এইবেলা, কুলাউড়া :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বরমচাল ইউনিয়নে রেলওয়ের লিজকৃত জমি জোরপূর্বক দখল করে ব্যক্তিগত রাস্তা তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। লিজ গ্রহিতার উত্তরসূরিরা রাস্তা নির্মাণে বাঁধা দিলে তাদের প্রাণনাশ ও গুম করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, ১৯৭৯ সালে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ১৭ শতক জমি লিজ নেন বরমচাল ইউনিয়নের নন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন আহমদ তালুকদারের ছেলে সফিক উদ্দিন আহমদ তালুকদার। কিন্তু ওই জমি দখল করে জোরপূর্বক রাস্তা তৈরি করতে চান একই এলাকার বাসিন্দা মৃত ছমেদ মিয়ার ছেলে সিরাজুল ইসলাম। সম্প্রতি মাটি ফেলে এ জমি দখল করে রাস্তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সিরাজুল ইসলাম।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, রেলওয়ে শুধুমাত্র কৃষিভিত্তিক জমি লিজ দেয়া হয়। কৃষি লিজ নিয়ে শুধুমাত্র কৃষি আবাদ করতে পারবেন। শ্রেণি পরিবর্তন করে কেউ রাস্তা, বিপনী বিতান, পাকা কোন স্থাপনা, মার্কেট নির্মাণ বা দেয়াল দিয়ে দখলে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। এগুলো করে থাকলে সবই অবৈধ দখলদার হিসেবে গণ্য হবেন। সেই ক্ষেত্রে আখাউড়া-সিলেট রেল সড়কের বরমচাল ইউনিয়নের নন্দনগর (ইসলামাবাদ) এলাকায় রেলের ১৭ শতক জমি কৃষি লিজ নেন বরমচাল ইউনিয়নের নন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা নিজাম উদ্দিনের ছেলে মোঃ সফিক উদ্দিন।
সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বরমচাল ইউনিয়নের নন্দনগর এলাকায় সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে থেকে কোন প্রকার অনুমতি না নিয়ে অন্যর লিজকৃত জমি দখল করে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ করছেন। সফিক উদ্দিন আহমদ তালুকদারের ছেলে মনির উদ্দিন ও বদর উদ্দিন বলেন, আমাদের বাড়ির সামনে রেলওয়ের ১৭ শতক জমি ১৯৭৯ সালে আমার পিতা লিজ নেন। আমরা দীর্ঘদিন থেকে ওই জমিতে কৃষি আবাদ করে আসছি। নিয়মমত সরকারী সকল খাজনাও পরিশোধ করছি। কিন্তু আমাদের প্রতিবেশী সিরাজুল ইসলাম জোরপূর্বক রেলের ওই লিজভুক্ত জমি দখল করতে চায়। সম্প্রতি সিরাজুল ইসলাম তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে ওই জমি দখল করে তাদের ব্যক্তিগত রাস্তা তৈরির কাজ চালিয়ে যান। আমরা বাঁধা দিলে উল্টো আমাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। এতে আমরা খুবই আতংকের মধ্যে আছি।
অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম বলেন, রেলের জমিতে আমি কোন রাস্তা তৈরি করিনি। মাটি কেটে রেখেছি আমার বাড়িতে নেয়ার জন্য।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি বিভাগের কুলাউড়ার ফিল্ড কানুনগো মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। তবে একজনের লিজভুক্ত জমিতে অন্য আরেকজন অবৈধভাবে রাস্তা তৈরি সম্পূর্ণ বেআইনি। ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।#
Leave a Reply