বুক রিভিউ
বই রিভিউর করতে গিয়ে আজকাল অনেকেই লেখকের প্রশংসায় ডুবে থাকেন। লেখকের লেখনীর মানের চেয়ে চারিত্রিক দিকগুলো বেশি নজর দিয়ে ফেলেন। বই রিভিউর ধরন এমন যেন, পাঠক্রিয়া নয় ব্যক্তি সম্পর্ক উপস্থাপন করেন।
বৃটেন প্রবাসী বাঙালি লেখক ফাহমিদা ইয়াসমিনের শিক্ষার্জন, কর্মজীবন, ও ব্যক্তিত্ব নিয়ে ইতোমধ্যে অনেক লেখা প্রকাশ হয়েছে। সেদিকে এখন আর যাচ্চি-না। ফাহমিদা ইয়াসমিনের হাস্যজ্জোল মুখে ভালবাসার বাঁধনে যেন একের পর এক কবিতার লাইন ভেসে থাকে। বিষেশত প্রেমময় কবি ফাহমিদা ইয়াসমিন প্রেমমূলক কবিতায় পাঠক হৃদয়ে বেশ পাকাপোক্ত-ভাবে স্থান করে নিয়েছেন।
.
গত বই মেলার ধারাবাহিকতায় এবারও বই মেলায় প্রকাশিত তিনটি বইয়ের লেখক বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের মৌলভিবাজার জেলায় জন্মগ্রহণ করা বহু গুণে গুনান্বিত মানুষ ফাহমিদা ইয়াসমিন বেশ কয়েকটি কাব্যগ্রন্থের পাশাপাশি উপন্যাসের বই লিখেছেন, যা পাঠক মহলে ভালো সাড়া ফেলেছে। এই লেখকের লেখনীর বিশ্লেষণ করতে নিরবে ভাবনার বিশাল পরিধির প্রয়োজন। ফাহমিদা ইয়াসমিনের একক বইয়ের সাথে যৌথ বই প্রকাশিত হয়েছে কয়েকটি। তবে অল্প করে এবারের বইমেলায় প্রকাশিত তিনটির বইয়ের মধ্য থেকে আজ আমি রিভিউর জন্য বেছে ফাহমিদা ইয়াসমিনের কাব্যগ্রন্থ “অস্তিত্বের বিষণ্ণ দেয়াল” বইটি।
.
“অস্তিত্বের বিষণ্ণ দেয়াল” বইটিকে আমার বিবেচনায় একের ভেতরে সব বলা যেতে পারে। কেননা, এই কাব্যগ্রন্থে কবি খুব বিচক্ষণতায় তুলে ধরেছেন, প্রেমের কবিতা, বিষাদের কথা, হৃদয় জয় করা সুর, এড়িয়ে যাননি অবজ্ঞার বিষয় উপস্থাপন করেছেন খুব স্পষ্টভাবে লেখক এই কাব্যগ্রন্থে সৃষ্টিকর্তার অসীমতার কথা প্রতিটি লাইনে ছন্দের সাথে তুলে ধরেছেন তার কলমে । ফাহমিদা ইয়াসমিন তিনিও একজন মা, তবে সদ্য হারিয়েছন, পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন লেখক ফাহমিদা ইয়াসমিনের জন্মধারিণী মা। কবি বুঝাতে চেয়েছেন মা ছাড়া পৃথিবী বড় শূণ্য আলোহীন ঘর মা’র স্মৃতিচারণ করতে কবি আরেকটি কবিতায় মাকে মহা বৃক্ষের বিশালতায় পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন। অস্তিত্বের বিষণ্ণ দেয়ালে মায়ের মধুর ভাষার মাধুর্যততা ফুঠিয়ে তুলেছে কবিতার লাইনে, পাঠকদের জন্য লিখেছেন মুক্তিযুদ্ধের সাফল্যগাঁতা বিজয় ও জীবন উৎসর্গ করা তাজা প্রাণগুলোর কথা। প্রবাসে থেকে মা, মাটি ও মানুষের প্রতি আতœার টান এতটাই অনুভূত হয় লেখক ফাহমিদা ইয়াসমিনের যা, তিনি কবিতায় নিখুঁত ভাবনায় মেলে ধরেছেন। মুজিবশতবর্ষে স্বাধীনতার স্থপতির ইতিহাস রচিত অধ্যায় কবিতায় স্থান দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু নামে বঙ্গের শ্রেষ্ট সন্তানে। দুঃখের পর সুখে সিঁড়ি বেয়ে জীবন পৌঁছায় শান্তির গন্তব্যে এই ব্যাপারটি ভালো ভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন কবি ফাহমিদা ইয়াসমিন।
.
পরিশেষে, আমিও একজন সু-পাঠক। পাঠকের জায়গা থেকে যদি আমার মতামত জানার ইচ্ছুক থাকে তাহলে বলবো বইটি সংগ্রহ করুন, বইটি পড়ুন এ বইয়ে আপনার বিশাল ভাবনার খোড়াকে সঙ্গী হতে পারে। বইটির কবিতা পড়া শুরু করা মাত্র পাঠকের হৃদয়ের কড়া নাড়বে একের পর এক কবিতা পড়তে। আমি আশা করবো এরকম বই কবি ফাহমিদা ইয়াসমিন আরও পাঠকদের জন্য প্রকাশিত করবেন। তাই, লেখকের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।বুক রিভিউ
ফাহমিদা ইয়াসমিনের- অস্তিত্বের বিষণ্ন দেয়াল
বই রিভিউর করতে গিয়ে আজকাল অনেকেই লেখকের প্রশংসায় ডুবে থাকেন। লেখকের লেখনীর মানের চেয়ে চারিত্রিক দিকগুলো বেশি নজড় দিয়ে ফেলেন। বই রিভিউর ধরন এমন যেন, পাঠক্রিয়া নয় ব্যক্তি সম্পর্ক উপস্থাপন করেন।
বৃটেন প্রবাসী বাঙালি লেখক ফাহমিদা ইয়াসমিনের শিক্ষার্জন, কর্মজীবন, ও ব্যক্তিত্ব নিয়ে ইতোমধ্যে অনেক লেখা প্রকাশ হয়েছে। সেদিকে এখন আর যাচ্চি-না। ফাহমিদা ইয়াসমিনের হাস্যজ্জোল মুখে ভালবাসার বাঁধনে যেন একের পর এক কবিতার লাইন ভেসে থাকে। বিষেষত প্রেমময় কবি ফাহমিদা ইয়াসমিন প্রেমমূলক কবিতায় পাঠক হৃদয়ে বেশ পাকাপোক্ত-ভাবে স্থান করে নিয়েছেন।
.
গত বই মেলার ধারাবাহিকতায় এবারও বই মেলায় প্রকাশিত তিনটি বইয়ের লেখক বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের মৌলভিবাজার জেলায় জন্মগ্রহণ করা বহু গুণে গুনান্বিত মানুষ ফাহমিদা ইয়াসমিন বেশ কয়েকটি কাব্যগ্রন্থের পাশাপাশি উপন্যাসের বই লিখেছেন, যা পাঠক মহলে ভালো সাড়া ফেলেছে। এই লেখকের লেখনীর বিশ্লেষণা করতে নিরবে ভাবনার বিশাল পরিধির প্রয়োজন। ফাহমিদা ইয়াসমিনের একক বইয়ের সাথে যৌথ বই প্রকাশিত হয়েছে কয়েকটি। তবে অল্প করে এবারের বইমেলায় প্রকাশিত তিনটির বইয়ের মধ্য থেকে আজ আমি রিভিউর জন্য বেছে ফাহমিদা ইয়াসমিনের কাব্যগ্রন্থ “অস্তিত্বের বিষণ্ণ দেয়াল” বইটি।
.
“অস্তিত্বের বিষণ্ণ দেয়াল” বইটিকে আমার বিবেচনায় একের ভেতরে সব বলা যেতে পারে। কেননা, এই কাব্যগ্রন্থে কবি খুব বিচক্ষণতায় তুলে ধরেছেন, প্রেমের কবিতা, বিষাদের কথা, হৃদয় জয় করা সুর, এড়িয়ে যাননি অবজ্ঞার বিষয় উপস্থাপন করেছেন খুব স্পষ্টভাবে লেখক এই কাব্যগ্রন্থে সৃষ্টিকর্তার অসীমতার কথা প্রতিটি লাইনে ছন্দের সাথে তুলে ধরেছেন তার কলমে । ফাহমিদা ইয়াসমিন তিনিও একজন মা, তবে সদ্য হারিয়েছন, পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন লেখক ফাহমিদা ইয়াসমিনের জন্মধারিণী মা। কবি বুঝাতে চেয়েছেন মা ছাড়া পৃথিবী বড় শূণ্য আলোহীন ঘর মা’র স্মৃতিচারণ করতে কবি আরেকটি কবিতায় মাকে মহা বৃক্ষের বিশালতায় পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন। অস্তিত্বের বিষণ্ণ দেয়ালে মায়ের মধুর ভাষার মাধুর্যততা ফুঠিয়ে তুলেছে কবিতার লাইনে, পাঠকদের জন্য লিখেছেন মুক্তিযুদ্ধের সাফল্যগাঁতা বিজয় ও জীবন উৎসর্গ করা তাজা প্রাণগুলোর কথা। প্রবাসে থেকে মা, মাটি ও মানুষের প্রতি আতœার টান এতটাই অনুভূত হয় লেখক ফাহমিদা ইয়াসমিনের যা, তিনি কবিতায় নিখুঁত ভাবনায় মেলে ধরেছেন। মুজিবশতবর্ষে স্বাধীনতার স্থপতির ইতিহাস রচিত অধ্যায় কবিতায় স্থান দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু নামে বঙ্গের শ্রেষ্ট সন্তানে। দুঃখের পর সুখে সিঁড়ি বেয়ে জীবন পৌঁছায় শান্তির গন্তব্যে এই ব্যাপারটি ভালো ভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন কবি ফাহমিদা ইয়াসমিন।
.
পরিশেষে, আমিও একজন সু-পাঠক। পাঠকের জায়গা থেকে যদি আমার মতামত জানার ইচ্ছুক থাকে তাহলে বলবো বইটি সংগ্রহ করুন, বইটি পড়ুন এ বইয়ে আপনার বিশাল ভাবনার খোড়াকে সঙ্গী হতে পারে। বইটির কবিতা পড়া শুরু করা মাত্র পাঠকের হৃদয়ের কড়া নাড়বে একের পর এক কবিতা পড়তে। আমি আশা করবো এরকম বই কবি ফাহমিদা ইয়াসমিন আরও পাঠকদের জন্য প্রকাশিত করবেন। তাই, লেখকের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
Leave a Reply