নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: নওগাঁর আত্রাইয়ে চলমান ট্রাক-ট্রাক্টর ও ট্রলি থেকে পাকা সড়কে মাটি পড়ে বৃষ্টির পানিতে সৃষ্টি হয়েছে কাদা মাটির স্ত’প। প্রথমে দেখে বোঝার উপায় নেই এটি পাকা না কাঁচা সড়ক। চলমান ট্রাক্টর থেকে মাটি পড়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে সড়কগুলোর। বৃষ্টিতে মাটি ভিজে সড়ক হয়েছে কাদায় একাকার। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন আত্রাই উপজেলাসহ আশপাশের উপজেলার হাজার হাজার মানুষ।
স্থানীয়দের অভিযোগ বছরের পর বছর ধরে কতিপয় ইটভাটার অবৈধ ট্রাক্টর-ট্রলি পাকা রাস্তা দিয়ে নিয়মিত মাটি উঠানোয় এই কাদার সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাতে হঠাৎ বৃষ্টিতে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পাকা সড়ক এখন কাদা সড়কে পরিণত হয়েছে। পথচারীরা খালি পায়ে সড়কে চলাচল করতে পারছে না। বিশেষত দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন মোটরসাইকেল চালকেরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন। সড়কের পাশের লোকজন ও ব্যবসায়ীদের পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে। ইটভাটার ট্রাক্টরের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত বহন করা মাটি সড়কে পড়ে। বেশ কিছুদিন ধরে ধুলায় টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছিল। এখন বৃষ্টি হওয়াতে পাকা রাস্তাগুলো কাদাময় হয়ে পড়েছে। চলাচলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে বেড়েছে দুর্ভোগ।
রাস্তায় চলাচল করা মটরসাইকেল আরোহী সেলিম নামে এক ব্যক্তি জানান, ইটভাটার কাজে নিয়োজিত মাটিবাহী যানবাহন থেকে রাস্তায় পড়ে যাওয়া মাটি রোদের সময় রাস্তায় শুকিয়ে ধুলা আর বৃষ্টি হলেই কাদায় পরিণত হয়। দেখে বোঝার উপায় থাকে না এটা কার্পেটিং রাস্তা। এতে বছর জুড়েই সড়কগুলোতে চলাচল করতে পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগে।
পার্শ্ববর্তী বাগমাড়া উপজেলা থেকে ভবানীপুর হাটে আসা বাইসাইকেল চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি সপ্তাহে দুই দিন শনিবার-মঙ্গলবার ভবানীপুর হাট কাঁচা মাল সাইকেলে করে নিয়ে আসি আজ মাল নিয়ে আসতে যে কি কষ্ট হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। এমনকি রাস্তার মাঝে মাল বোঝায় সাইকেল নিয়ে কয়েকবার পড়েও গেছি।
তবে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কগুলোতে যদি এখনই কোন ব্যবস্থা নেওয়া না যায়, তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। বিশেষ করে আগামী বর্ষা মৌসুম তো আছেই। এজন্য এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া। না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।#
Leave a Reply