কুড়িগ্রামে আপন চাচির বটির কোপে ২ বছরের শিশুর মাথা বিচ্ছিন্ন কুড়িগ্রামে আপন চাচির বটির কোপে ২ বছরের শিশুর মাথা বিচ্ছিন্ন – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
৩ মাস থেকে ১২ চা বাগানের শ্রমিকদের রেশন-বেতন বন্ধ কুলাউড়ার নবারুন আদর্শ বিদ্যাপীটের সভাপতির প্রবাস গমন উপলক্ষে সংবর্ধনা প্রদান কমলগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো খাসিয়াদের বর্ষবিদায় উৎসব “সেং কুটস্নেম” বড়লেখায় শিক্ষা ও সেবা ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা ও পুরস্কার বিতরণ কুড়িগ্রামে শ্রমিক লীগ নেতাকে শ্রমিক দলে রাখার পায়তারা বড়লেখায় পৌর যুবদল নেতার মামলায় ২ যুবলীগ নেতা গ্রেফতার বড়লেখায় শিক্ষক ও সাংবাদিক মইনুল ইসলামের ইন্তেকাল : শোক প্রকাশ নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিটার মিনিবার নাইট ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন এফসি ডার্ক নাইট একজন মেহেদী হাসান রিফাতের গল্প : স্বপ্ন থেকে সাফল্যের পথে

কুড়িগ্রামে আপন চাচির বটির কোপে ২ বছরের শিশুর মাথা বিচ্ছিন্ন

  • বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪
Dead body with an blank tag. Coronavirus victim.
মো: বুলবুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :: কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নে ‘চাচীর বটির কোপে’ ২ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্ত চাচিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মাস্টার পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সদর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত শিশুর নাম দিশা। সে ওই গ্রামের অটোরিকশা শ্রমিক দুলালের মেয়ে। গ্রেফতার চাচির নাম কামনা বেগম (৩২)। তিনি দুলালের বড় ভাই সাইদুল ইসলামের স্ত্রী ও নিহত শিশুর আপন বড় চাচি বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। তবে কী কারণে এই হত্যাকান্ড তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নিহত শিশুর মায়ের বরাতে তার আরেক চাচা ফখরুল জানান, মঙ্গলবার দুপুরে একমাত্র মেয়ে দিশাকে নিয়ে তার মা শাবনুর নদীতে কাপড় কাঁচতে জান। দিশাকে ফখরুলের স্ত্রীর কাছে দিতে বলে সাথে থাকা এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু বাড়ির আঙ্গিনায় থাকা কামনা বেগম দিশাকে কোলে নেন। শাবনুর বাড়িতে ফিরে দিশাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ করতে থাকেন। এসময় কামনার ছেলে সিদ্দিক (১৫) কামনার ঘরে গিয়ে দিশাকে মস্তক বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দেখতে পায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত কামনা বেগমকে আটক করে থানায় নেয়।
ফখরুল বলেন, ‘ কামনা বেগম দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তার চিকিৎসা চলছিল। তিনি বটি দিয়ে কুপিয়ে দিশার দেহ থেকে মাথা আলাদা করে হত্যা করেছেন। হত্যার পর তিনি সবার সামনে স্বীকার করেছে। তবে কেন তিনি শিশুটিকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করেছেন তা বলেননি।
ঘটনার পর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওহিদুন্নবী ও সদর থানার ওসি মাসুদুর রহমান সহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ নিহতের বাবা বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বটি উদ্ধার করা হয়েছে।’
হত্যার কারণ জানার প্রশ্নে ওসি বলেন, ‘ পরিবার ও স্থানীয়রা বলছেন যে ওই নারী মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন। তবে ঠিক কী কারণে হত্যাকান্ড ঘটেছে তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। তদন্ত চলছে।’#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews