছিল জমজমাট আয়োজন, আমিরাতে প্রবাসী বই প্রেমীদের আনাগোনায় মুখর ছিল তিন দিনব্যাপী বই মেলা। শিশু থেকে কিশোর-কিশোরীর কিংবা মধ্যবয়সী সবাই স্টলে স্টলে ঘুরে তাদের প্রিয় বইটি কিনেছেন। আমিরাতে বিভিন্ন প্রদেশ থেকে অনেকে পরিবারের সদস্য নিয়ে এসেছেন। তবে মেলায় শিশুদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। মেলায় আশা ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা বলেন, প্রবাসের মাটিতে এমন উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এ ধরনের মেলা প্রতি বছরে করা দরকার। রোববার ছুটির দিন হিসেবে মেলার শেষ দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন বয়সের মানুষ এই বইমেলায় অংশ নিয়েছে। সকাল থেকে ভিড় কম থাকলেও বিকেল হতে মেলার শেষ ঘণ্টা পর্যন্ত মানুষের পদচারণয় মেলা মুখর হয়ে উঠে। বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে বইমেলা।
সিলেট বিভাগ উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, আমিরাতে এই প্রথম যে বই মেলার আয়োজন করেছে কনস্যুলেট জেনারেল বি এম জামাল হোসেন আরব আমিরাতে আগামীতেও অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করেন, এই মেলার মধ্য দিয়ে প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশি পরিবারের সন্তানদের কাছে বাংলাদেশের বই পড়ার আগ্রহ বাড়বে।
বিশিষ্ট রাজনিতিবীদ, কমিনিটি নেতা মাষ্টার শামছুল আলম ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবীদ শাহিন আহমদ তালুকদার বলেন, এমন বইমেলা প্রতি বছর হওয়া দরকার। ছোট পরিসরে এই বইমেলায় অংশ নিয়ে অনেক ভালো লেগেছে। বই মানুষের নিঃস্বার্থ বন্ধু। প্রবাসের মাটিতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ছোটরাও এখানে বই কিনতে এসেছে। এমন উদ্যোগ বারবার করা দরকার বলে তিনি মনে করেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে মেলায় ইউ,এ, ই রাজনিতিবীদ ও কর্মরত সা়ংবাদিকবৃন্দের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন কনসাল জেনারেল এ বি এম জামাল হোসেন। পরে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সমাপনী অনুষ্ঠান শেষ হয়।#
Leave a Reply