এইবেলা, কুলাউড়া :: কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা হিল ফরেষ্টের মধ্যে বন ববিভাগ-উপকাভোগীদের পার্টনারশীপে প্রতিষ্টিত সামাজিক বনায়নে লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে বনখেকোদের। ২০০৪-০৫ অর্র্থ বছরের প্রতিষ্টিত একাশিয়া ও আগর বাগানের বড় বড় গাছ প্রতিনিয়ত হচ্ছে পাচার। ভাটেরা রাবার বাগানের অভ্যন্তরীন সড়কের পাশাপাশি বনায়নের বিশালাকৃতির একাশিয়া গাছ ও আগর গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে গাছচোরচক্র। স্থানীয় বন কর্মকর্তার নির্লিপ্ততার সুযোগে দেদারছে বনায়নের গাছ পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ উপকারভোগীদের।
উপকারভোগীরা জানান, ২০০৪-০৫ অর্থবছরে কুলাউড়ার রেঞ্জের অধীনে ভাটেরা বিটের আাওতাধীন কলিমাবাদ এলাকায় ২৮ একর পাহাড়ে একাশিয়া প্রজাতির সামাজিক বনায়ন এবং ১০ একর আগর বনায়ন করা হয়। উপকারভোগীরা গত ১৬-১৭ বছরে যথাযথভাবে রক্ষনাবেক্ষনের ফলে গাছগুলি পরিপক্ক হয়েছে।
কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ থেকে ভাটেরা রাবার বাগানের পাশ্ববর্তী টিলা থেকে বিশালাকৃতির একাশিয়া এবং আগর গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে গাছ চোরচক্র। ইতিমধ্যে প্রায় শতাধিক গাছ চুরি হয়েছে বনায়ন থেকে। স্থানীয় বিট কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানকে উপকারভোগীরা বারবার বলার পরও তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন কিংবা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উপকারভোগীদের।
উপকারভোগী সভাপতি আফার উদ্দিন, মো: কালাম মিয়া, সজ্জাদ আলীসহ আরও কয়েকজন উপকারভোগী জানান, দুইটি বনায়নের গাছগুলি পরিপক্ক হওয়ায় সাথে সাথেই বড় বড় আকৃতির গাছগুলি কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্র।
উপকারভোগী সদস্যরা অভিযোগ করেন, বিট কর্মকর্তার কার্যালয়ের ১ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত সামাজিক বনায়ন থেকে গাছ পাচার হলেও অজ্ঞাত কারণে তিনি পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
এব্যাপারে ভাটেরা বিট কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান, বনায়নের গাছগুলি বিক্রির জন্য ইতিমধ্যে দু’বার টেন্ডার হলেও দাম সঠিক না উঠায় বিক্রি হয়নি। আর বতর্মানে কিছু কিছু গাছ চুরি হচ্ছে তার সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, রাত ১২ টা পর্যন্ত তিনি ডিউটি করলেও উপকারভোগীরা তাকে ঠিতমতো সহায়তা করছেন না।#
Leave a Reply