ভারতে পাচার হচ্ছে দেশী প্রজাতির মাছ ভারতে পাচার হচ্ছে দেশী প্রজাতির মাছ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০২:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নেহার বেগমের রেকর্ড বড়লেখায় আজির উদ্দিন উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত কুলাউড়া উপজেলায় সাহেদ রাজু ও নেহার বিজয়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-বড়লেখায় ২ ঘন্টায় ভোট পড়েনি ৬ ভাগও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-বড়লেখায় সুষ্ঠু ভোট নিয়ে ভোটারের সংশয় মুল্লুকে চলো আন্দোলন ও চা শ্রমিক গণহত্যার ১০৩ বছর : ঐতিহাসিক বীরত্বগাথা রক্তাক্ত সংগ্রামের এক মহাউপাখ্যান কমলগঞ্জে ঐতিহাসিক উসমানগড় মাঠে সরকারি ভূমি দখলের হিড়িক কাল বুধবার ভোটগ্রহণ-বড়লেখায় ৬৯ ভোট কেন্দ্রের ২৯ টিই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কমলগঞ্জের মিরতিংগা চা বাগানে বেতনসহ যাবতীয় বকেয়া আদায়ের দাবীতে অবস্থান কর্মসুচি  স্ত্রীকে হত্যার পর দা নিয়ে থানায় ঘাতক স্বামীর আত্মসমর্পন

ভারতে পাচার হচ্ছে দেশী প্রজাতির মাছ

  • মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৩

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার হচ্ছে বিভিন্ন দেশী প্রজাতির মাছ। পাচারের তালিকায় এবার নতুন যুক্ত হয়েছে শিং, মাগুর, কৈ ও পাবদা মাছ। প্রতিদিন ন্যূনতম ১০ ট্রাক মাছ পাচার হচ্ছে সীমান্তের ওপারে।

যার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ভারতের বিভিন্ন এলাকায়। তাই চড়া মূল্যে বিক্রিতে অধিক মুনাফা লাভের প্রলোভনে সক্রিয় হয়ে উঠেছে স্থানীয় চোরাকারবারিরা। ফলে স্থানীয় হাটগুলোতে এসব মাছের সংকট দেখা দিয়েছে চরম আকারে। তবে জনমনে প্রশ্ন একটাই? সীমান্তে নিয়োজিত বিজিবি সদস্যদের নাকের ডগায় কিভাবে কাঁটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে অহরহ পাচার হচ্ছে মাছসহ বিভিন্ন মূল্যবান পণ্যসামগ্রী। এতে শুধু সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্বই হারাচ্ছে না বরং স্থানীয় পর্যায়ে দেখা দিয়েছে মাছের চরম আকাল। অপরদিকে মাছের চাহিদা পূরণ তথা লোকসানের আশঙ্কায় হিমশিম খাচ্ছেন স্থানীয় আড়তদাররা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের ছাতক ও দোয়ারাবাজারের বিভিন্ন পুকুর থেকে সংগ্রহ করা শিং, মাগুর, কৈ ও পাবদা মাছ মিনি ট্রাকযোগে রাতের আঁধারে দোয়ারাবাজারের বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাঁশতলা, শিমুলতলা ও কলাউড়া সীমান্তের ১২৩৬নং পিলার এবং বগুলা ইউনিয়নের ইদুকোনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার হচ্ছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বরফ দিয়ে ১০-১৫ কেজির প্যাকেট করা হয় পাবদা মাছের। শিং, মাগুর ও কৈ মাছ রাখা হয় পানিভর্তি বড় বড় ড্রামে। পরে প্রতি ট্রাকে ২৫ থেকে ৩০ মণ মাছবোঝাই করে স্থানীয় বাংলাবাজারের গোপন আড়তে মজুত করা হয়। রাতে সেখান থেকে এগুলো পৌঁছানো হয় সীমান্তের বিভিন্ন জিরো পয়েন্টে। সেখানে আগে থেকেই প্রস্তুত থাকেন দুপারের শ্রমিকরা। সুযোগ বুঝে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা ট্রাকের মাছের ড্রাম ও প্যাকেটগুলো ভারতীয় ট্রাকে স্থানান্তর করেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, এক ট্রাক মাছ পাচারে ২০-২৫ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। তবুও ট্রাকপ্রতি ১০-১২ হাজার টাকা মুনাফা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাছ ব্যবসায়ী জানান, স্থানীয় হাটে পাবদা মাছের পাইকারি দর প্রতি কেজি ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা। আর ঢাকায় পাঠালে প্রতি কেজি ৩৭০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। আর চোরাইপথে ভারতে পাঠালে প্রতি কেজি সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। তাতে সব খরচ পুষিয়ে ট্রাকপ্রতি ১০-১৫ হাজার টাকা লাভ হয়।

দোয়ারাবাজার থানার ওসি বদরুল হাসান বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন ট্রাকযোগে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ সরবরাহ করা হয়। তবে ভারতে পাচারের বিষয়টি আমার জানা নেই। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তুষার কান্তি বর্মন বলেন, দোয়ারাবাজার সীমান্ত দিয়ে ভারতে মাছ পাচারের বিষয়টি আমার জানা নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি অবগত করব।## (সুযু)

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews